দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট জেনে নিবো। তোমরা যদি দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট টি।
দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট |
দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট
ভূমিকা: সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের চরম উৎকর্ষে বিদ্যৎ-এর ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যতের অপরিমেয় শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই মানবজাতি সভ্যতার আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। বর্তমান সভ্যতার এহেন দিক নেই যেখানে বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি। মানুষের জীবনযাপনের সাথে যত বিষয় জড়িত, সব বিষয়েই বিদ্যুৎ এমনভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে যে, একটি মুহর্তও মানুষ এটা ছাড়া ভাবতে পারে না। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকলকারখানা, চিকিৎসা, কৃষি, আমােদ-প্রমােদ, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিজ্ঞানের বহুবিধ অবদানের চালিকাশক্তি হিসেবে বিদ্যুৎ আজ মূল। ভূমিকায় চলে এসেছে। এক কথায় বিদ্যুতের অফুরন্ত শক্তি আর সম্ভাবনা বর্তমান সভ্য মানুষের জীবনে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে যা অবিচ্ছেদ্য।
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা: বিদ্যৎ আবিষ্কারের পর্বে পথিবীর অবস্থা ছিল তমসাচ্ছন্ন। মানুষের চিন্তাচেতনা এবং জীবনধারণের উপায় ও পদ্ধতি ছিল খুবই জটিল। নানা কুসংস্কার মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল বলে মানুষ উন্নতির দিকে যেতে পারছিল না। তাদের কৃষি, যােগাযােগ এবং দৈনন্দিন জীবনব্যবস্থা ছিল দুর্বিষহ । বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পূর্বে পৃথিবীতে সভ্যতার গতি ছিল মন্থর।
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পরবর্তী অবস্থা: বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পরে পৃথিবী যেন আলােয় ঝলমল করে উঠল। মানুষ খুঁজে পেল জীবনের সার্থকতা । সবক্ষেত্রে পরিবর্তন সূচিত হলাে; এ পরিবর্তন উন্নয়নমুখী। মানুষের চিন্তাচেতনায় ও জীবনযাপনের পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসল । মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অনেক অসাধ্যকে সাধন করতে সক্ষম হলাে। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাকে বশে আনা, কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানাের ব্যবস্থা এবং সেইসঙ্গে কায়িক শ্রমের সাশ্রয় করা গেল বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে । যােগাযােগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি মানুষের সময়কে বাচিয়ে দিল এবং দূরত্ব কমানাের মধ্য দিয়ে তাদের মাঝে সম্প্রীতিভাব বেড়ে গেল। মােটকথা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পরে পৃথিবী নতুন সাজে সজ্জিত হলাে। গৃহস্থালির প্রয়ােজনে বিদ্যুৎ আজ বিদ্যুৎ মানবজীবনের নানা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের নিপুণ কারিগর। বৈদ্যুতিক বাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, টেলিগ্রাম, টেলিফোন, রেডিও, টেলিভিশন সই বিদ্যুতের বিস্ময়কর অবদান। ঘরের কোণে বসে আমরা আজ দূর-দূরান্তের পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করতে পারি, অনায়াসে তার সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপন করতে পারি । ব্যাধি বিজয়ের কাজেও বিদ্যুৎ লাগিয়েছে তার আরােগ্যময় হাত। বিদ্যুৎ রাত্রির অন্ধকারকে আলােকিত করেছে, তাপদগ্ধ গ্রীষ্মের নিদারুণ অস্বস্তির অবসান ঘটিয়ে ঘােরাচ্ছে পাখা, চালাচ্ছে এয়ারকুলার, বাসগৃহকে করছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। রান্নাবান্নায়ও বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কষি ও শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ বিশ্বের উৎপাদনের ইতিহাসে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আজ কলকারখানায় দ্রুততর উৎপাদনের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বিদ্যুতের কল্যাণেই। কুটির শিল্প ও ক্ষুদ্রায়তন শিল্পগুলােতেও বিদ্যুতের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একে কাজে লাগিয়ে অসংখ্য কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এতে করে মানুষের একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে তেমনই মানুষ তার মৌলিক চাহিদাসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছে। কৃষিকাজে বিদ্যুতের অবদান কম নয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারে কৃষিকাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সূচিত হয়েছে।
সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিদ্যুতের অবদান: সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিদ্যুতের অবদান অপরিসীম। বিদ্যুতের দ্বারা আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতি সম্ভব হয়েছে। আজ ‘এক্স-রে' বা রঞ্জন রশ্মির সাহাৰ্যে দেহাভ্যন্তরের সঠিক অবস্থা জানা সম্ভব হচ্ছে। অনুমাননির্ভরতা থেকে বিদ্যুৎ চিকিৎসাবিজ্ঞানকে আজ মুক্তি দিয়েছে। তা ছাড়া বর্তমানে বিদ্যুত্রশির সাহায্যে ক্যান্সারসহ প্রভৃতি দুরারােগ্য ব্যাধির চিকিৎসাও করা হচ্ছে। লেজাররে নিয়েছে আধুনিকতম শল্যচিকিৎসার ভার। পরিবহন ও যােগাযােগ সভ্যতার অন্যতম স্তম্ভ। পরিবহন ও যানবাহনের ইতিহাসে বিদ্যুতের অবদান বিস্ময়কর। ট্রাম, বৈদ্যুতিক ট্রেন পথ ও পরিবহনে এনেছে গতির উল্লাস। গগনচুম্বী অট্টালিকায় লিফট' মানুষের ওঠানামাকে করেছে সহজসাধ্য, বন্দর-রেল স্টেশনে কপিকলে মাল ওঠানাে-নামানাে হয়েছে সহজসাধ্য। অন্যদিকে টেলিগ্রাম, টেলিফোন ও টেলিপ্রিন্টার, ই-মেইল বিশ্বের যােগাযােগব্যবস্থাকে যে দুততর করে তুলেছে তা তাে বিদ্যুতেরই অবদান। জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিন অতীত হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যে পৃথিবীর খরস্রোতা নদীগুলােকে বন্দি করতে গিয়ে পেলেন অফুরন্ত জল-বিদ্যুতের সন্ধান, যা বিদ্যুৎ-উৎপাদনের ইতিহাসে সংযােজন করেছে এক নতুন অধ্যায়। বর্তমানে পরমাণু-বিদ্যুৎ উন্নত দেশগুলােতে বিদ্যুৎ সরবরাহকে করেছে আরও সুবিধাজনক। মহাকাশ অভিযানে বিদ্যুতের অবদান বিস্ময়কর। মহাকাশের হুবহু ছবি প্রেরণ, পরিমিত তাপমাত্রা সংরক্ষণ, নির্ভুল দিকস্থিতি নি সাহায্যেই সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রো ম্যাগনােটিজ প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান। রােবট বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। এ রােবটের সাহায্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সমাধা হয়ে থাকে। সাগর তলের রহস্য সন্ধানে রােবট মানুষের সাথে । অতন্দ্রপ্রহরীর মতাে কাজ করে। পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগানাে সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের সাহায্যেই। জিন প্রযুক্তিও বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল।
উপসংহার: সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনে এমনকী মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে বিদ্যুতের কোনাে বিকল্প নেই। বিদ্যুতের সঠিক ও সর্বজনীন ব্যবহারের । সুযােগ সৃষ্টি করে সভ্যতাকে আরও কয়েক ধাপ যেমন এগিয়ে নেওয়া যাবে তেমনই সকল মানুষের জন্যে বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে।।
দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা
ভূমিকা: সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের চরম উৎকর্ষে বিদ্যুতের ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যুতের অপরিমেয় শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই মানবজাতি সভ্যতার আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। মানুষের বর্তমান জীবনব্যবস্থার এমন কোনো দিক নেই যেখানে বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি। মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে যত বিষয় জড়িত, সব বিষয়েই বিদ্যুৎ এমনভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে যে, একটি মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষ এটা ছাড়া ভাবতে পারে না। ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিল্পকলকারখানা, চিকিৎসা, কৃষি, বিনোদন, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিজ্ঞানের বহুবিধ অবদানের চালিকাশক্তি হিসেবে বিদ্যুৎ আজ মূল ভূমিকায় চলে এসেছে। এককথায় বিদ্যুতের অফুরন্ত শক্তি আর সম্ভাবনা বর্তমান সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের উৎকর্ষে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে যা অবিচ্ছেদ্য।
বিদ্যুৎবিহীন পৃথিবী: বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন । মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং জীবনধারণের উপায় ও পদ্ধতি ছিল খুবই জটিল। নানা কুসংস্কার মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল বলে মানুষ উন্নতির দিকে যেতে পারছিল না। তাদের কৃষি, যোগাযোগ এবং দৈনন্দিন জীবনব্যবস্থা ছিল দুর্বিষহ।
বিদ্যুৎসেবিত পৃথিবী: বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পরে পৃথিবী যেন আলোয় ঝলমল করে উঠল । মানুষ খুঁজে পেল অগ্রগতির সঠিক বাহন। সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন সূচিত হলো। এ পরিবর্তন উন্নয়নমুখী পরিবর্তন। মানুষের চিন্তা-চেতনায় ও জীবনযাপনের পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এলো। মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অনেক অসাধ্যকে সাধন করতে সক্ষম হলো। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাকে বশে আনা, কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থা এবং সেইসঙ্গে কায়িক শ্রমের সাশ্রয় সম্ভব হলো বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে। যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি মানুষের সময়কে বাঁচিয়ে দিলো এবং দূরত্ব কমানোর মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতিভাব বাড়িয়ে দিলো । মোটকথা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পরে পৃথিবী নতুন সাজে সজ্জিত হলো ।
