বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প টি।
বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প |
বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প
আশরাফ সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও তিনি মনে করেন দেশের জন্য অনেক কাজ করার বাকি রয়ে গেছে। তাই এই প্রৌঢ় বয়সেও তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে তিনি অক্লান্ত সৈনিক। দেশপ্রেমের মশাল প্রজ্বলনে তিনি আজও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানী মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন বাঙালির ত্যাগের অতীত ইতিহাস। উপলব্ধি করেন স্বাধীনতার মূল্য। এই স্বাধীনতার ইতিহাস বিস্তারে তিনি তাঁর বাকি জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন জাতি হিসেবে বাঙালিকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হলে, নতুন বিশ্বের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বদেশ বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
-নিজ গ্রামে তাই আশরাফ সাহেব প্রতিষ্ঠা করেছেন শহিদ খালেক মন্টু স্মৃতি পাঠাগার'। জড়ো করেছেন বইয়ের এক বিশাল সম্ভার। বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যনির্ভর গুরুত্বপূর্ণ বই, সংবাদপত্র ও দলিলাদি ঠাঁই দিয়েছেন তাঁর এই সংগ্রহশালায়। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা ভূখণ্ডের ইতিবৃত্ত, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তরুণদের জানাতে সারা জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করে তিনি এটা গড়ে তুলেছেন। রয়েছে শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থও ।
গ্রামের মানুষের কাছে তিনি ‘বইয়ের ফেরিওয়ালা'। স্কুলগামী কিশোর- কিশোরীদের কাছে ‘মুক্তিযোদ্ধা দাদু'। গ্রামের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে | তিনি চষে বেড়ান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত বই বিতরণ করেন | শিশু-কিশোর-তরুণদের মাঝে। আয়োজন করেন পাঠচক্রের। অসীম | সাহসী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের একাত্তরের দিনগুলোকে মূর্ত করে তোলেন কচি-কাঁচাদের এই পাঠচক্রে।
প্রতি মাসে লাইব্রেরির করিডোরে আয়োজন করেন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সেখানেই রং-তুলির আঁচড়ে মূর্ত করে তোলেন একেকজন মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বপূর্ণ ঘটনা। আর সে ঘটনা তিনি গল্পের ছলে খুদে শিক্ষার্থীদের শোনান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগে তিনি শামিল করেছেন নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের। তাদের সামনে তিনি গল্পের ছলে সুপারহিরো হিসেবে হাজির করেন মুক্তিযোদ্ধাদের।
— নিজ উদ্যোগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ করান । এ লক্ষ্যে তিনি গঠন করেছেন ‘নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা' নামে এক সংগ্রাহক গোষ্ঠী। এরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে প্রৌঢ় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে খুঁজে তাঁদের বক্তব্য নিয়ে আসেন। আশরাফ সাহেব গ্রন্থিত করেন সেগুলোকে। তাঁর স্বপ্ন— একদিন এগুলোকে পুস্তক আকারে প্রকাশ করবেন । নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেবেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই দলিল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই বইয়ের ফেরিওয়ালা খুদে গল্প টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।