শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা | শিষ্টাচার এবং শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি শিষ্টাচার এবং শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শিষ্টাচার এবং শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ টি।
শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা |
শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা
মানুষের কথাবার্তা, চালচলনে যে ভদ্রভাব, সৌজন্যবােধ ও শালীনতার। পরিচয় প্রকাশ পায়, তাই শিষ্টাচার । এটি মানববােধের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সমাজের অন্য দশজন লােকের মধ্য হতে ভদ্র ব্যক্তির স্বাতন্ত্র শিষ্টাচারের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সমাজবদ্ধতায় জীবনযাপন করতে গিয়ে মানুষকে পরস্পরের সাথে বহু ব্যাপারে যােগাযােগ স্থাপন। করতে হয়। এক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, অপরের প্রতি ভালােবাসার প্রকাশ ঘটান একান্তই আবশ্যক। আর সে সুযাগ শিষ্টাচার মানুষকে করে দেয়; দুবিনীত ব্যক্তির পক্ষে যা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তবে মানুষের সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেই যথার্থ শিষ্টাচারের অধিকারী হওয়া যায় না। তার জন্য মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। শিক্ষালাভের যে সৌরভ, তা ই শিষ্টাচার। দেহের শােভা আবরণ আর আত্মার শােভা শিষ্টাচার । আর তাই চরিত্রে। ঔদ্ধত্যের পরিবর্তে শিষ্টাচার অর্জনের কোনাে বিকল্প নেই। মানুষ হিসেবে এই গুণ অর্জন করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। কারণ ব্যক্তি ও | জাতীয় জীবনের কল্যাণ এতেই নিহিত।
শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা
সাধারণভাবে ব্যক্তির আচার-আচরণ ও কথাবার্তায় বিনয়, নম্রতা আর সৌজন্যের পরিচয়কে শিষ্টাচার বলে । মানবজীবনের গুণাবলির মধ্যে শিষ্টাচার অন্যতম। মানুষের জীবনের সুষ্ঠু ও সুন্দর বিকাশের জন্য এ গুণটি অত্যাবশ্যক। সমাজের অন্য দশজন লােকের মধ্য থেকে ভদ্র ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য তাঁর শিষ্টাচারের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার প্রয়ােজনে সমাজবদ্ধ জীবনযাপন করতে হয়। প্রতিদিন মানুষকে পরস্পরের বহু ব্যাপারে যােগাযােগ স্থাপন করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, অপরের প্রতি ভালােবাসার প্রকাশ ঘটানাে একান্তই আবশ্যক। শিষ্টাচার মানুষকে সেই মহান সুযােগ দান করে। চরিত্রের মধ্যে ঔদ্ধত্যের পরিবর্তে আদব-কায়দা, বিনয় বিদ্যমান থাকলে, বিরপ মনােভাবের পরিবর্তে প্রীতিপূর্ণ হৃদয়ের প্রকাশ ঘটালে খুব সহজে মানুষের মন জয় করা যায়। মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা, রুচিশীলতা, আভিজাত্য শিষ্টাচারের মাধ্যমে প্রকাশ পায় । শিষ্টাচারী মানুষ সহজে নিজের মহান গুণাবলির সার্থক প্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়। শিষ্টাচার অর্জনের জন্য মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষাগ্রহণ করতে হয়। শিক্ষাই মানুষকে বিনয়ী ও ভদ্র করে তােলে। শিষ্টাচারসম্পন্ন মানুষ শিক্ষার আলােকেই তা লাভ করে। শিক্ষা ছাড়া শিষ্টাচার বংশগত দিক থেকেও অর্জন করা। | সত্ব। পিতা-মাতার সান্নিধ্যে সন্তানেরা বসবাস করে বলে তাদের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। তাদের ঐতিহ্য অনুসরণ করে। | ছােটবেলা থেকে শিশুরা শিষ্টাচারসম্পন্ন হয়ে ওঠে। জীবনের সর্বত্রই শিষ্টাচারের প্রয়ােজন। কারণ, এতেই ব্যক্তি ও জাতীয় । জীবনের কল্যাণ নিহিত থাকে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিষ্টাচার এবং শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা টি। যদি তোমাদের আজকের এই শিষ্টাচার অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।