গৃহস্থালির প্রয়োজনে বিদ্যুৎ: আজ বিদ্যুৎ মানবজীবনের নানা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের নিপুণ কারিগর। বৈদ্যুতিক বাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, টেলিগ্রাম, টেলিফোন, রেডিও, টেলিভিশন সবই বিদ্যুতের বিস্ময়কর অবদান। বিদ্যুতের সাহায্যে ঘরের কোণে আজ দূর-দূরান্তের পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করতে পারি, অনায়াসে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। বিভিন্ন রোগ ব্যাধিকে জয়ের কাজেও বিদ্যুৎ লাগিয়েছে তার আরোগ্যময় হাত। বিদ্যুৎ রাত্রির অন্ধকারকে আলোকিত করেছে, তাপদগ্ধ গ্রীষ্মের নিদারুণ অস্বস্তির অবসান ঘটিয়ে ঘোরাচ্ছে পাখা, চালাচ্ছে এয়ার কুলার, বাসগৃহকে করেছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত । রান্নাবান্নায়ও বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কৃষি ও শিল্পে বিদ্যুৎ: বিদ্যুৎ আজ বিশ্বের উৎপাদনের ইতিহাসে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আজ কলকারখানায় দ্রুততর উৎপাদনের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বিদ্যুতের কল্যাণেই। কুটিরশিল্প ও ক্ষুদ্রায়তন শিল্পগুলোতেও বিদ্যুতের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একে কাজে লাগিয়ে ছোট বড় অনেক কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এতে করে মানুষের একদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে মানুষ তার ভোগ্যপণ্যসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে। কৃষিকাজে বিদ্যুতের অবদান কম নয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারে কৃষিকাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সূচিত হয়েছে ।
সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিদ্যুতের অবদান: সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিদ্যুতের অবদান অপরিসীম। বিদ্যুতের দ্বারা আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতি সম্ভব হয়েছে। 'এক্স-রে' বা রঞ্জন রশ্মির সাহায্যে দেহাভ্যন্তরের অবস্থা নিরূপণ করা সম্ভব। অনুমাননির্ভরতা থেকে বিদ্যুৎ চিকিৎসাবিজ্ঞানকে আজ মুক্তি দিয়েছে। তাছাড়া, বিদ্যুত্রশ্মির সাহায্যে ক্যানসার প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসাও করা হচ্ছে বর্তমানে । লেজার- রে নিয়েছে আধুনিকতম শল্যচিকিৎসার ভার। পরিবহণ ও যোগাযোগ র সভ্যতার অন্যতম স্তম্ভ বিদ্যুৎ। পরিবহন ও যানবাহনের ইতিহাসে বিদ্যুতের * অবদান বিস্ময়কর। বিদ্যুৎ স্থল, জল ও আকাশপথে এনেছে গতিময়তা। গগনচুম্বী অট্টালিকায়, 'লিফট' মানুষের ওঠা-নামাকে করেছে সহজসাধ্য, বন্দর-রেল স্টেশনে কপিকলে মাল ওঠানো-নামানো হয়েছে সহজসাধ্য। অন্যদিকে টেলিগ্রাম, টেলিফোন ও টেলিপ্রিন্টার, ই-মেইল বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে যে দ্রুততর করে তুলেছে তা তো বিদ্যুতেরই অবদান । জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিন অতীত হয়েছে। আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিকগণ বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পৃথিবীর খরস্রোতা নদীগুলোকে বন্দি করতে গিয়ে পেলেন অফুরন্ত জল-বিদ্যুতের সন্ধান, তা বিদ্যুৎ-উৎপাদনের ইতিহাসে সংযোজন করেছে এক নতুন অধ্যায়। বর্তমানে পরমাণু-বিদ্যুৎ উন্নত দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহকে করেছে আরও সুবিধাজনক। মহাকাশ অভিযানেও বিদ্যুতের অবদান বিস্ময়কর। মহাকাশের হুবহু ছবি প্রেরণ, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তথ্য সরবরাহ, পরিমিত তাপমাত্রা সংরক্ষণ, নির্ভুল দিকস্থিতি নির্ণয় প্রভৃতি বিদ্যুতের সাহায্যে সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক প্রযুক্তিনির্ভর রোবট বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। এ রোবটের সাহায্যে অনেক জটিল ও বিপজ্জনক কাজ সমাধা হয়ে থাকে। সাগরতলের রহস্য সন্ধানে রোবট মানুষের সঙ্গে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে। পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের সাহায্যেই। জিন প্রযুক্তিও বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল
উপসংহার: সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনে এমনকি অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নেই । বিদ্যুতের সঠিক ও সর্বজনীন ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে সভ্যতাকে আরও কয়েক ধাপ যেমন এগিয়ে নেওয়া যাবে, তেমনি সকল মানুষ বিদ্যুতের দ্বারা উপকৃত হতে পারবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট টি। যদি তোমাদের আজকের এই দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ রচনা ২৫ টি পয়েন্ট টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।