বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক ২০২৪ | যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ
আপনি কি জানতে চান যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ ও বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক ২০২৩ ? যদি জানতে চান যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ ও বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তাহলে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ |
হ্যালো বন্ধুরা আজকের ব্লগের বিষয় হলো যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ ও বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক । আশা করি আপনি এই তথ্য টি জানার জন্য এই লেখাটি পুরোটা পড়বেন।
বিনা জামানতে ঋণ | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
শিরোনাম শুনেই নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন ঋণ তাও আবার জামানত ছাড়া? এটা কিভাবে সম্ভব? কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই জামানত ছাড়া Bank Loan প্রদান করবে না। করবেই বা কেন? জামানত না রাখলে ঋণের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত হবে?
এরকম হাজার প্রশ্ন মাথায় আসছে তো? আসাটাই স্বাভাবিক! তবে Digital বাংলাদেশে এখন এমন অনেক কিছুই হবে যা হয়নি আগে। কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত বা মর্টগেজ না রেখেই কিছু সহজ শর্তে জামানত ছাড়া নিদিষ্ট কিছু Bank Loan গ্রহন করতে পারবেন।
ঋণের প্রকারভেদ ও ঋণ গ্রহনের যোগ্যতা | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
জামানত ছাড়াই নিতে পারবেন Home Loan, বিজনেস লোন সহ আরও বিভিন্ন প্রকার লোন। তবে জামানত ছাড়াই ঋণ মানেই যে তা ব্যাংক আদায় করবে না এমনটা একেবারেই নয়। ঋণ নেওয়ার জন্য গ্রাহকের যোগ্যতা থাকতে হবে।
দিতে হবে ঋণের উপর নিদিষ্ট হারে সুদ। ঋণ পরিশোধ করতে হবে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে৷ হতে হবে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। ঋণ গ্রহীতার নিজস্ব জমি থাকতে হবে। একজন Bangk Account ধারী এবং ব্যাংকের কাছে গ্রহনযোগ্য গ্যারান্টার থাকতে হবে যে নিশ্চয়তা দেবে যে গ্রাহক অবশ্যই ঋণের অর্থ সঠিক সময়ে পরিশোধ করবে।
এছাড়াও ঋণের উদ্দেশ্য ভেদে মেয়াদ, ঋণ গ্রহনের নিয়ম, সুদের হার, যোগ্যাতার পরিবর্তন হবে৷ সকল ব্যাংক একই শর্তে ঋণ প্রদান করে না। বাংলাদেশ ব্যাংক সহজ শর্তে হোম লোন প্রদান করে। কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করে বেকারদের যাতে তারা ঋণের অর্থ দিয়ে নিজেদের আত্নকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। মোবাইল Banking এর মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয় ক্ষুদ্রশিল্পকে উৎসাহিত করতে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বর্তমানে কোন কোন ব্যাংক সহজ শর্তে জামানত ছাড়া Loan প্রদান করছে।
জামানত ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা গৃহ ঋণ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
জামানত ছাড়াই ৩০ লাখ ঋণ পাবেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত ছাড়াই ঋণ দেবে। ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ, ১৮ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছর মেয়াদে এই ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে।
অর্থ্যাৎ Loan পরিশোধ শুরু হবে ঋণ নেওয়ার ১৮ মাস পর থেকে। গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা এক সার্কুলারে এসব বলা হয়। পরিবেশবান্ধব খাতে বিশ্বব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকা পূণঃঅর্থায়ন কর্মসূচীর আওতায় এই জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করা হবে।
