দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে জেনে নিবো। তোমরা যদি দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে টি।
দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে |
দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও নেপালের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ গ্রুপকে ক্রয় করেছে বিখ্যাত চীনা ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা গ্রুপ। এখন Alibaba গ্রুপের সদস্য দারাজ।
এই চুক্তির ফলে, আলিবাবার অভিজ্ঞ নেতৃত্বে প্রযুক্তি, অনলাইন কমার্স, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকস দ্বারা লাভবান হবে daraz, যা নিশ্চিত করবে দক্ষিণ এশিয় এই পাঁচটি দেশের সফল উন্নতি ও অগ্রগতি। এই পাঁচটি দেশের মোট জনসংখ্যা ৪৬ কোটিরও বেশি, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষের বয়স ৩৫-এর নিচে।
দারাজের কো-সিইও, বিয়ার্কে মিক্কেলসেন বলেন- “এই চুক্তির ফলে আলিবাবা পরিবারে জায়গা করে নিলো দারাজ। ‘যেকোন জায়গায় ব্যবসাকে সহজ করে তোলা’- এই কাজটি আমরা সফলভাবে করতে পেরে গর্বিত। কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদিত প্রাণে আমরা এই মার্কেটে ই-কমার্স যাত্রা শুরু করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত এর বিপুল সম্ভাবনার মাত্র ছোট্ট একটি অংশকে ছুঁতে পেরেছি আমরা”।
২০১২ সালে কার্যক্রম শুরু করে দারাজ এবং সময়ের সাথে সাথে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন শপিং গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে কোম্পানিটি সফলভাবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস পরিচালনা করছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালে। আলিবাবা ইকোসিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত হলেও দারাজের ব্র্যান্ড নামে কোন পরিবর্তন আসবে না।
দারাজের আরেক কো-সিইও, ড. জোনাথন ডোয়ার আরও বলেন- “আলিবাবার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা এই অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করার জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি, প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমরা আমাদের গ্রাহকদের কাছে সেরা পণ্যগুলো খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারবো। এবং এ সবই সম্ভব হবে সেরা প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্ম, শক্ত লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের উৎফুল্ল অংশগ্রহণের ফলে”।
দারাজের জন্ম | daraz
দারাজ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন দোকান। ২০১২ সালে পাকিস্তানে দারাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। রকেট ইন্টারনেটের উদ্যোগে মুনীব ময়ূর (প্রতিষ্ঠাতা) এবং ফারেস শাহ্ (সহ-প্রতিষ্ঠাতা) দারাজকে অনলাইন ই-কমার্স ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেপালে তাদের পরিষেবা প্রদান করে। বুজার্কি মিক্কিলেসেন দারাজের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। রকেট ইন্টারনেট ২০১৮ সালে চীনের আলিবাবা গ্রুপের কাছে ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ গ্রুপকে বিক্রি করে দেয়।
দারাজের ইতিহাস | daraz history
২০১২ সালে মুনীব ময়ূর (প্রতিষ্ঠাতা) ও ফরিস শাহ (সহ-প্রতিষ্ঠাতা) ফ্যাশন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দারাজ প্রতিষ্ঠিত করেন এবং সেই সময় মুনীব রকেট ইন্টারনেটে কাজ করতেন। দারাজের প্রাথমিক অর্থায়ন এবং কাজ রকেট ইন্টারনেট করছিল। তবে পরে এটি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে যাত্রা শুরু করলে একটি সাধারণ বাজার কৌশল এবং ব্যবসায়িক মডেলে রূপান্তরিত হয়।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটি যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইন্সটিটিউট থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ লাভ করে।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে দারাজ কায়মুকে অধিগ্রহণ করে।
২০১৮ সালের মে মাসে আলিবাবা গ্রুপ দারাজকে কিনে নেয়।
দারাজ বাংলাদেশ | daraz bangladesh
২০১৫ সালে ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে বাংলাদেশে দারাজের কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম শুরুর পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তৎকালীন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এর শুভেচ্ছা দূত হন। ২০১৫ সালে তারা গ্রাহকদের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ‘কেইমু’ দারাজের সাথে একীভূত হয়। দারাজের বিরুদ্ধে প্রায়শ ভুল ও নিম্নমানের পণ্য দেওয়ার অভিযোগ হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে টি। যদি তোমাদের আজকের এই দারাজ বাংলাদেশকে আলিবাবা কত সালে অধিগ্রহণ করে টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।