ওয়েব পেজ কি | ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম
আসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমাদের আজকের ব্লগের বিষয় হলো ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম।
ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম |
হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান। আজকে আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করব ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম।
যদি তোমরা জানতে চাও ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম তাহলে পুরো আরটিকেল টি পড়ে নাও।
ওয়েব পেজ কি | ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম
ওয়েব পেজ কিঃ- ওয়েব পেজ ডিজাইন হচ্ছে একটি ওয়েবপেজের জন্য বাহ্যিক কাঠামাে তৈরি করা, যেখানে ওয়েব ইউজার/ভিজিটররা সহজে প্রয়ােজনীয় তথ্য খুঁজে পাবে।
ওয়েব ডিজাইন হলাে নির্দিষ্ট বিষয় নির্ধারণ, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েবপেজ প্রদর্শন এ। তিনাট বিষয়ের সমিলিত রূপ।
কার্যকর ওয়েব ডিজাইনিং হলাে ওয়েবসাইটের দর্শনযােগ্যতা, কর্মদক্ষতা, নিরাপত্তা। সঠিকভাবে করা এবং সাধারণ ব্যবহারকারী সাইট/ওয়েবপেজ থেকে উপকৃত হতে পারে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন একটি সৃষ্টিশীল কাজ। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স, স্থির ছবি, টেক্সট, এনিমেশন, অডিও, ভিডিও, ডেটাবেজ ইত্যাদি উপাদান রেখে সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম
ওয়েবসাইট ডিজাইনের পর্যায়গুলাে হলাে :
- গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
- এনিমেশন (Animation)
- ওয়েব টেম্পলেট স্লাইসিং (Web Template Slicing)
- অডিও (Audio)
- কোডিং ও ডাটাবেজ হ্যান্ডেলিং (Coding & Database Handling)
- ভিডিও (Video)।
- টেক্সট (Text)
- টেস্টিং ও ডিবাগিং (Testing & Debugging)
- ইমেজ (Image)
- নিরাপত্তা (Security)
গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
ওয়েবসাইট ডিজাইনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলাে গ্রাফিক্স ডিজাইন। একটি সাইটের লেআউট কেমন হবে তার পুরাে ডিজাইনটি সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
এ ধরনের লেআউট সাধারণত ওয়েব টেম্পলেট নামে পরিচিত। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত গ্রাফিক্স সফটওয়্যার হলাে এডােবি ফটোশপ।
এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় সব ডিজাইন তৈরি করা যায়। ওয়েব টেম্পলেট ডিজাইনের কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে এডােবি ইলাস্ট্রেটর প্রােগ্রামটিও ব্যবহৃত হতে পারে।
টেক্সট (Text)
ওয়েবসাইটের প্রয়ােজনীয় টেক্সট আগে থেকেই নির্ভুল করে টেক্সট ফাইলে রাখা হয়। কোডিং করার সময়ই।
প্রয়ােজনানুসারে বিভিন্ন স্থানে এসব টেক্সট বসানাে হয়ে থাকে। টেক্সটে বিভিন্ন ধরনের ফরমেটিং করার কাজটি কোডিং। পর্যায়েই সম্পন্ন করা হয়।
ইমেজ (Image)
ওয়েবসাইটে ইমেজ বা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে খানিকটা কৌশলী হতে হয়। কোডিংয়ের সময় ইমেজ বা ছবিকে স্থাপনের জন্য প্রয়ােজন হলে ফটোশপে সেগুলাে তৈরি বা এডিটিং করে মাপমতাে তৈরি করে নেয়া হয়।
ফটোশপে ইমেজ সেভ করার সময় এগুলাের সাইজ যেন ছােট থাকে সেজন্য সবসময় Save For Web & Device এর আওতায় প্রয়ােজনীয় ফরমেটে সেভ করতে হবে।
এনিমেশন (Animation)
এনিমেশন তৈরির জন্য সবচেয়ে ব্যবহৃত হয় এডােবি ফ্ল্যাশ প্রােগ্রামটি। এছাড়া আরও কিছু টুল পাওয়া যায় যেগুলাের মাধ্যমে ফ্ল্যাশ এর বিভিন্ন অবজেক্ট তৈরি করা হয়ে থাকে।