ব্যক্তির পাশাপাশি আবাসন কোম্পানিকেও ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করা হবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে ৭৫০ বর্গফুট পরিবেশবান্ধব ফ্ল্যাট নির্মাণ করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্য তারা এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। আবাসন কোম্পানির ক্ষেত্রেও ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, ঋণের মেয়াদ এবং গ্রেস পিরিয়ড অপরিবর্তিত থাকবে। বনায়ন, ছাদের কৃষি, বায়োফ্লেক, মাছ চাষ, জৈব সার, কম্পোস্ট সার উৎপাদনের ক্ষেত্রেও উদ্যোক্তাদের এই জামানত ছাড়া ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে।
ঋণের ক্ষেত্রে যারা অগ্রাধিকার পাবেন | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
১. ৫, ১০ ও ৫০ টাকার ব্যাংক হিসাব ধারীরা।
২. করোনাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ উদ্যোক্তারা।
৩. নিম্নবিত্ত ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক আয়ের মানুষেরা।
৪. মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ কিভাবে নেবেন? | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সহজেই জামানত ছাড়া Bank Loan নিতে পারেন। কি বিশ্বাস হচ্ছেনা? বেশীরভাগ মানুষই ভাবেন জামানত ছাড়া ঋণ আসলে পাওয়া যায়না। এজন্য তারা ঋণের ব্যাপারে খোঁজও রাখেনা। বেশীরভাগ মানুষই ঋণ নেয় না কারণ তারা ঋণের ব্যাপারে অবিশ্বাসী এবং এ সম্পরতকে সঠিক তথ্য জানে না বলে।
আজ আমরা আপনাদের জন্য সঠিক তথ্যগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। কর্মসংস্থান ব্যাংক গঠিত হয়েছে বাংলাদেশের বেকার জনগোষ্ঠীদের আয়ের সুযোগ করে দিতে, তাদের বেকারত্ব ঘুচিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে৷ যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং প্রতিষ্ঠিত তাদের জন্য এই ব্যাংক নয়।
কারণ কর্মসংস্থান বেকার যুবকদের আত্নকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করে থাকে। এই অর্থ জামানত ছাড়াই প্রদান করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এবং শিশুশ্রমকে নিরুৎসাহিত করার জন্য এই Bank Loan দেওয়া হয়।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতাঃ- | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
১. ঋণগ্রহনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে৷
৩. ঋণগ্রহীতাকে বেকার অথবা অর্ধবেকার হতে হবে৷
৪. ঋণগ্রহীতার বয়স ১৮ থেকে ৪৫ এর মধ্যে হতে হবে। তবে পুরাতন ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।
৫. কর্মসংস্থান ব্যাংকে ঋণগ্রহীতার পরিচিত কারো একাউন্ট থাকতে হবে। রেফারেন্স থাকলে তাদেরকে ব্যাংক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
৬. উদ্যোক্তার ইক্যুইটি বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
৭. উদ্যোক্তা একবারে ১ থেকে দেড়লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। কাজের অগ্রগতি, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা দেখাতে পারলে পরবর্তীতে বড় অংকের ঋণ নিতে পারবেন। তাই প্রথমেই বড় অংকের ঋণ চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। না হলে ঋণ পাওয়া যাবেনা।
৮. উদ্যোক্তাদের প্রকল্প পরিচালনার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৯. ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতা থাকতে হবে এবং আর্থিক আচরণে সুনামের অধিকারী হতে হবে৷ অর্থ্যাৎ ঋনের কিস্তি সময়মত পরিশোধ করতে হবে৷ ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার করে প্রকল্পকে লাভজনক করা জানতে হবে৷
১০. অন্য কোন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপী হওয়া কোন ব্যক্তি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন না।
১১. লাভজনক খাতে ঋণের আবেদন করতে হবে। অলাভজনক খাতে ব্যাংক ঋণ প্রদান করেনা।
