বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প টি।
বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প |
বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প
বৃষ্টির দিনে স্কুলজীবনের বন্ধুর কথা মনে পড়ে রাফিয়ার । রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি। অন্যদিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠেছে কিন্তু বের হতে পারেনি। ঘরের ছোটো জানালার সামনে সে বসে বৃষ্টি দেখছে। জানালার পাশের রাস্তাটি একদম ফাঁকা। অন্যদিনের মতো ছোটো বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে না। পাশের বাসার কাজের মেয়েটা কাঁচাবাজার নিয়ে বাসায় ফিরছে না। ভ্যানের ওপর আজ কোনো দোকানি পসরা সাজিয়ে বসেনি । বৃষ্টি দেখতে দেখতে রাফিয়া তার ছোটোবেলার কথা ভাবছিল । কৈশোরে এমন বৃষ্টির দিনে সে ঘরে বসে থাকত না। তার মায়ের শত বারণ সত্ত্বেও বৃষ্টিতে ভিজত অথবা খেলার সাথিদের সঙ্গে নিয়ে পুকুরে গোসল করত।
নিজের অজান্তেই এসব ভাবতে ভাবতে সে হেসে ফেলে। হঠাৎ করেই জানালা থেকে সরে এসে কম্পিউটারে গান ছাড়ে। আজ গান শোনার সময় সে-ও গুনগুন করে গাইতে শুরু করল। তারপর আবার জানালার কাছে গিয়ে বসল। দেখে, সাইকেলে করে একটি ছেলে ভিজতে ভিজতে চলে গেল। রাফিয়ার আবার তার স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল ।
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় রাহাত নামে একটি ছেলে তাদের স্কুলে ভর্তি হয় । কোনো এক অজানা কারণে রাফিয়াকে দেখলেই সে অন্য দিকে চলে যেত। যতক্ষণ একসঙ্গে ক্লাস করত একটি কথাও বলত না রাফিয়ার সঙ্গে। স্কুল ছুটির সময় ছেলেটি প্রতিদিন স্কুলের গেটের সামনে থেকে কুলফি কিনত। একদিন বিকেলে স্কুল ছুটির পর বের হওয়ার সময় মেঘ কালো করে বৃষ্টি এলো। রাফিয়া গেটের সামনে এসে দেখে রাহাত দুই হাতে দুটি কুলফি খাচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রাফিয়ারও মনে হলো কুলফি খাবে। রাফিয়া রাহাতের দেখাদেখি দুটি কুলফি কিনল এবং খাওয়া শুরু করল। দুজনই দুজনকে দেখে একসঙ্গে হেসে ফেলল। তারপর থেকে রাহাত ও রাফিয়া স্কুলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। রাফিয়া মনে মনে ভাবতে লাগল, কত বছর হয়ে গেছে কিন্তু তার সব থেকে কাছের বন্ধুকে দেখেনি, এমনকি কোনো খোঁজও জানে না। এরই মাঝে দরজায় নক। পাশের রুমের মেয়েটির প্রচণ্ড জ্বর। ওষুধ এনে দেওয়ার আবদার। রাফিয়া একটা ছাতা আর কিছু টাকা নিয়ে নিচে নামল। এত বৃষ্টি যে ছাতাতে ঠেকাতে পারছে না। অনেকক্ষণ হাঁটার পর একটি ওষুধের দোকান খোলা পেল। ফেরার সময় হঠাৎ করে একটা সাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায় সে। ছেলেটা তার সাইকেল উঠিয়ে রাফিয়ার কাছে এসে ক্ষমা চাইল এবং সবিনয়ে জানতে চাইল তার ব্যথা লেগেছে কি না। রাফিয়া কিছুটা বিরক্ত হয়ে না বলল। ছেলেটা চলে যায়। রাফিয়া আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায়। হাঁটতে শুরু করে। তখন একটি আইডি কার্ড পায় সে। একটু আগে যে ছেলেটার সাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, সে ছিল স্কুল ড্রেস পরা। কার্ডটি তারই হবে। কিছু না বুঝেই রাফিয়া ফিরে আসে এবং তার পাশের রুমের মেয়েটিকে ওষুধ দেয়। হঠাৎ হাতের কনুইয়ে ব্যথা অনুভব করে এবং অ্যাকসিডেন্টের কথা ভাবে। কী মনে করে যেন টেবিলের ওপর রাখা আইডি কার্ডটি দেখে। সে দেখতে পায় আইডি কার্ডে তার বন্ধু রাহাতের নাম লেখা ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই বৃষ্টিভেজা স্মৃতি খুদে গল্প টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।