এগুলাের মধ্যে আছে সুইশম্যাক্স, কুল বাটন, অটো ফ্ল্যাশ, আমারা ফ্ল্যাশ, ফ্ল্যাক্স প্রভৃতি। তবে এগুলাে প্রয়ােজনানুযায়ী ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের GIF এনিমেশন তৈরির জন্য। এডােবি ফটোশপ প্রােগ্রামটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
অডিও (Audio)
ওয়েবসাইটে প্রয়ােজনীয় অডিও রাখা যায়। আজকাল ফ্ল্যাশ অবজেক্ট সংবলিত বিভিন্ন বাটন, ব্যানার ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরনের অডিও ব্যবহার করা হয়।
এক্ষেত্রে এডােবি ফ্ল্যাশ এ করা এনিমেশনগুলােতে ব্যবহৃত সাউন্ডগুলাে এক্সপাের্টের সময় এদের সাইজ কমিয়ে নেয়া হয়।
একেবারে র’ সাউন্ড এডিটিং এর জন্য ভালাে একটি টুল হলাে সাউন্ডফোর্জ। এর মাধ্যমে প্রয়ােজনানুযায়ী বিভিন্ন ফরমেটে সাউন্ডকে সেভ করে নিয়ে এনিমেশনে ব্যবহার করা যায়।
ভিডিও (Video)
ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য এডােবি প্রিমিয়ার সবচেয়ে উপযােগী সফটওয়্যার। বিভিন্ন ধরনের টুল যেমন- ম্যাজিক ভিডিও কনভার্টার, এনি ভিডিও কনভার্টার ইত্যাদির মাধ্যমে মূল ভিডিওকে প্রয়ােজনানুযায়ী কনভার্ট করে নেয়া যায়।
ভিন্ন একটি উপায়েও ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে ভিডিও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এজন্য মূল ভিডিও ফাইলটিকে www.youtube.com, www.dailymotion.com, https://vimeo.com/ ইত্যাদি সাইটে আপলােড করে নিতে হবে।
আপলােড হবার পর সেখানে প্রাপ্ত ভিডিও এমবেড করার কোডটুকু কপি করে নিয়ে ব্যবহারকারীর সাইটে স্থাপন করে দিলেই উক্ত ভিডিও ওই সাইটে প্রদর্শিত হবে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর স্পেস নিয়ে ভাবতে হয় না, সাইটও লােড হয় দ্রুত।
টেস্টিং ও ডিবাগিং (Testing and Debugging)
এটি হলাে ওয়েবসাইট ডিজাইনের শেষ ধাপ। সাইট তৈরির পর সেটি বারংবার টেস্ট করা প্রয়ােজন। কোডে ভুল পেলে সেগুলাে ডিবাগিং বা ঠিক করতে হবে।
ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ও ব্রাউজারে এগুলাে চেক করে সর্বোপরি সাইটটি যেন ব্রাউজার কম্প্যাটিবল হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়ােজন।
নিরাপত্তা (Security)। ওয়েবসাইট তথা ওয়েবপেজের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হ্যাকিং ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ।
ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। সাধারণত c-panel-এ কাজ করার সময় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হয়।
আরটিকেলের শেষকথাঃ ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম। আশা করি তোমাদের আজকের এই ওয়েব পেজ কি ও ওয়েব পেজ তৈরি করার নিয়ম পোস্টি টি ভালো লেগেছে।
যদি ভালো লাগে তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন টপিক পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ
ওয়েব পেজ নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয় কত সালে, এই ওয়েব পেজ অবরোধ করা হয়েছে, ওয়েব পেজের এড্রেসকে কী বলে, ওয়েব পেজ ডিজাইন শেখার বই, ওয়েব পেজ ও ওয়েবসাইট এর পার্থক্য, ওয়েব পেজের মধ্যে লিংক করার ট্যাগ কোনটি, ওয়েব পেজ ডিজাইন, ওয়েব পেজ রেসাল্ট, ওয়েব পেজের সাথে ব্রাউজারের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো, ওয়েব পেজ ডিজাইন কি, কিভাবে ওয়েব পেজ তৈরি করতে হয়, ওয়েব পেজ ডিজাইন কোনটি, ওয়েব পেজ কাকে বলে, ওয়েব পেজ কী