জাহেলিয়া যুগে আরবের সদগুণ গুলি সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর টি।
জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর |
জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণগুলাে সংক্ষেপে আলােচনা কর। অথবা, ইসলামপূর্ব যুগে আরবদের সদগুণগুলাে উল্লেখ কর। অথবা, প্রাক-ইসলামি যুগে আরবদের কি কি সদগুণ ছিল?
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের আবির্ভাব ছিল মানব সভ্যতার জন্য এক যুগান্তকারী ঘটনা। ঐতিহাসিকভাবে যদিও জাহেলিয়া যুগে আরবদের কোনাে আচার আচরণ, রীতিনীতি, শিক্ষা-দীক্ষা সভ্যতার সাথে তুলনীয় নয় তবুও তাদের মধ্যে বেশ কিছু। গুণাবলি ছিল যা সত্যই প্রশংসা পাওয়ার যােগ্য।
জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ: জাহেলিয়া যুগের আরবদের কিছু গুণাবলি ছিল যা প্রশংসার দাবিদার। নিম্নে তা আলােচনা করা হলাে
১, সাহসিকতা : আরবের ভৌগােলিক পরিবেশে তাদেরকে প্রচণ্ড সাহসী করে তােলে। তারা যেকোনাে সময় শত্রুর উপর। ঝাপিয়ে পড়তে কোনরূপ দ্বিধা করতাে না। নিজের জীবনের প্রতি এমন হেয়ালীপনা অন্য কোন জাতির মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়। এদের চরম সাহসিকতার কারণেই পরবর্তীকালে মুসলিম সেনাদলের কাছে পরম প্রতাপশালী বাইজান্টাইন ও পারস্য সাম্রাজ্য মাথা অবনত করতে বাধ্য হয়েছিল।
২. স্মৃতিশক্তি : আরব কবিরা তাদের সাহিত্যকর্ম দ্বারা তাদের বর্বরতাকে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে সক্ষম হয়। আর এ সকল সাহিত্য রচনার মূলে তাদের স্মৃতিশক্তি যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাদের স্মৃতিশক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। যেকোনাে কারণে তারা তাদের স্মৃতিতে গেঁথে রাখতাে। তারা তাদের বংশধারা সম্পূর্ণ মুখস্থভাবে আওড়াতে পারত। জর্জি জিদানের মতে, আরবগণ নিজেদের পিতা, পিতামহােদয়দের নাম বিশেষভাবে স্মরণ করে রাখত।
৩, আত্মসম্মানবোধ : নিজস্ব গােত্র বা গােত্রের লোেক ছাড়া। তারা অন্য কারাে কাছে মাথা নত করতাে না। প্রবল আত্মসম্মানবােধ তাদের চরিত্রের একটি অন্যতম বড় গুণ ছিল। আরবরা তাদের গােত্র সম্পর্কে কোন খারাপ মন্তব্য শুনতে পারত। না। এমনকি গােত্রের জন্য ও গােত্রের মানুষের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত দিতে দেরী করতাে না। প্রবল আত্মসম্মানবােধের কারণে তারা প্রায়ই গােত্রে গােত্রে লড়াই করতাে।
৪, স্বাধীনতা : কোনােপ্রকার কেন্দ্রীয় শাসনাধীন না থাকায় আরবের লােকেরা গােত্রভিত্তিক স্বাধীন ছিল। স্বাধীনচেতা মনােভাব আরবের প্রত্যেক লােকের চারিত্রিক অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল।
৫ গােত্রপতির প্রতি আনুগত্য : আরবরা তাদের গােত্রপতির প্রতি অন্ধভক্ত ছিল। তারা গােত্রপতিকে অন্ধের মত অনুসরণ করতাে। গােত্রের ভালাে মন্দ, ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে গােত্র প্রধান যাই বলত তাই তারা মাথা পেতে নিত। গােত্রপতির আদেশ তাদের কাছে শিরােধার্য ছিল।
৬. অতিথিপরায়ণতা : জাহেলিয়া যুগে আরবরা বিভিন্ন দিক থেকে বর্বর থাকলেও তাদের অতিথিপরায়ণতা ছিল অন্যতম মহৎ গুণ। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের লীলাভূমিতে বসবাস করে তাদের | চরিত্র ও নানা বৈচিত্র্যময়। তারা নিজে না খেয়ে থাকতাে কিন্তু অতিথিকে আপ্যায়ন করতে কোন প্রকার দ্বিধা করতাে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জাহেলিয়া যুগে আরবের অধিবাসীদের মধ্যে খারাপ গুণ বেশি থাকলেও তাদের বেশ কিছু গুণ ছিল সত্যই প্রশংসনীয়। তবে তাদের বর্বরতার কাছে এ সকল গুণাবলি মেঘে ঢাকা চাঁদের ন্যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই জাহেলিয়া যুগে আরবদের সদগুণ গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।