১২. পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে। তবে একান্তই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, সদ্য তোলা ছবি, এগুলো নিয়ে যেতে হবে।
১৩. ব্যাংক তাদেরকেই ঋণ প্রদান করে যাদের মালিকানাধীন জমি আছে। যাদের নিজস্ব জমি নেই তারা ব্যাংক ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
অগ্রণী ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংক থেকে যেকোন উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ তিনলক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। অগ্রণী ব্যাংকের এই ঋণ প্রকল্পের নাম "Any Purpose loan"। এই ঋণ। ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ঋণ দিয়ে থাকে। যেমন আবাসন লোন, কর্মসংস্থান লোন, কৃষি ঋণ, ক্ষুদ্রঋণ ইত্যাদি। তবে অগ্রণী ব্যাংকের "Any Purpose loan" থেকে আপনি যেকোন উদ্দেশ্যেই ঋণ নিতে পারবেন।
উদ্দেশ্যে বিবেচনা করে এখান থেকে ঋণ৷ ইতে হবেনা। যেহেতু সর্বোচ্চ তিনলক্ষ টাকা পর্যন্ত এই ঋণ গ্রহন করা যায় তাই এতে উদ্দেশ্য মূখ্য নয়। তবে অবশ্যই ঋণ গ্রহনের বেশকিছু যোগ্যতা এবং শর্তাবলি রয়েছে৷ বেশীরভাগ ঋণ গ্রহীতাই ব্যাংকের ঋণের প্রকারভেদ, তাদের ঋণদান প্যাকেজ সম্পর্কে জানেন না। এজন্যই তারা সুযোগ থাকা সত্তেও ঋণের জন্য কখনো এপ্লাই করেন না।
এছাড়া বেশীরভাগ ঋণগ্রহীতাই মনে করেন ঋণ চাইলে আসলে পাওয়া যায়না। তাই তারা ঋণ চেয়ে ভোগান্তি বাড়াতে চায়না। ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া অবশ্যই সোজা নয়। কিন্তু যোগ্যতা এবং সঠিক তথ্যসমূহ জানা থাকলে কঠিনও নয়। এজন্য আজ আমরা আপনাদের সুবিধার্থে অগ্রণী ব্যাংক থেকে "Any Purpose loan" থেকে কিভাবে সর্বোচ্চ তিনলক্ষ টাকা পর্যন্ত Bank Loan নিতে পারবেন তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব।
১. অগ্রণী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ তিনলক্ষ টাকা Bank Loan আপনি সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে নিতে পারবেন।
২. মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতাকে লোন পরিশোধ করতে হবে৷ মাসিক ছাড়া বাৎসরিক মেয়াদে বা অন্য কোনভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না। ঋণের পরিমাণের উপর নির্ভর করে ব্যাংক ঋনগ্রহীতার মাসিক কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। কিস্তিতে আসল এবং সুদ মিলিয়ে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
৩. কমপক্ষে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন অথবা পাঁচ বছর হল চাকরি ছেড়েছেন এমন গ্রহীতাদের ঋণ প্রদান করা হবে।
৪. ঋণের উপর ৯% সুদ দিতে হবে ব্যাংককে এবং সেটা মাসিক ইন্সটলমেন্ট বা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
৫. ঋণ গ্রহন করতে হলে ঋণগ্রহীতাকে একজন সচ্ছল ব্যক্তিকে গ্যারান্টার করতে হবে৷ কোন কারণে গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যারান্টার ঋণ পরিশোধ করবেন। গ্যারান্টার বা ঋণগ্রহীতার ক্লায়েন্টের অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে বা অন্য কোন ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।
৬. ঋণ গ্রহন এবং পরিশোধ পদ্ধতি বেশ সহজ। এর জন্য গ্রাহককে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হবেনা।
৭. ঋণ গ্রহনের পরিমাণ সর্বোচ্চ তিনলক্ষ টাকা। অর্থ্যাৎ গ্রাহক চাইলে তিনলক্ষের কম অর্থও ঋণ নিতে পারবেন অগ্রণী ব্যাংক থেকে।
অনেকেই ভেবে থাকেন ঋণের বিষয়গুলো আসলে সত্য নয়। তাই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানতে অগ্রণী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তাহলেই তাদের আপডেট লোন প্রজেক্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এই হট লাইনে কল করতে পারেন 9554188।
এবি ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
এবি ব্যাংক বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক। বর্তমানে তাদের বিভিন্ন এসএমই ঋণ সেবাসমূহ রয়েছে।
