সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস জেনে নিবো। তোমরা যদি সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস টি।
সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ |
সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস
উত্তর : ভূমিকা : মানব সভ্যতা সবসময় পরিবর্তনশীল। মানব সভ্যতার ইতিহাস অতীতের সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থায় এসে পৌছেছে। সুদূর অতীতকাল থেকে মানব। সভ্যতার বিস্তারের ক্ষেত্রে পৃথিবীর ইতিহাসে যে জাতির অবদান সর্বাপেক্ষা বেশি স্মরণীয় তার নাম সেমেটিক। সেমেটিক জাতির আদি বাসস্থান ছিল ইসলামের জন্মভূমি আরব দেশ। আরবগণ সেমেটিক জাতির বংশধর।
সেমেটিক জাতির পরিচয় : মহাপ্লাবনের পরবর্তীকালের ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, হজরত মুসা (আ), হজরত ঈসা (আ) ও হজরত মুহাম্মদ (সা.)-ও সেমেটিক জাতিরই সন্তান।
সেমেটিক শব্দের অর্থ : সেমেটিক শব্দটি আদি বাইবেলের “সাম” নামক শব্দ হতে উদ্ভূত হয়েছে। ধারণা করা হয়ে থাকে হজরত নূহ (আ) এর প্রথম পুত্র সামের বংশধরগণ সেমেটিক।
সেমেটিক জাতির অবস্থান : সেমেটিক জাতির আদি | বাসস্থান ছিল আরব ভূমি। ধারণা করা হয়, এক সময় পুরাে সেমেটিক জাতি এক স্থানে বসবাস করতাে। একই ভাষায় কথা | বলত। একই ধর্মে বিশ্বাস করতাে এবং একই সমাজ বিধি মেনে। চলত। পরবর্তীকালে দুঃসহ ভৌগােলিক পরিবেশ ও আর্থিক দুরবস্থার কারণে তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
সেমেটিক জাতির অবদান : মানব সভ্যতার ইতিহাসে সেমেটিক জাতির অবদান অপরিসীম। বিশ্বের তিনটি একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন এই সেমেটিক জাতিরই তিনজন অমরকৃত সন্তান। ইহুদি ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুসা (আ), খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক হজরত ঈসা (আ) এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (সা) ছিলেন সেমেটিক জাতির অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববরেণ্য তিন ব্যক্তিত্ব ।
এছাড়া মানব সভ্যতার বিকাশেও সেমেটিক জাতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হজরত ঈসা (আ) এর জন্মের প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে সেমেটিক জাতির একটি শাখা তাদের আদি বসতি স্থান আরব ত্যাগ করে টাইগ্রিসে ও ইউফ্রেটিস নদীর উপত্যকায় এসে বসবাস আরম্ভ করে। সুমেরীয় নামক অতি সভ্য জাতি পূর্ব থেকেই এখানে বসবাস করতাে। কালক্রমে তাদের মিলনে মহাসভ্যতা গড়ে উঠে সেখানে। এ সভ্যতা ব্যাবিলনীয় সভ্যতা নামে অভিহিত হয়। এরা সিরিয় সভ্যতারও জন্ম দেয়।
খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে সেমেটিক জাতির একটি শাখা সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনে হিব্রু সভ্যতা গড়ে তােলে। সেমেটিকগণের অপর একটি শাখা ভূমধ্যসাগর ও লেবানন পর্বতের মধ্যবর্তী এলাকায় ফিনিসীয় সভ্যতার সূচনা করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সেমেটিক জাতি বিশ্ব সভ্যতার বিবর্তনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাদের হাত ধরেই বিশ্বের মাঝে একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রবর্তন হয়।।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস টি। যদি তোমাদের আজকের এই সেমেটিক জাতি বলতে কি বুঝ | সেমেটিক জাতির ইতিহাস টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।