বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর টি।
বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর |
প্রশ্ন: বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর
উত্তর: সব ভাষার ব্যাকরণেই প্রধানত চারটি বিষয়ের আলােচনা হয়। যেমন : ধ্বনিতত্ব (phonology), ii. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology), iii. বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax) এবং iv. অর্থতত্ত্ব (Semantics)। এটিকে আবার বাগর্থতত্ত বা বাগর্থবিজ্ঞানও বলা হয়। ভাষা বিজ্ঞানের যে অংশ শব্দের অর্থ বিচার করে, অর্থের নানা দিক নিয়ে আলােচনা করে। এবং অর্থের পরিবর্তনকে নিরূপণ করে তাকেই বলা হয় শব্দার্থবিজ্ঞান বা বাগর্থবিজ্ঞান ।
শব্দের অর্থ তিন রকম হতে পারে। যেমন— i. অভিধার্থ বা বাচ্যার্থ, ii. লক্ষ্যার্থ, iii. ব্যঞ্জনার্থ বা ব্যঙ্গার্থ। এটিকে আবার ব্যঞ্জনাবিজ্ঞান বলা হয়। শব্দের অর্থ যখন বাচ্যার্থ বা। অভিধার্থ এবং লক্ষ্যার্থকে ছাপিয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় ব্যঞ্জনার্থ। যেমন— ও দেখি। ডুমুরের ফুল হয়ে গেছে। এর অর্থ ওকে আর দেখা যাচ্ছে না। শব্দ উচ্চারণ করা মাত্রই শ্রোতার কাছে ঐ শব্দটির নিজস্ব অর্থ অতিক্রম করে ভিন্ন অর্থের দ্যোতনা সৃষ্টি করে। একে ব্যঞ্জনা বলে। ব্যঞ্জনা প্রকাশ করছে এমন কিছু বাক্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, ঐসব বাক্যের ব্যাকরণিক সংগঠন থেকে যেসব অর্থ বেরিয়ে আসার ছিলাে সেসব অর্থ প্রকাশিত না হয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ প্রকাশ হচ্ছে। যেমন- আদেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকে নিষেধ, নিষেধের মধ্যে আদেশ, উক্তির মধ্যে অনুজ্ঞা, প্রশ্নের মধ্যে। নিষেধ, প্রশ্নের মধ্যে ইঙ্গিতে দাবি জানানাে। অর্থাৎ বাক্যের ব্যাকরণগত রূপ আর তার উদ্দিষ্ট অর্থের মধ্যে প্রচুর টানাপােড়েন চলে। তির্যক সম্পর্ক বা তির্যক অর্থকে ভাষাবিজ্ঞানে ব্যঞ্জনাবিজ্ঞান বলে। নিমের উদাহরণ দুটি তির্যক অর্থকে প্রকাশ করে : বাড়ি থেকে কি চায়ের পাট উঠে গেছে? এ বাক্যে প্রশ্নের মধ্যে দাবি জানানাে হয়েছে। আবার তােমাদের গরম লাগছে না? এ বাক্যে প্রশ্নের মধ্যে অনুরােধ জানানাে হয়েছে। উপরিউক্ত আলােচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় বাগর্থবিজ্ঞান শব্দের অর্থের বিসত্মারিত বিষয় নিয়ে কাজ করে আর ব্যঞ্জনাবিজ্ঞান একটি শাখা নিয়ে কাজ করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই বাগর্থ বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলােচনা কর টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।