বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে জেনে নিবো। তোমরা যদি বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে টি।
বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে |
বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে
উত্তর: বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে নিমােক্ত আট ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
১. বিশেষ্য,
২. সর্বনাম,
৩. বিশেষণ,
৪. ক্রিয়া বিশেষণ,
৫. ক্রিয়া,
৬. যােজক,
৭. অনুসর্গ এবং
৮. আবেগ-শব্দ।।
বিশেষ্য : যা দ্বারা কোনাে ব্যক্তি, স্থান, দ্রব্যসামগ্রী, গুণ বা অবস্থার নাম বােঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। বিশেষ স্থান, কাল ও অবস্থার নামও নির্দেশ করে। যেমন : নজরুল ইসলাম, ঢাকা, বাঘ, সুন্দরবন, দয়া, হাসি।
সর্বনাম : কোনাে কিছুর নাম, সংজ্ঞা বা ঐ জাতীয় কোনাে পদের পরিবর্তে যে নতুন শব্দ ব্যবহৃত হয় তাই সর্বনাম । অনেক সময় পূর্ববর্তী কোনাে প্রসঙ্গের পুনরুক্তি না করে শুধু উল্লেখের জন্য বাক্যে সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়। ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, “পূর্ববর্তী বাক্য বা বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।” বাক্যে সাধারণত সর্বনাম পদ বিশেষ্যের মতাে ভূমিকা পালন করে। বিশেষ্যের পুরুষ, কারক ও বচনভেদে তার রূপের পরিবর্তন হয়। সর্বনাম পদ অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ্য , বিশেষ্যগুচ্ছ বা বিশেষ্যস্থানীয় বাক্যাংশের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। যেমন : বিশেষ্যের পরিবর্তে- রাফি একজন ছাত্র। সে দেখতে খুব সুন্দর।
বিশেষণ : যা দ্বারা অন্য শব্দের অর্থকে বিশদ বা সীমিত করে শব্দটিকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণ বলে। এই শব্দশ্রেণি বিশেষ্যের গুণ, অবস্থা, সংখ্যা বা পরিমাণকে বােঝায়। যেমন : বড় শহর, নতুন বাড়ি, অনেক লােক।।
ক্রিয়া : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনােকিছু করা বা না করা, হওয়া বা না হওয়া ইত্যাদি কোনাে কাজ বােঝায়, তাই ক্রিয়া। এটি বাক্যের বিধেয় অংশ গঠন করে এবং বাক্যের কর্তা/উদ্দেশ্য কী করে বা তার কী হয় তা নির্দেশ করে। যেমন : বাগানে ফুল ফুটেছে। বিয়াজ ও নাফিস আগামীকাল আসবে।
ক্রিয়াবিশেষণ : যে শব্দশ্রেণি বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাই ক্রিয়াবিশেষণ। এটি ক্রিয়ার গুণ, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও অর্থপ্রকাশক শব্দ হিসেবে ভূমিকা পালন করে এবং ক্রিয়ার স্থান, কাল, উপকরণ, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থার অর্থগত ধারণা দেয় । ক্রিয়াবিশেষণ সাধারণত কর্ম ও ক্রিয়ার পূর্বে বসে। যেমন : সবাই ভয়ে ভয়ে তার সামনে দাঁড়ালাম।
আবেগ শব্দ : যে শব্দশ্রেণি বাক্যের অন্য কোনাে পদের সাথে অন্বয় বা সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়ে মনের গভীর ভাব বা অনুভূতি প্রকাশ করে তাই আবেগ শব্দ । যেমন : হুঁ, বেশ, না, হ্যা প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়।।
যােজক : যে শব্দশ্রেণি একটি বাক্যকে অন্য আরেকটি বাক্যের কিংবা একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সংযােজন, বিয়ােজন বা অর্থের অসংকোচন ঘটায় তাই যােজক। যেমন : আঁচল ও নাফিস ভাই-বােন।
অনুসর্গ ; যে শব্দ বাক্যে অন্য কোনাে পদের পরে বসে পদটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে কিংবা বিভক্তির মতাে কাজ করে তাকে অনুসর্গ বলা হয় । প্রথাগত ব্যাকরণে এদের কর্মপ্রচনীয়ও বলা হয়ে থাকে। যেমন : আমার জন্যে তুমি আর অপেক্ষা করাে না।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে টি। যদি তোমাদের আজকের এই বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।