বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প টি।
বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প |
বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প
প্রকৃতি তাকে খুব টানে। তাই প্রতিবারের মতো শীতের ছুটিতে সে এসেছে পরিচিত প্রকৃতির কোলে। কিন্তু সারি সারি গাছ উজাড় হতে দেখে তার হৃদয়ে ওঠে বেদনার ঝড়, সে বিস্মিত হয় এই ভগ্ন প্রকৃতি দেখে। এই সারি সারি গাছ আর প্রকৃতির মাঝেই সে কাটিয়েছে তার শৈশব-কৈশোরের আনন্দমুখর দিনগুলো। এখানেই সে তার শৈশবের বন্ধুদের সাথে খেলতে আসত। অন্য পাড়ার ছেলেরাও খেলতে আসত। চারদিকে অনেক আম, জাম, জলপাই, শাল, বটগাছ ছিল। সেসব গাছ থেকে ফল পেড়ে খাওয়া ছিল তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। বন্ধুরা কেউ খেলতো আবার কেউ কেউ গাছের ছায়ায় বসে খেলা উপভোগ করত। বিস্তৃত এই বনানীর পাশেই ছিল ঘন সবুজ মাঠ। মাঠের সোনালি ফসল আর দিগন্ত বিস্তৃত গাছের সারি ছিল চোখ জুড়ানোর মতো ।
একবার ঝড়ে কিছু গাছ মারা গেলে সে ও তার বন্ধুরা মিলে প্রত্যেকে নিজেদের উদ্যোগে টাকা তুলে সেই সব ফাঁকা জায়গায় কিছু ফলের চারা লাগিয়েছিল। চারগাছগুলো যখন বড়ো হলো তখন সেগুলোকে দেখে তার মন আনন্দে ভরে যেত। সেখানে যাবার জন্য সবসময় মন ছটফট করতো। এখানকার এই গাছগুলোর সাথে আছে তার নাড়ির টান। কিন্তু আজ এতদিন পর তার সেই স্মৃতিবিজড়িত গাছগুলোকে দেখতে না পেয়ে ভিতরটা যেন দুমড়ে-মুচড়ে গেল। গাছগুলো দেখে, প্রকৃতিকে অবলোকন করে একদিন তার মন আনন্দে ভরে যেত, জীবনে নতুন উদ্দীপনা জাগতো, আর আজ! সেই প্রকৃতি, সেই গাছগুলোকে দেখতে না পেয়ে মন যেন শূন্যতায় ভরে গেছে। আজ বন্ধুরা সবাই দূরে দূরে আছে, গাছগুলো তাদের স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তা আর নেই। সে যে আবেগ নিয়ে স্মৃতিবিজড়িত প্রকৃতির কোলে ফিরে এসেছিল তা এখন অশ্রুতে পরিণত হয়েছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই বিপন্ন প্রকৃতি খুদে গল্প টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।