cpa মার্কেটিং কি | সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
আপনি কি জানতে চান cpa মার্কেটিং কি ও সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে এবং সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল। যদি জানতে চান cpa মার্কেটিং কি ও সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে এবং সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল তাহলে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। কারন আজকে আমরা জানবো cpa মার্কেটিং কি ও সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে এবং সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল। accounting services for small business
cpa মার্কেটিং কি | সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে |
হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব cpa মার্কেটিং কি ও সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে এবং সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল।
আশা করি আমাদের আজকের এই আরটিকেল টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। যদি ভালো লাগে তাহলে নিচে একটা কমেন্ট জানাতে ভুলবেন না। outsourced accounting services
cpa মার্কেটিং কি | সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে সিপিএ মার্কেটিং এখন সর্বাধিক জনপ্রিয়। অনলাইন বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রোডাক্ট বিক্রি না হয় পর্যন্ত কোনো কমিশন পাওয়া যায়না। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং এ প্রতি একশনেই অর্থ আয় করা যায়। accounting and bookkeeping services
এজন্য বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিং ক্যাটাগরিতে সিপিএ মার্কেটিং সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। যারা বেসিক লেভেলে আছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন সাজানো হয়েছে।
cpa মার্কেটিং কি |CPA Marketing(Cost Per Action)
প্রতিটি কাজের জন্যই এখানে অর্থ আয় করা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং কি? কস্ট পার একশন অর্থ হচ্ছে প্রতিটি কাজের জন্য অর্থ পাওয়া যায় এমন একটি অনলাইন মার্কেটিং। বিক্রেতা, বিজ্ঞাপনদাতা, কোন অ্যাপ নির্মাতা অথবা সার্ভেকারি প্রতিষ্ঠান যে কেউই সিপিএ মার্কেটিং করাতে পারে।
সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট এর প্রোমোশন বা সেল বৃদ্ধি করে থাকে। সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে সাধারণত বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায়, ওয়েবসাইটে বা ব্লগ সাইটে লিংক শেয়ার করা হয়ে থাকে। এই লিংকগুলোতে উক্ত পেজের ভিজিটররা ক্লিক করলে, রেজিষ্ট্রেশন করে প্রোডাক্ট কিনলে অথবা সার্ভেতে অংশগ্রহন করলে সিপিএ মার্কেটার একটি কমিশন পাবেন।
সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা হয়?
সিপিএ মার্কেটিং এর সংজ্ঞা থেকে হয়ত অনেকেই সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছেন। কিন্তু এখনো বুঝে উঠতে পারেন নি যে আসলে সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা হয়।
কিছু উদাহরণ এর সাহায্যে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বলা যায়৷ মনে করুন আপনি ফেসবুকে একটি স্টাডি বা চাকরির প্রস্তুতি গ্রুপে আছেন। সেখানে চাকরির প্রস্তুতি বিষয়ে অনেক পোস্ট দেওয়া হয়। সেসব পোস্টের কমেন্টে দেখবেন অনেক কোচিং সেন্টার অথবা বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকে। বিজ্ঞাপনের সাথে যোগাযোগের লিংক দেওয়া থাকে।
এই লিংকে ক্লিক করে যদি বইটি অর্ডার করেন অথবা নাও করেন তাহলেও যিনি লিংকটি শেয়ার করেন তিনি একটি কমিশন পাবেন। সিপিএ মার্কেটিং এর কাজই হচ্ছে বিভিন্ন লিংক এর মাধ্যমে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা ধারণার প্রোমোশন বা সেল বৃদ্ধি করা।
নিজের ব্লগ, ওয়েবসাইট ছাড়াও স্যোশাল মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজের কমেন্ট এর মাধ্যমেও সিপিএ মার্কেটিং করা যায়। তবে এক্ষেত্রে কমিশন খুব বেশী আসেনা। কারণ ভিজিটররা অপরিচিত কারো কমেন্টে সবসময় ক্লিক নাও করতে পারে।
এজন্য প্রোডাক্ট এর প্রোমোশনের জন্য সিপিএ মার্কেটাররা পরিচিত এবং জনপ্রিয় কোন ব্লগার, ইউটিউবারদের সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ দিয়ে থাকে। কারণ তারা প্রোমোশন করলে তাদের ফলো করতে থাকা ফলোয়াররা প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবেন।
সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়
বর্তমান সময়ে সিপিএ মার্কেটিং অনলাইন আয়ের খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। সিপিএ মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর চেয়ে সহজ। কারন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে লিংক শেয়ার করা হয় তাতে ক্লিক করে যদি সেল হয় তাহলেই কেবল কমিশন পাওয়া যায়। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং এ লিংকে ক্লিক করলেই একটি মিনিমাম কমিশন পাওয়া যায়।
বিষয়টি আরও সহজ করে বললে বলা যায়, মনে করুন আপনার একটি বিউটি ব্লগ আছে আছে। সেখানে আপনি ত্বকের জন্য বিভিন্ন বিউটি টিপসের পাশাপাশি একটি ব্রান্ডের পণ্যের লিংক শেয়ার করে দিলেন। আপনার ব্লগ পড়তে আসা পাঠকরা সেই লিংকে ক্লিক করে পণ্য সম্পর্কে জানতে পারলো এবং অনেকেই সেটা কিনতে আগ্রহী হল এবং কিনলো।
এই যে আপনার ব্লগে পণ্যের লিংক শেয়ার করে আপনি পণ্যটির সম্ভাব্য কাস্টমার বাড়িয়ে দিলেন এই কাজটিকে বলে সিপিএ মার্কেটিং। সিপিএ মার্কেটিং করতে লাগবে মেইল আইডি , একটি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল, মানসম্মত কন্টেন্ট এবং অনেক ভিজিটর যারা আপনার ব্লগ পড়ে অথবা চ্যানেল এর ভিডিও দেখে। আপনি প্রায়ই দেখবেন জনপ্রিয় ইউটিউব ভিডিওগুলোতে ইউটিউবাররা বিভিন্ন পণ্যের লিংক তাদের ভিডিওর ডেসক্রিপশন বক্স এ শেয়ার করে।
এখন এই লিংকে যত ভিজিটর ক্লিক করবেন ওই ইউটিউবার তত কমিশন পাবেন। এটি সিপিএ মার্কেটিং। অনলাইনে বর্তমানে ঝুঁকিমুক্ত যত কাজ আছে তার মধ্যে সিপিএ মার্কেটিং অন্যতম এবং বলতে গেলে সবচেয়ে নিরাপদ কাজ। কারন এ কাজে আপনার ক্ষতি নেই।
সিপিএ একাউন্ট করতে কি কি লাগে?
সিপিএ মার্কেটিং করতে শুরুতেই আপনার একটি মেইল আইডি, একটি ওয়েবসাইট লাগবে, অথবা কোন ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন হবে । কিন্তু যেহেতু সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করে থাকে এবং বিক্রি বাড়াতে চায় তাই তারা চাইবে অনেক ভিজিটর আছে এমন ওয়েবসাইট অথবা চ্যানেলে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বা লিংক শেয়ার করতে।
তাই আপনার ওয়েবসাইটটি সেভাবে সাজানো থাকতে হবে। একটিভ থাকতে হবে এবং ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলে যদি সিপিএ মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার চ্যানেল মনিটাইজ করতে হবে। এবং চ্যানেল এর ভিউয়ার অনেক হতে হবে। যদি ভিজিটর কম হয় সেক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের লিংকে বেশি ক্লিক হবেনা, তাই এমন ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে বিজ্ঞাপনদাতারা সিপিএ মার্কেটিং করবে না।
সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
সিপিএ মার্কেটার হতে গেলে খুব বেশী কোন যোগ্যতা প্রয়োজন নেই। কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে। স্যোশাল মিডিয়ায় একটিভ থাকতে হবে এবং স্যোশাল মিডিয়া চালনায় পারদর্শী হতে হবে। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সিপিএ মার্কেটিং করবেন সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রিলেটেড স্যোশাল মিডিয়া গ্রুপ বা পেজে আপনাকে একটিভ থাকতে হবে।
টার্গেট অডিয়েন্স সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং এনালাইসিস করতে হবে। কারণ যদি টার্গেট অডিয়েন্স না বুঝেই মার্কেটিং করেন তবে তা ফলপ্রসু হবেনা। যেসব ইউটিউবার সিপিএ মার্কেটিং করবেন তাদের বাচনভঙ্গী এবং মার্কেটিং পলিসি আকর্ষনীয় হতে হবে।
যেমন আপনি একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক যদি ডেসক্রিপশন বক্সে দিতে চান তাহলে তার আগে আপনাকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে বলে নিতে হবে। যেন অডিয়েন্স আপনার কথায় আকর্ষিত হয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়। আগ্রহী অডিয়েন্স মানেই ভবিষ্যত ক্রেতা তৈরি হওয়া। আর সিপিএ মার্কেটিং এ প্রতিটি একশনের জন্যই সিপিএ মার্কেটার
কমিশন পেয়ে থাকেন। যার জন্য সিপিএ মার্কেটিং কে বলা হয় কস্ট পার অ্যাকশন(Cost Per Action)। ওয়েবসাইট, চ্যানেল খোলা, ইমেইল করা এসব বিষয় জানতে হবে এবং সেই সাথে ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। যারা ব্লগের মাধ্যমে সিপিএ মার্কেটিং করতে চান তাদের কন্টেন্ট বা ব্লগ আকর্ষনীয় ও সাবলীল হতে হবে। যাতে তাতে প্রচুর ভিজিটর আসে।
কী-ওয়ার্ড এবং এসইও সম্পর্কে ভালো দখল থাকতে হবে যাতে আর্টিকেল বা বগ্ল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করে। ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর না থাকলে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সিপিএ মার্কেটিং এর জন্য কোম্পানি সেসব ওয়েবসাইটকে কাজ দেয় না। কারণ তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে অডিয়েন্সদের জানানো এবং ভবিষ্যত ক্রেতা তৈরি করা।
বিভিন্ন সার্ভে কোম্পানি, অ্যাপস বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, কোচিং বা বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান, ইমপ্লোয়ী হায়ারিং ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলো সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করছে। বিনিময়ে সিপিএ মার্কেটার ঝুঁকিমুক্তভাবে কমিশন আয় করতে পারছেন।
সিপিএ মার্কেটিং এর সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পার্থক্য
সিপিএ মার্কেটিং এর কাজগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতই। তবে পার্থক্য হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনাকে পণ্য বিক্রয় করতে হবে তারপর আপনি কমিশন পাবেন , কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং এ আপনি বিক্রি না হলেও কমিশন পাবেন।
সিপিএ মার্কেটিং এর কাজগুলো শুধু প্রোডাক্ট বিক্রি করা নয়। কাজের মধ্যে রয়েছে ইমেইল সাবমিশন, ফরম ফিল আপ, সার্ভে, রেজিস্ট্রেশন , প্রমোশন, ভোট, প্রোডাক্ট বিক্রয়,গেম অথবা সফটওয়্যার ডাউনলোড ইত্যাদি। আপনি প্রায়ই ফেসবুকে দেখবেন বিভিন্ন মজার ওয়ালপেপার বা গেমিং সফটওয়্যার এর বিজ্ঞাপন, সেখানে আপনি যখন ক্লিক করেন তখন শেয়ারকারী একটি কমিশন পেয়ে থাকেন, এটাই সিপিএ মার্কেটিং।
সিপিএ মার্কেটিং করে আয় এর পরিমাণ . cpa মার্কেটিং করে আয়
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং আয়ের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ হয়না। আপনি যতটুকু কাজ করবেন সে অনুযায়ী আয় করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিং এ যেমন ওয়ার্ড ভিত্তিক পেমেন্ট করা হয়। ফটো এডিটিং এ প্রতিটি ফটোর জন্য পেমেন্ট করা হয়।
লোগো তৈরিতে প্রতিটি লোগোর জন্য পেমেন্ট করা হয়। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং একটি লিংক শেয়ার করা হলে সেই লিংক এ ক্লিক করে কতজন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানল বা ক্রয় করল তার উপর ভিত্তি করে সিপিএ মার্কেটার কমিশন পাবেন।
তার মানে শেয়ারকৃত লিংক যত ভিজিটর ক্লিক করবেন সে অনুযায়ী অর্থ আয় করতে পারবেন। এখন যাদের ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসে তারা অবশ্যই আয়ের দিক থেকে এভিয়ে থাকবেন। যেসব ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বেশী তাদের চ্যানেলে ভিউও বেশী। তাই অনেক বেশী ভিউয়ার তাদের শেয়ারকৃত লিংকে ক্লিক করবেন। এতে তাদের আয়ের পরিমাণও বেশী হবে।
যদি কোন সফটওয়্যার কোম্পানি তাদের তৈরিকৃত সফটওয়্যারের প্রোমোশন করাতে সিপিএ মার্কেটিং করায় এবং লিংক প্রতি ক্লিকে ১ ডলার করে দেয় তাহলে ১০০ জন ভিজিটর লিংক প্রতিদিন লিংকে ক্লিক করলে সিপিএ মার্কেটার এর আয় হবে ১০০ ডলার। তাহলে মাসে আয় হবে ৩ হাজার ডলার। এভাবে ভিজিটর অনুযায়ী এবং কোম্পানি কতৃক অফারকৃত অর্থ অনুযায়ী আপনার আয় হবে।
তবে আয় যেটাই হোক তা করতে গেলে সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে এনালাইসিস করতে হবে। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। শুধু লিংক প্রোমোট করলে লিংকে ভিজিটির আসবে না। এরজন্য উপযুক্ত কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।
সিপিএ মার্কেটিং সাইট | CPA Marketing Site
সিপিএ মার্কেটিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে যদি নিতে চান সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে কোর্স করে নিতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতই সিপিএ মার্কেটিং শিখতে কোন ভালো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন। অনলাইন এ ও এখন সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল পাবেন।
অথবা ভালো কোন ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট থেকে সিপিএ মার্কেটিং বেসিক এবং এডভান্স শিখে নিতে পারেন। আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে সিপিএ মার্কেটিং এর বেসিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। সিপিএ নেটওয়ার্ক থেকে আপনারা সিপিএ মার্কেটিং এর কাজগুলো নিতে পারবেন। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত সিপিএ নেটওয়ার্কগুলো হচ্ছে
1.Zeydoo ·
2. ClickDealer ·
3. Maxweb ·
4. Traffic Company ·
5. AdCombo ·
6. CPAFull ·
7. Golden Goose.
এই নেটওয়ার্কগুলো থেকে সিপিএ মার্কেটিং এর কাজগুলো নিতে পারবেন। তবে সিপিএ মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে হলে কোন উপায়ে লিংক শেয়ার করলে বা কোথায় শেয়ার করলে বেশি ভিজিটর আসবে এটা নিয়ে বিশেষ জ্ঞান থাকতে হবে।
কারণ শেয়ারকৃত লিংকে কতজন ক্লিক করছেন তার উপর আপনার কমিশন নির্ভর করে। আপনার কাজের ধরণ, কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর সিপিএ মার্কেটিং করছেন এসব কিছু নিয়ে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে এবং সেভাবে পণ্যগুলোর বিজ্ঞাপন দিয়ে লিংক শেয়ার করতে হবে।
এর অর্থ হচ্ছে আপনি লিংকের সাথে যদি কোনো ডেসক্রিপশন না দেন তাহলে ভিজিটররা এসব লিংকে ক্লিক করবে না। তাই লিংকের সাথে লিংক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে হবে। যদি ইউটিউবে ডেসক্রিপশন এ লিংক শেয়ার করেন তাহলে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে বিজ্ঞাপন আকারে লিংকটি শেয়ার করুন। আপনি লিংকটিকে যত আকর্ষণীয়ভাবে শেয়ার করবেন লিংকটি ততোই ভিজিটর আনতে সক্ষম হবে।
সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল
এতক্ষন আমরা সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে আলাদা আলাদাভাবে জেনেছি। এখন সিপিএ মার্কেটিং এর সম্পূর্ন টিউটোরিয়াল শেয়ার করছি। প্রথমত যদি কেউ সিপিএ মার্কেটিং এ আগ্রহী হন তবে আগে বেসিক জানুন। সিপিএ মার্কেটিং কি? সিপিএ মার্কেটিং করলে কি হয়? কি কি যোগ্যতা লাগে? কিভাবে শিখবেন? কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করলে আয় বেশী হবে?
