বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো টি।
বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো |
বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
অথবা, বাংলার জনগণের নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর ।
উত্তর : ভূমিকা : মানুষ সম্পর্কিত বিদ্যা বা বিজ্ঞান হলো নৃতত্ত্ব। মানুষের মানসিকতা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান নৃতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়। বাঙালি একক কোনো নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী নয়। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মিশ্রণ-বিরোধ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে। নৃতাত্ত্বিক পণ্ডিতদের সংখ্যা গরিষ্ঠের মত হলো, বাঙালি একটি মিশ্রজাতি। নিম্নে বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলো :
১. মাথার গড়ন : ককেশয়েড, নিগ্রোদের মাথা লম্বা। অস্ট্রালয়েডদের মাথার গড়ন লম্বাটে ও মাঝারি। পক্ষান্তরে, মঙ্গোলীয়দের মাথা চওড়া ও গোল ।
২. মুখাকৃতি : ককেশয়েডদের মুখাকৃতি লম্বাটে ও সরু, নিগ্রোয়েডদের মুখাকৃতি লম্বাটে তবে ককেশয়েডদের মতো অতটা সরু নয়, অস্ট্রালয়েডদের মুখাকৃতি দেহের তুলনায় বড়, চোয়াল চওড়া, থুতনী ছোট, আর মঙ্গোলয়েডদের মুখাকৃতি গোল, চওড়া ও ভাসা ভাসা সমতল ধরনের।
৩. নাকের গড়ন : ককেশয়েডদের নাক চিকন ও উঁচু। পক্ষান্তরে নিগ্রোদের, অস্ট্রালয়েডদের থ্যাবড়া ও বোঁচা, মঙ্গোলয়েডদের মধ্যমাকৃতির ।
৪. চোখের রং ও গড়ন : ককেশয়েডদের চোখের রং হাল্কা থেকে বাদামি কালো এবং চোখের মনি নীল। নিগ্রোদের, অস্ট্রালয়েডদের অক্ষিপটের উপরের অংশ বড় এবং মঙ্গোলীয়দের কালো-বাদামি থেকে কালো। তবে অস্ট্রালয়েডদের অক্ষিপটের উপরের অংশ বড় এবং মঙ্গোলীয়দের চোখের পাতা একটু বেশি মোটা এবং চোখের আকার অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র।
৫. ঠোঁট : ককেশয়েডদের ঠোঁট পাতলা, মঙ্গোলীয়দের মাঝারি, নিগ্রো ও অস্ট্রালয়েডদের মোটা ও পুরু।
৬. কান : ককেশয়েডদের কান মাঝারি ধরনের লম্বা ও প্রশস্ত, নিগ্রোদের ও অস্ট্রালয়েডদের কান ছোট ও প্রশস্ত, মঙ্গোলীয়দের কান লম্বা ও সরু ।
৭. গায়ের রং : ককেশয়েডদের গায়ের রং সাদা ও সাদা- লালচে, মঙ্গোলয়েডদের বাদামি ও হলুদ ধরনের, নিগ্রো ও অস্ট্রালয়েডদের কালো ।
৮. মাথার চুল: ককেশয়েডদের চুলের রং বাদামি ও সোনালি এবং চুল চিকন ও সোজা ধরনের, নিগ্রোদের ও চুল কালো থেকে কালো বাদামি, চুল মোটা ও কোকড়ানো, অস্ট্রালয়েডদের চুল কালো এবং পাতলা ধরনের সোজা ও কোঁকড়া, মঙ্গোলয়েডদের চুল প্রধানত কালো ও কালো-বাদামি ধরনের তবে চুলগুলো মোটা ও খাড়া।
৯. গায়ের লোম : ককেশয়েডদের গায়ে লোম ও মুখে দাড়ির প্রাচুর্য রয়েছে, নিগ্রোদের ও অস্ট্রালয়েডদের গায়ে প্রচুর লোম আছে। তবে মুখে দাড়ির পরিমাণ কম, মঙ্গোলয়েডদের • গায়ে ও মুখে দাড়ির পরিমাণ কম।
১০. উচ্চতা ও দেহের গড়ন : ককেশয়েডদের দেহের গড়ন বলিষ্ঠ, শক্তিশালী ও লম্বা, নিগ্রোদের দেহের গড়ন শক্ত ও বলিষ্ঠ, --শক্তিশালী ও লম্বা, উচ্চতা মাঝারি ও লম্বা, অস্ট্রালয়েডদের দেহের গড়ন শক্ত, উচ্চতা খর্বাকৃতি ধরনের, মঙ্গোলীয়দের দেহের গড়ন বলিষ্ঠ তবে উচ্চতা মাঝারি ধরনের।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নৃতাত্ত্বিক অবয়ব নির্ণয়ের জন্য কোনো একটি বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণের উপর নৃতাত্ত্বিকগণ নির্ভর করে না। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগে বাঙালির নৃতাত্ত্বিক গঠন কাঠামোর সাথে রক্ত মিশ্রণের যে চলমান প্রক্রিয়া তা বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে এটি আরও বেগবান হচ্ছে। তবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাঙালি একটি সংকর জাতি বা মিশ্রজাতি
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো টি। যদি তোমাদের আজকের এই বাঙালির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।