এবি ব্যাংকের "ছোট পুঁজি" নামক ঋণ সেবা থেকে ব্যবসায়ীরা জামানত ছাড়া ঋণ নিয়ে তাদের মূলধনের চাহিদা মেটাতে পারেন। দেশের ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা শ্রেণীর ব্যবসায় সম্প্রসারণ এ এবি ব্যাংকের রয়েছে বিভিন্ন লোন সুবিধা। কিন্তু এদের মধ্যে জামানত দ্বারা Bank Loan সুবিধাই বেশী। যেহেতু আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জামানত ছাড়া কিভাবে ঋণ পাবেন, তাই আমরা আলোচনা করব এবি ব্যাংকের "ছোট পুঁজি" ঋণ সুবিধা নিয়ে।
১. ব্যবসায়ের জন্য স্থায়ী মূলধন বা স্থায়ী বিনিয়োগের জন্য এবি ব্যাংক ব্যবসায়ীদের এই ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে।
২. ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ হয় ব্যবসায়ীদের মজুত পণ্যের মূল্যের উপর ভিত্তি করে। অর্থ্যাৎ তাদের প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদকৃত পণ্যের ৮০% মূল্য পর্যন্ত তারা Bank Loan নিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ব্যাংক।
৩. ঋণ গ্রহীতা ব্যবসায়ী এককালীন অথবা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই ঋণ পরিশোধের উপায়গুলো নির্ধারণ করেছে এবি ব্যাংক।
৪. ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন বছর। এককালীন, থোক অথবা কিস্তিতে, যেভাবেই Bank Loan পরিশোধ করুন না কেন ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ীকে অবশ্যই তিন বছরের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
৫. জামানত ছাড়া ব্যবসায়ীদের মূলধন এবং বিনিয়োগের জন্য এবি ব্যাংক এই ঋণ প্রদান করলেও অবশ্যই গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রী অথবা পিতা গ্যারান্টার হতে পারবে। অথবা ব্যাংকের নিকট গ্রহনযোগ্য স্বচ্ছল এবং ব্যাংক একাউন্ট আছে এমন কোন তৃতীয় ব্যক্তি ঋণগ্রহীতার পক্ষে গ্যারান্টার হতে পারবে। কোন কারণে ঋণ গ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যারান্টার তার ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকবেন।
৬. ঋণ নিতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, সদ্য তোলা ছবি, গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয়পত্র, তার সদ্যতোলা ছবি, জন্ম নিবন্ধন সনদ এগুলোর কপি প্রয়োজন হবে৷ এবি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে অথবা নিকটস্থ এবি ব্যাংকের শাখার হেল্প ডেস্ক থেকে বাকি তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
দেশের মানুষের আর্থিক সুবিধা এবং অর্থের নিরাপত্তার জন্যই মূলত ব্যাংক সেক্টরের আবির্ভাব। দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রচার, প্রসার, সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়ীদের উন্নতি এবং সুবিধার জন্যই এবি ব্যাংকের "ছোট পুঁজি" ঋণ সুবিধা চালু করা হয়েছে৷ এছাড়াও এবি ব্যাংকের "উদ্যোক্তা" এবং "অপরাজিতা" নামে আরও ঋণ সুবিধা রয়েছে। এবি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এসএমই ঋণ সুবিধাসমূহ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা | বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজে ঋণ দিতে ১০০ কোটি টাকার পূণঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মাস চারেক আগে বিষয়ে সার্কুলার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। দেশের বেশীরভাগ মানুষই এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
সকলের কাছে পৌছে গিয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-ব্যাংকিং সেবা নেওয়া হয়েছে আরও সহজ। এতে বলা হয়েছে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্যোগ হিসেবে এ সুবিধা চালু করা হয়েছে।
