গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ টি।
গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ |
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়ােজন
ভাব-সম্প্রসারণ: ধন-সম্পদ যদি নিজের নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে দরকারের সময়ে তা কোনাে কাজে আসে না। একইভাবে জ্ঞান যদি শুধু বইয়ের পাতায় আটকে থাকে, সে-বিদ্যা ব্যক্তি তার নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারে না।
মানুষের অভিজ্ঞতা ও প্রমাণ-লব্ধ জ্ঞান বইয়ের মধ্যে সঞ্চিত থাকে। বই পাঠ করলে পৃথিবীর সব ধরনের জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়। কেউ যদি নিয়মিত বই পড়ে তাহলে সে ধীরে ধীরে নিজেকে জ্ঞানী করে তুলতে পারবে। বই থেকে অর্জিত এই জ্ঞান দিয়ে সে নিজের বা অন্যের প্রয়ােজন মেটাতে সক্ষম। বই থেকে আহরিত জ্ঞান থেকে সে নিজে যেমন আলােকিত হতে পারে, অন্যকেও আলােকিত করতে পারে। কিন্তু জ্ঞান। যদি বইয়ের মধ্যেই শুধু আবদ্ধ থাকে, তাহলে তা কারাে কোনাে কাজে আসে না। ধরা যাক, কোনাে ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে হাজার হাজার বই কিনলেন আর তা দিয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করলেন। লাইব্রেরির তাকে তাকে বইগুলােকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখলেন। কিন্তু জ্ঞানের কোনাে বিষয়ে কেউ যদি তাকে প্রশ্ন করে, তিনি তার যথাযােগ্য জবাব দিতে ব্যর্থ হবেন। আবার বইয়ের বিদ্যা না বুঝে কেবল ঠোটস্থ বা মুখস্থ করলেই হবে না। এই বিদ্যার প্রায়ােগিক দিকটিও উপলব্ধি করতে হবে। অনেকটা জায়গা-জমি বা অর্থের মতাে। নিজের সম্পদ-সম্পত্তি অন্যের হাতে থাকলে তা ভােগ করা যায় না। অন্যের কাছে থাকা অর্থ আর বইয়ের পাতার সীমাবদ্ধ জ্ঞান এভাবে সমার্থক হয়ে যায়।
বইকে শুধু পরীক্ষা পাশের উপকরণ মনে করলে চলবে না। বইয়ের জ্ঞানকে জীবনে কাজে লাগাতে পারলে তবেই সার্থকতা।
গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: গ্রন্থগত বিদ্যা যা আত্মস্থ করা হয়নি এবং পরের অধীনস্থ ধন যা করায়ত্ত হয়নি— এ সমস্তই নিরর্থক। কারণ প্রয়োজনীয় মুহূর্তে এগুলোর যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না ।
সম্প্রসারিত ভাব: পৃথিবীতে মানুষের জীবনে ধনসম্পদ ও বিদ্যার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু বিদ্যা যদি গ্রন্থের ভেতরেই মলাটবদ্ধ হয়ে নির্জীব পড়ে থাকে, মানুষ যদি তা আত্মস্থ না করে কিংবা আত্মস্থ করে জীবনপ্রবাহে কাজে লাগাতে না পারে তবে সে বিদ্যা মূলত কোনো বিদ্যাই নয়। মলাটবদ্ধ নির্জীব বিদ্যাকে মুক্ত করে এনে মানুষের আত্মার কারখানায় সচল রাখতে হবে। তবেই সে বিদ্যা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গলার্থে ব্যবহৃত হতে পারে। অন্যদিকে, নিজের অর্জিত ধনসম্পত্তি যদি অন্যের কাছে রক্ষিত থাকে, তবে প্রয়োজনের সময় রক্ষিত সম্পত্তি উদ্ধার করাও অনেক সময় প্রকট সমস্যা বলে প্রতীয়মান হয় বরং নিজের কাছে রক্ষিত ধনসম্পত্তিই প্রয়োজন মাত্র মানুষ ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং, সার্থক ও সুন্দর জীবনের প্রয়োজনে বিদ্যাকে গ্রন্থের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করে আত্মস্থ করতে হবে, পরের হাতে সংরক্ষিত নিজের সম্পত্তিকে অর্জন করতে হবে। বিদ্যা ও ধনসম্পদ যখন মানুষের যথার্থ প্রয়োজন মেটা, তখনই তার সার্থকতা। কিন্তু মানুষের যথার্থ প্রয়োজনের সময় যদি তা কাজে লাগানো না যায় তবে সেই বিদ্যা ও অর্থসম্পদের কোনো মূল্য নেই
মন্তব্য: গ্রন্থগত বিদ্যা ও পরহস্তের ধন জীবনের প্রয়োজনীয় সময়ে অব্যবহৃত থাকে বলে এগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো বিদ্যা বা ধন নয়। এ বিদ্যা ও ধনকে মানুষের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে ব্যবহারের উপযোগিতা অর্জন করতে হবে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ টি। যদি তোমাদের আজকের এই গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।