সিপিএ মার্কেটিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া যায় কিনা? এগুলো জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সহ অন্যান্য দেশী-বিদেশী ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তাহলে সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা পাবেন।
এরপর বেসিক কম্পিউটার এবং স্যোশাল মিডিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। স্যোশাল মিডিয়াতে কিভাবে পণ্যের প্রচার, প্রসার এবং বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়? কারা দেন, কিভাবে দেন এগুলো অনুসরণ করুন। ফেসবুকে "Afrin anis Rahman" এবং ইউটিউবে "Bong Guy" সিপিএ মার্কেটিং করে থাকেন। এই দুইজনের পেজ এবং চ্যানেল ভিজিট করে তাদের মার্কেটিং পদ্ধতি দেখতে পারেন।
এরকম আরও অনেকেই আছেন। আপনার ইচ্ছামত যে কারো মার্কেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। নিজে স্যোশাল মিডিয়াতে একটিভ থাকুন৷ বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপে একটিভিটি বাড়ান, যাতে অনেকেই আপনাকে চেনে। আপনার আলাদা একটি পরিচিতি থাকে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাড হয়ে রেগুলার পোস্ট দিতে পারেন। কমেন্ট করে, রিয়্যাক্ট দিয়ে নিজের পরিচিতি তৈরি করুন। এই সাথে বেসিক ইংলিশ, প্রেজেন্টেশন, বিজ্ঞাপনের কৌশল অনুশীলন করুন। কারণ সফল সিপিএ মার্কেটার হতে গেলে আপনাকে এগুলো জানতে হবে।
প্রথম অবস্থায় কিছু কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সফটওয়্যার লিংক বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে শেয়ার করে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। এভাবে খুব বেশি আয় করা সম্ভব না হলেও মার্কেটিং এর কাজ শিখে ফেলতে পারবেন।
বিভিন্ন গ্রুপ বা নিজের স্যোশাল মিডিয়া প্রোফাইল এ লিংক শেয়ার করার সময় লিংকের সাথে উপযুক্ত ক্যাপশন ব্যবহার করুন যাতে ভিজিটর আকৃষ্ট হয়। এভাবে আপনি শুরু করতে পারেন। এরপর এডভান্স লেভেলে সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ করতে হলে আপনি একটি ডোমেইন নাম এবং ওয়েবসাইট কিনে নিজের ব্লগ শুরু করুন।
অথবা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন অথবা স্যোশাল মিডিয়াতে বিজনেস পেজ খুলতে পারেন। পেজে নিজের মত করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস, সফটওয়্যার এর বিস্তারিত শেয়ার করতে থাকুন। প্রমোশন করুন সাথে হোমপেজ সাজান। ব্লগ সাইট হলে ওয়ার্ডপ্রেস থিম কিনুন। মার্কেটিং লিংক এমনভাবে শেয়ার করুন যাতে ভিজিটররা ক্লিক করতে আকৃষ্ট হয়।
আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিপিএ মার্কেটিং করুন। যেমন আপনার একটি ফুড রিলেটেড চ্যানেল থাকলে সেই চ্যানেলে ফুড পেজ, রেস্টুরেন্ট, ফুড রিলেটেড বই, কোন ফুড শপের্ লিংক শেয়ার করতে পারেন। এক্ষেত্রে মার্কেটিং কৌশল শিখতে বিভিন্ন জনপ্রিয় পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও দেখতে পারেন।
কোন কাজে সফল হতে গেলে অবশ্যই এ বিষয়ে যারা অগ্রগামী তাদের কৌশল অনুসরণ করা উচিত। সেই সাথে নিজের উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে আপনি সিপিএ মার্কেটিং এ সফল হতে পারেন। সিপিএ মার্কেটিং এ আপনার কোন ঝুঁকি নেই। ঝুঁকিমুক্ত আয় হিসাবে তাই সিপিএ মার্কেটিং এর কদর বেড়েই চলেছে। এভাবে আপনি একইসাথে ব্লগার , ইউটিউবার এবং সিপিএ মার্কেটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। চাইলে এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। তবে যখন আপনি এ বিষয়ে সফল হবেন তখন আনলিমিটেড অর্থ আয় করতে পারবেন।
শেষ কথা ঃ cpa মার্কেটিং কি | সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
অনলাইনে বিস্তৃত কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। তাই আয়ের নেই কোন বাঁধাধরা নিয়ম। আপনি যত কাজ করবেন তত বেশি অর্থ যায় করতে পারবেন। ঝুঁকিমুক্তভাবে আয়ের জন্য সিপিএ মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে cpa মার্কেটিং কি | সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর প্রয়াস করা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। পরবর্তীতে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তা কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। cpa মার্কেটিং কি, সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে, সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল, সিপিএ শেখার বই, সিপিএ মার্কেটিং টিউটোরিয়াল, সিপিএ মার্কেটিং কাকে বলে, সিপিএ মার্কেটিং ফ্রি ট্রাফিক