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বেকার এবং আত্নকর্মসংস্থানে আগ্রহীদের অল্প সুদে জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে তাদেরকে রোজগারে উৎসাহিত করা এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহনে আগ্রহী করা বাংলাদেশ ব্যাংকের জামানত বিহীন মোবাইল ঋণ প্রদানের প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়া ব্যাংকিং খাতের উন্নয়ন, সহজে তহবিল ব্যবহার করে মুনাফা অর্জন, দেশীয় উদোক্তা ও ব্যবসায় সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঋণের সুদ কম বিধায় যেকেউ মোবাইলের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত বিহীন ঋণ নিতে পারবে।
স্কিমের নামঃ- "ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ" এই তহবিল থেকে Bank Loan নেওয়া যাবে, মোবাইল অ্যাপস, ই-ওয়ালেট, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। তফসিলি ব্যাংক থেকে মোবাইলের মাধ্যমে এই ঋণ গ্রাহকদের প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে গঠন করা এই স্কিমের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। এই ঋণের মেয়াদ ৩ বছর। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন গ্রহন করতে পারবেন। এই স্কিমের মাধ্যমে প্রথমে ৫০ কোটি টাকা গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করা হবে। এরপর পরবর্তী ধাপে আরও ৫০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হবে৷ চাহিদার ভিত্তিতে এই তহবিলের অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। তফসিলি ব্যাংকগুলো এই তহবিল থেকে ঋণ প্রদানের জন্য অর্থ নিতে পারবে।
ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত শিডিউল চার্জেস সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যাংকসমূহ Bank Loan প্রদান করবে। ঋণের সুদ এবং ব্যাংক চার্জ ব্যতীত অতিরিক্ত কোন অর্থ গ্রহন করা যাবে না। গ্রাহক এবং ব্যাংক উভয়েই সর্বোচ্চ ৬ মাসের জন্য ঋণ গ্রহন করতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণের অর্থ ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক আদায় করবে এবং এ সংক্রান্ত সকল দায় বহন করবে৷
এখন প্রশ্ন আসবে কোন ব্যাংক এবং কোন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে Bank Loan নেওয়া যাবে? আপনারা যেসব ব্যাংকে একাউন্ট খুলে থাকেন সব ব্যাংকেরই ই-সেবা রয়েছে বর্তমানে৷ যেমন বিকাশ, ডিবিবিএল, নগদ একাউন্ট, ইত্যাদি। তাই ব্যাংক অ্যাপের মাধ্যমেই লোনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন ৷
এছাড়াও বিস্তারিত তথ্য জানতে সংশ্লিস্ট ব্যাংকের হেল্প ডেস্ক বা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন৷ আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট করেছেন সে ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করলেও নতুন ঋণ স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
আর্টিকেলের শেষকথা: বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক | যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ
জামানতের মাধ্যমে ঋণের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কিন্তু জামানত ছাড়া ঋণের সাথে আমাদের পরিচয়ই হয়ত নেই। জামানত ছাড়া ঋণের কথা বলা হলেও ব্যাংক কখনো অসমর্থ, অসচ্ছল, ঋণখেলাপী, অস্থায়ী বাসিন্দা, আর্থিক আচরণে সুনাম নেই এমন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করেনা।
যারা ঋণ নিয়ে সঠিক সময়ে ঋণ প্রদান করবে, যাদের ঋণের উদ্দেশ্য উৎপাদনশীল খাতের উন্নয়ন এবং যাদের কোন সচ্ছল ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে রেফার করেন তারাই ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য বিস্তারিত তথ্য গুছিয়ে বর্নণা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস করা হয়েছে।
আশা করি এ প্রয়াস আপনাদের উপকারে আসবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন অথবা হটলাইনে কল করে ঋণের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক | যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ।