এস ই ও কি (seo in bangla) | এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন
আপনি কি জানতে চান এসইও কি (what is seo in bangla)? এসইও কিভাবে শিখবো (how to learn seo in bangla) এমন প্রশ্ন যদি হয় তাহলে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে। এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন নিয়ে আমাদের আজকের পোষ্ট এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল নিয়ে সাজিয়েছি।
how to learn seo in bangla - এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল |
তো চল বন্ধুরা আমরা SEO মানে কি, এসইও কিভাবে শিখবো ও এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন নিচে থেকে জেনে নিই। একটা অনুরোধ, যদি আপনি সত্যি এস ই ও সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোষ্ট টি পুরোটা পড়ুন।
এস ই ও কি? | What is seo in bangla
এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুনঃ- আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে যেখানে আপনি নিয়মিত কনটেন্ট আপলােড করেন, তাহলে আপনাকে SEO শব্দটির সাথে পরিচিত হতে হবে।
কারণ, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং তাতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলােড করাই শেষ কথা না। আপনার তৈরি করা কনটেন্টগুলাে ভিজিটরদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত করাও অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
SEO এর পূর্ণরূপ Search Engine Optimization (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)। একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা কনটেন্টগুলাে কোন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা হলে তা যেন ভিজিটরের সামনে চলে আসে, সেই অনুযায়ী ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্টকে অপটিমাইজ করার নামই SEO। কি... বুঝতে একটু কঠিন মনে হচ্ছে?
চলুন, আরেকটু সহজভাবে বােঝা যাক। মনে করুন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে Photo Editing সম্পর্কিত বিভিন্ন টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেন।
সুতরাং আপনি চাচ্ছেন, কেউ যদি গুগলে Photo Editing Tutorial লিখে সার্চ করে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলাে তার সামনে আগে চলে আসবে এবং সেখান থেকে ওই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে।
এখানে চিন্তা করুন যে, শুধুমাত্র আপনিই Photo Editing সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেন না, আপনার মতাে আরাে অনেকেই আছে, যারা একই ধরনের টিউটোরিয়াল প্রকাশ করে। অথচ গুগল আপনার ওয়েবসাইটকেই কেন সার্চ রেজাল্টে সবার আগে দেখাবে?
এর কারণ হচ্ছে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলােকে গুগল সার্চে সবার আগে নিয়ে আসার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করেছেন। আর এই কৌশলই হচ্ছে Search Engine Optimization বা SEO৷
সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি, SEO এমন একটি কৌশল বা নিয়ম যার ব্যবহার করে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলােকে গুগলসহ যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করাতে পারি এবং আমাদের ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারি।
আশা করি এস ই ও কি তা বুঝতে পেরেছেন। এবার জানব এস ই ও কত প্রকার ও কি কি। SEO সম্পর্কে এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পেতে আমাদের এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল পোষ্ট টি পড়তে থাকুন।
এস ই ও কত প্রকার ও কি কি
SEO প্রধানত ২ প্রকারের হয়ে থাকে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুনঃ
On Page SEO (অন পেজ এসইও কি): যে SEO ওয়েবসাইটের ভিতরে করা হয়ে থাকে, তাকে On Page SEO বলে। যেমন কনটেন্টের সাথে টাইটেল, ট্যাগ, কিওয়ার্ড ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক আছে কি না, তা নিশ্চিত করা।
Off Page SEO (অফ পেজ এসইও কি): যে SEO ওয়েবসাইটের বাইরে করা হয়ে থাকে, তাকে On Page SEO বলে। যেমন বিভিন্ন ব্লগ, সােশ্যাল মিডিয় বা ফোরামে ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করা। অথবা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করা ইত্যাদি।
আমরা উপরের লেখগুলো পড়ে জেনে নিলাম এসইও কি এবং এস ই ও কত প্রকার ও কি কি। এবারে আমরা জানব গুগল সার্চ কন্সোল সম্পর্কে।
গুগল সার্চ কনসোল কি | What is Google Search Console?
এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুনঃ- SEO নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আপনি যদি Google Webmaster Tools এর কথা শুনে থাকেন, তবে গুগল সার্চ কনসােল কি এটি সম্পর্কেও আপনার বিস্তর ধারণা রাখতে হবে। বিভিন্ন পেশাদার মার্কেটার, SEO এক্সপার্ট, ডিজাইনার এবং এ্যাপ ডেভেলপারদের কাছে GWT জনপ্রিয় হওয়ার একটি । পর্যায় ২০১৫ সালে গুগল এর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরিবর্তিত নাম হিসেবে Google Search Console রাখা হয়।
গুগল সার্চ কনসােল হচ্ছে Google এর একটি ফ্রি সার্ভিস যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট এবং এর ভিজিটরদের সম্পর্কে প্রচুর তথ্য দেয়। কত লােক আপনার সাইটে ভিজিট করছে এবং কীভাবে তারা এটি খুঁজে পেয়েছে, এ সম্পর্কে Google Search Console আপনাকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে সাহায্য করে।
জনপ্রিয় এসইও সেবাদানকারী ahrefs এর ভাষায়, "Google Search Console (previously Google Webmaster Tools) is a free service from Google that helps you monitor and troubleshoot your website's appearance in their search results."
মােট কথা, Google Search Console হচ্ছে এমন একটি ফ্রি সেবা, একজন ওয়েবসাইটের মালিক, ডেভেলপার বা কোন এসইও এক্সপার্টকে বুঝতে শেখায় যে তাদের | ওয়েবসাইট গুগলে কেমন পারফরমেন্স করছে।
শুধু তাই নয়, মােবাইল ডিভাইস বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে আরও বেশি লােক আপনার সাইটে ভিজিট করছে কি না এবং আপনার সাইটের কোন পেজগুলাে সর্বাধিক জনপ্রিয় তা আপনি গুগলের এই ফ্রি টুলটির মাধ্যমে পরীক্ষা করতে পারেন।
এটি আপনাকে ওয়েবসাইটের সমস্যাগুলাে খুঁজে বের করতে এবং তা সংশােধন করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের সাইটম্যাপ জমা দিতে এবং একটি রােবটস টেক্সট ফাইল তৈরি এবং চেক করতে সহায়তা করতে পারে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
Google Search Console এর কাজ কি?
এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুনঃ- অনেক, অনেক এবং অনেক। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে আপনি Google Search Console এ প্রয়ােজনীয়তা কখনােই অস্বীকার করতে পারবেন না। আমরা সকলেই জানি, একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টে সবার আগে নিয়ে আসতে এসইও অতি গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। Google Search Console আপনাকে সাহায্য করে এটি বুঝতে যে, আপনার এসইও সঠিক পথে এগােচ্ছে কি না।
Google Search Console এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের উন্নতি এবং অবনতি খুঁজে বের করতে পারবেন। নিচের চিত্রে আপনি আরকে রায়হান.কম এর গত ৩ মাসে সার্চ ইঞ্জিনে অবস্থান দেখতে পাচ্ছেন।
দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ তিন মাসে আরকে রায়হান সাইটে গুগল সার্চ থেকে প্রায় দুই লক্ষ ভিজিটর ক্লিক করে প্রবেশ করছে। তার ঠিক পাশেই Total Impression দেখা যাচ্ছে। যার অর্থ হলাে, সর্বশেষ তিন মাসে ওয়েসাইটটি গুগল সার্চে প্রায় ৭.৩৫ মিলিয়নবার দেখানাে হয়েছে।
আরকে রায়হান.কম |
একই সাথে ওয়েবসাইটের Keyword গুলাে গুগলে কত নম্বর পজিশনে আছে, সেটিও দেখা যায় ছবিটিতে। আপনার ওয়েবসাইটের উন্নতি এবং অবনতি একটি গ্রাফের মাধ্যমে গুগল আপনার সামনে । সুন্দর এবং কার্যকরীভাবে উপস্থাপন করছে। এই চিত্রের বাইরে আরাে অনেক ফিচার আছে, যা আপ' Google Search Console ব্যবহারের মাধ্যমে পেতে পারেন। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন যেমন:
- URL Inspection: আপনার সাইটের পেজগুলাে গুগলে ইনডেক্স কিনা, তা URL Inspect করে জানা যাবে।
- Sitemap: আপনার ওয়েবসাইটকে পূর্ণাঙ্গ ক্রল করতে গুগলের কাছে একটি Sitemap সাবমিট করতে পারবেন।
- Removals; যদি মনে করেন ওয়েবসাইটের কোন পেজ বা পােস্ট গুগল সার্চে দেখানাের প্রয়ােজন নেই, তাহলে সেটি রিমুভ করতে পারবেন।
- Mobile Usability: আপনার ওয়েবসাইটটি মােবাইল দিয়ে ভিজিট করার সময়ে ভিজিটরা কেমন অভিজ্ঞতা অনুভব করছে, সেই তথ্য জানতে পারবেন।
- Backlinks; আপনার ওয়েবসাইটের Backlinks পরীক্ষা করতে পারবেন।
কেন Google Search Console ব্যবহার করবেন?
এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুনঃ- GSC ব্যবহারের অসংখ্য কারণের বিপরীতে এটি ব্যবহার না করার কারণ একটিও নেই। একাধারে বিনামুল্যে এবং সর্বাধিক কার্যকরী এসইও টুল হিসেবে এটি বিশ্বের বাঘা বাঘা সব এসইও এক্সপার্টদের কাছে জনপ্রিয়।
আপনি একবার এই প্লাটফর্মে আপনার ওয়েবসাইটটি সাবমিট করে দিলে এরপর গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য আপনার সামনে নিয়ে হাজির করবে।
আপনার ওয়েবসাইটের অগ্রগতি হচ্ছে, নাকি পিছিয়ে যাচ্ছে আপনি তা এই চমৎকার টুলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের টেকনিকাল কোন সমস্যা থাকলে তা কিভাবে সংশােধন করবেন, গুগলই আপনাকে সেই পরামর্শ দেবে। আর এত সবকিছু আপনি পাচ্ছেন একেবারেই বিনামূল্যে।
Google Search Console কিভাবে ব্যবহার করবেন?
আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারেন। আর এজন্য প্রথমেই Google Search Console এর সাইটে গিয়ে Stard now বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী পেজে আপনাকে Ad property পেজে নিয়ে আসা হবে এবং property অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের ডােমেইন যুক্ত করতে বলা হবে। Ad property অপশনে ক্লিক করলে একটি পপ-আপ উইন্ডাে চলে আসবে। উপরে দেয়া চিত্রের ন্যায় সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক চাওয়া হবে।
দ্বিতীয় বক্স অর্থাৎ URL prefix বক্সে আপনার ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ লিংকটি বসিয়ে দিন; ঠিক উপরের চিত্রে যেভাবে দেয়া আছে। এরপরে Continue বাটনে ক্লিক করুন।
Continue বাটনে ক্লিক করার পরে আপনাকে Verify ownership অপশনে নিয়ে আসা হবে। ওয়েবসাইটটি যে আপনারই সেটা গুগলের কাছে প্রমাণ করতে হবে। আর এ জন্য গুগল আপনাকে একটি HTML ফাইল দেবে। আপনার কাজ হচ্ছে HTML ফাইলটি ডাউনলােড করে আপনার cPanel এ আপলােড দেয়া।
তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনার ওয়েবসাইটের ডােমেইনটি cPanel এর যে Directory তে রয়েছে, HTML ফাইলটিও সেই একই Directory তে আপলােড করা হয়। ফাইলটি সেখানে আপলােড করা হয়ে গেলে VERIFY বাটনে ক্লিক করুন। ব্যস, হয়ে গেল আপনার ওয়েবসাইটটি Google এর Search Console এ সাবমিট করা।
সতর্কতা:HTML ফাইলটি আপলােডের পর এটি cPanel থেকে কখনােই রিমুভ করা যাবে না। এটি রিমুভ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে গুগল আপনার ওয়েবসাইট ক্রল করা বন্ধ করে দেবে।
Domain property এবং URL prefix এর মধ্যে পার্থক্য কি?
Domain Property: এই অপশনটি সার্চ কনসােল এ নতুন এ্যাড করা হয়েছে। ডােমেইন প্রােপার্টি অপশনটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, আপনি যখন রুট ডােমেইনটি ভেরিভাই করে ফেলবেন তখন আপনার এই ডােমেনের সকল ভার্সন (যেমন: http, https, www, non-WWW) আর পৃথকভাবে ভেরিফাই করতে হবে না। এমনকি এই ডােমেইনের সকল সাব-ডােমেনও (যেমন: http://m.website.com) আর আলাদা ভাবে ভেরিফাই করার প্রয়ােজন নেই।
URL prefix; অপরদিকে এটি ডােমেইন প্রােপার্টি এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এটি পুরাতন সার্চ কনসােল ভেরিফিকেশন মেথড। এখানে আপনাকে আপনার ডােমেনেইর প্রতিটি ভার্সনকে আলাদা আলাদা ভাবে ভেরিফাই করতে হবে (যেমন: http, https, www, non-www)। আথবা, আপনি যে ভার্সনটিকে লাইভ রেখেছেন আপনি শুধু ঐ ভার্সন এর ডেটা দেখার জন্য শুধুমাত্র ঐ ভার্সনটি ভেরিফাই করলেই হবে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
আপনি কোনটি করবেন? Domain property নাকি URL prefix?
আপনি চাইলে একই সাথে ডােমেইন প্রােপার্টি এবং ইউআরএল প্রিফিক্স প্রােপার্টি রাখতে পারেন। কিন্তু এতে করে অতিরিক্ত কোনাে সুবিধা আপনি পাবেন না। কারণ, আপনি যখন ডােমেইন প্রােপার্টি ভেরিফাই করে ফেলছেন তখন অটোমেটিক্যালি আপনার সকল ভার্সন (যেমন: http, https, www, non-www), সাবডােমেইনের ডাটা এখান থেকেই পাবেন।
Search Console আপনার ওয়েবসাইটটি সাবমিট করার পরে গুগল আপনার ওয়েবসাইটটি ক্রল করা শুরু করবে এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলাে Index করা শুরু করবে। গুগল যখন আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলাে Index করবে, সেটি আপনাকে তারা একটি মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।
গুগলের ওয়েবমাস্টার টুলটি সত্যিকার অর্থেই দুর্দান্ত। বর্তমান সময়ে এর গ্রহণযােগ্যতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ব্যবসায়িক মালিক এবং শখের দোকান থেকে শুরু করে এসইও বিশেষজ্ঞরা এটিই প্রাধ্যান্য দিয়ে থাকে। বিশেষত, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখান থেকে আপনি যে অথেনটিক তথ্যগুলাে পাবেন, তা আপনি টাকা খরচ করে অন্য কোথাও পাবেন না।
তাই আপনি যদি Google Search Console এখনাে পরীক্ষা না করে থাকেন, তাহলে আপনার উচিৎ হবে আজই এখানে আপনার ওয়েবসাইটকে যুক্ত করা। তারপরে দেখুন, এটি কিভাবে আপনার বিপণন আর এসইও বাড়াতে সহায়তা করেছে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
সাইটম্যাপ (Sitemap)
বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইটের সাথে আরেকটি ওয়েবসাইটের প্রতিযােগিতা এত তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ওপর অনেকেই নির্ভর করে থাকতে চান না। যারা কারণে নতুন একটি ধারণার উদ্ভব হয়েছে, যার নাম সাইটম্যাপ (Sitemap)। এই Sitemap এসইও'র সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করে ওয়েবসাইটকে আরাে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
সার্চ ইঞ্জিন একটি ওয়েবসাইট ক্রল (Crawl) করে এবং মেটা ট্যাগের পাশাপাশি .txt ফাইলগুলােও সার্চ করে। যখন একটি XML সাইটম্যাপ তৈরি করা হয়, এটি সার্চ ইঞ্জিনকে ওয়েবসাইটের আরাে গভীরে ক্রল (Crawl) করতে সাহায্য করে। সাইটম্যাপ ওয়েবসাইটের মালিককে পেজগুলাে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে ক্রল করতে দেয়। এছাড়াও XML সাইটম্যাপ একটি ওয়েবসাইটের সর্বশেষ আপডেট রেকর্ড করে থাকে, যা সে পরবর্তীতে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পৌঁছে দেয়। আর আমরা যেহেতু গুগল এসইও নিয়ে আলােচনা করছি, তাই আমাদের ওয়েবসাইটকে XML সাইটম্যাপের মাধ্যমে গুগল সার্চের সাথে সংযুক্ত করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
সাইটম্যাপ কেন ব্যবহার করবাে?
সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাওয়া ছাড়াও সাইটম্যাপ ব্যবহারের অনেকগুলাে সুবিধা রয়েছে। সাইটম্যাপ আপনার সাইটে যে কোনও পরিবর্তন সম্পর্কে তৎক্ষণাত সার্চ ইঞ্জিনকে জানিয়ে দেয়। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটে যদি একটি সাইটম্যাপ না থাকে, তাহলে আপনি সর্বদা সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রত্যাশা করতে পারেন না।
যদি আপনার ওয়েবসাইটটি নতুন হয়, তাহলে আপনার অবশ্যই একটি সাইটম্যাপ যুক্ত করা উচিত। এর ফলে ওয়েবসাইট নতুন হলেও গুগল সার্চ ইঞ্জিন খুব দ্রুতই আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে যাবে এবং তা সার্চ রেজাল্টে আনতে সক্ষম হবে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
ওয়েবসাইটে সাইট ম্যাপ সেটাপ
আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য মেনুয়ালি Sitemap তৈরি করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি এতটা এ্যাডভান্সড না হয়ে থাকেন, দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি বিভিন্ন অনলাইন টুল থেকে খুব সহজেই সাইটম্যাপ জেনারেট করতে পারবেন।
অনলাইনে Sitemap জেনারেট করার জনপ্রিয় একটি টুল হচ্ছে XML Sitemap Generator. প্রথমে এই ওয়েবসাইটে যান। এরপরে ওপরে চিত্রের ন্যায় একটি ইন্টারফেস আসলে ফঁাকা বক্সে আপনার ওয়েবসাইটের ডােমেইনটি বসিয়ে দিন। আমরা উদাহরণ দেয়ার জন্য আরকে রায়হান.কম ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করেছি। এরপরে START বাটনে ক্লিক করুন।।
START বাটনে ক্লিক করার পরে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য Sitemap তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আপনার ওয়েবসাইটের কোন কোন পেজগুলাে এই সাইটম্যাপের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, তা আপনি লাইভ দেখতে পাবেন। Sitemap তৈরির এ প্রক্রিয়া কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে। কতটা সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইটটি কত বড় এবং এতে কতগুলাে পেজ আছে, তার ওপর।
সাইটম্যাপ তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে আপনি "Completed" নামে একটি ডায়ালগ বক্স দেখতে পাবেন। এরপরে VIEW SITEMAP AND DETAILS বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী অপশনে যান।
পরবর্তী অপশনে আপনাকে সাইটম্যাপ ফাইলটি ডাউনলােড করতে বলা হবে। DOWNLOAD YOUR SITEMAP FILE বাটনে ক্লিক করে ফাইলটি ডাউনলােড করে নিন। সাইটম্যাপ ফাইলটি ডাউনলােড হয়ে গেলে আপনি আপনার ডাউনলােড ফোল্ডারে sitemap.xml নামে একটি ফাইল পাবেন।
এরপরে ডাউনলােড করা sitemap.xml ফাইলটি আপনার ওয়েবসাইটের cPanel এ আপলােড করতে করুন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনার ওয়েবসাইটের ডােমেইনটি cPanel এর যে Directory তে রয়েছে, sitemap.xml ফাইলটিও সেই একই Directory তে আপলােড করা হয়।
সতর্কতা: sitemap.xml ফাইলটি আপলােডের পর এটি cPanel থেকে কখনােই রিমুভ করা যাবে । এটি রিমুভ হয়ে গেলে সাইটম্যাপের মাধ্যমে সার্চ কনসােলের সংযােগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
আমরা এর আগে টপিকে Google Search Console সেটাপ সম্পর্কে শিখেছিলাম। এখন আমরা আমাদের cPanel এ সদ্য আপলােড করা সাইটম্যাপটি Search Console এ সাবমিট করবাে। এজন্য Google Search Console ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইডবার থেকে Sitemaps অপশনে ক্লিক করুন। এরপরে Add a new sitemap নামে একটি অপশন পাবেন। Enter sitemap URL এর জায়গায় sitemap.xml কথাটা লিখে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে সাইটম্যাপ সেটাপের প্রক্রিয়া শেষ। এটা সাবমিট হয়ে গেলে গুগল সার্চ কনসােল আপনার ওয়েবসাইটটি আর গভীর ক্রল করতে শুরু করবে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত যে পরিবর্তনগুলাে হচ্ছে, তা গুগল সার্চ ইঞ্জিন সাথে সাথেই জেনে যাবে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
এসইও এর কিছু ভুল প্র্যাকটিস | এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল | ১০ টি এসইও টিপস
ব্লগারদের কাছে Blog একটি স্বপ্নের নাম। এটি যেমন একজন ব্লগারকে নাম ও খ্যাতি এনে দেয়, একইভাবে অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে এই ব্লগ। একজন লেখকের অনলাইন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনলাইনে তার ইতিবাচক বিচরণ অতীব জরুরী। আর এক্ষেত্রে ব্লগিং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম। অনেকেই চোখে নানা স্বপ্ন নিয়ে আসেন ব্লগিং (blogging) এ ক্যারিয়ার জয় করার। কিন্তু অপ্রিয় সত্য এই যে, সঠিক নিয়ম কানুন না মেনে ব্লগ প্রকাশ করা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলাে অনুসরণ না করায় অনেকের ব্লগিং ক্যারিয়ার মুকুলেই ঝড়ে যায়। ভুল পথে Blogging করার ফলে আপনার ব্লগে Traffic বা ভিজিটর আসবে।
আপনি হয়তাে অনেক চেষ্টা করবেন, কিন্তু আগে থেকেই ভুল কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করায় গুগলে আপনার ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক (rank) হবে না। আর যখনই এমনটা হবে, আপনি হতাশার মধ্যে পরে যাবেন। ফলে আপনার একজন সফল ব্লগার হওয়ার স্বপ্ন অকালেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
আমরা ১০ টি মারাত্মক ভুল নিয়ে আলােচনা করবাে, যেগুলাে একজন উদীয়মান ব্লগার প্রায়শই করে থাকে। পাশাপাশি আমরা এই সমস্যাগুলাের সঠিক সমাধান বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবাে। এর ফলে আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারের সঠিক Guideline খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন।
একজন ব্লগার হিসেবে যখন আপনি নতুন এই প্লাটফরমে আসবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই অনেক কিছুই আপনার অজানা থাকবে। আমরা সেই বিষয়গুলাের ওপর আলােকপাত করবাে, যাতে করে আপনি আপনার ভুলগুলাে সংশােধন করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে আগের তুলনায় আরাে বেশি ট্রাফিক আসবে এবং আপনার সফলতাও আগের থেকে অনেকাংশে বেড়ে যাবে। অপরদিকে আপনি যদি এই মারাত্মক ১০ টি ভুল সংশােধন না করে এড়িয়ে যান, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর আনা সত্যিই খুব কঠিন ব্যপার হয়ে উঠবে। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
১. নিম্নমানের হােস্টিং ব্যবহার করা: Cheap Hosting
একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি স্বপ্ন। এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক আবেগ, ত্যাগ এবং পরিশ্রম। কিন্তু আপনার এই পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর
আসে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক না আসার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হচ্ছে অতি নিম্নমানের হােস্টিং ব্যবহার করা। বেশির ভাগ নতুন ব্লগারই কোন না কোনভাবে নিম্নমানের হােস্টিং ব্যবহার করে থাকেন।
আর এই নিম্নমানের হােস্টিং আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক না করানাের জন্য দায়ী। যখন আপনি খুবই নিম্নমানের হােস্টিং ব্যবহার করবেন, আপনার ওয়েবসাইট অনেক স্লো হয়ে যাবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি খুবই কম গতিতে লােডিং হবে। আর অপেক্ষাকৃত স্লো সাইট হওয়ায় গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইটটি অনেক পিছিয়ে যাবে। ফলে আপনি অনেক বড় অংকের একটি ভিজিটর হারাবেন।
এছাড়াও হােস্টিং যদি মানসম্মত না হয়, বেশিরভাগ সময়েই আপনার ওয়েবসাইট ডাউন থাকবে। অর্থাৎ, ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের কাছে কোয়ালিটির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না।
সুতরাং টাকা একটু বেশি খরচ হলেও ভালাে মানের হােস্টিং ব্যবহার করুন। বিদেশী হােস্টিং প্রােভাইডারের পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেক প্রােভাইডার আছেন যার ভালাে মানের হােস্টিং সুবিধা দিয়ে থাকেন। তবে যাদের সেবাই গ্রহণ করেন না কেন, অবশ্যই আগে যাচাই করে নেবেন।
২. ফ্রি ডােমেইন ব্যবহার করা: Free Domain
প্রাথমিকভাবে ব্লগিং শেখার জন্য আমি ফ্রি ডােমেইন ব্যবহার করাকেই বেশি সাজেস্ট করে থাকি। কিন্তু যখন আপনি প্রফেশনালি আপনার ব্লগটিকে দাড় করাতে যাবেন, তখন এই ফ্রি ডােমেইনের ব্যবহার মাথা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। অনেককেই দেখা যায় প্রফেশনাল লেভেলে প্রবেশ করেও blogspot বা wordpress এর ফ্রি ডােমেইন ব্যবহার করেন যা অনেক বড় ভুল।
প্রিমিয়াম ডােমেইনের বদলে ফ্রি ডােমেইন ব্যবহার করলে তা গুগলে সার্চ রেজাল্টে অনেক প্রভাব ফেলে। সার্চ ইঞ্জিনে সাধারণত ফ্রি ডােমেইনগুলাের সাইট কম আসে। ফলে এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার সম্ভাবনাও খুবই কম।
একটা কথা মনে রাখবেন, যে ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি টাকা উপার্জন করবেন, সেই ওয়েবসাইটের পেছনে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিনিয়ােগ করা উচিত। নয় তাে তার ফল কখনােই খুব একটা ভালাে হবে না। বর্তমানে একটি .com ডােমেইন ৯০০ টাকায় পাওয়া যায়। অনেক ডােমেইন প্রােভাইডার আছেন, যারা ৯০০ টাকার কমেও .com ডােমেইন প্রােভাইড করে থাকেন। এছাড়া .net, .info এবং .org ডােমেইনগুলােও অল্প দামে পাওয়া যায়।
তাই আপনি অল্প কিছু টাকা খরচ করলেই হয়তাে একটি ভালাে মানের প্রিমিয়াম ডােমেইন কিনতে পারবেন। আর এই প্রিমিয়াম ডােমেইন ব্যবহার করলে যে শুধু আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে তা নয়, এটা আপনার ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল একটি লুকিং এনে দেবে। ফলে আপনার সাইটের প্রতি ভিজিটরদের আকর্ষণ এবং আস্থা দুটোই বাড়বে।
৩, নিম্ন মানের থিম ব্যবহার করা: Cheap or Free themes
প্রফেশনাল ব্লগের জন্য নিম্ন মানের থিম ব্যবহার করা মারাত্মক একটি সিদ্ধান্ত। সাধারণত কিছু ফ্রি এবং নিম্ন মানের থিমে প্রফেশনাল লেভের কোডিং করা থাকে না। যার ফলে ওই থিমগুলাে এসইও ফ্রেন্ডলি হয় না।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে থিমের কোডিং এর সাথে এসইও'র কি সম্পর্ক? হ্যা, সম্পর্ক আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্ন মানের থিমগুলােতে কোডিং এর স্টান্ডার্ড মেইনটেইন করা হয় না। যেমন, কেউ কেউ কনটেন্টের মেইন হেডলাইনের জন্য h2 অথবা তার পরবর্তী ট্যাগগুলাে ব্যবহার করে থাকে। অথচ একটি হেডলাইনকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হলে h1 ট্যাগের ব্যবহার বাঞ্চনীয়।
অপরদিকে এ ধরনের থিমগুলােতে আপডেট আসার সম্ভাবনা কম থাকে। অনেক ক্ষেত্রে থাকেই না। এ থিমগুলাে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্লো হয়। ফলে সাইটের লােডিং স্পীড দীর্ঘ করে। তাই নতুন ব্লগার হিসেবে নিম্নমানের থিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার চেষ্টার করুন।
অল্প কিছু টাকা খরচ করে প্রিমিয়াম থিম (premium theme) কিনে ফেলুন। Themeforest থিম বিক্রির জনপ্রিয় একটি প্লাটফরম। এখানে আপনি আপনার সাধ্যের মধ্যে অল্প খরচেই মানসম্মত থিম পাবেন। পরবর্তীতে থিম ব্যবহারে কোন প্রকার সমস্যা হলে ওই থিমের অভিজ্ঞ ডেভেলপারগণ আপনাকে অনলাইন সাপাের্ট দেবে। তাছাড়া, প্রিমিয়াম থিমগুলােতে আপনি যে এডভান্স ফিচারগুলাে পাবেন, তা একটি ফ্রি থিমে পাওয়া সম্ভব না।
তবে একান্তই যদি ফ্রি থিম ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসের থিম গ্যালারী থেকে বিনামুল্যে হাজার হাজার থিম ব্যবহার করতে পারেন। এই থিমগুলাে ফ্রি হলেও কোয়ালিটির দিক থেকে বেশ ভালাে।
৪. নিম্নমানের আর্টিকেল পােস্ট করা: Low Quality Article
নতুন ব্লগার তাে বটেই অনেক ক্ষেত্রেই পুরােনাে ব্লগারদেরও ব্লগে নিম্নমানের আর্টিকেল পােস্ট করতে দেখা যায়। অধিকাংশ সময়েই তারা আর্টিকেল লেখার ন্যূনতম নিয়মগুলাে মেইনটেইন করেন না। একটি আর্টিকেল লিখতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। একটি ভালাে মানের আর্টিকেল (artic;le) লিখতে হাতে ২/১ ঘণ্টা সময় নিয়ে কাজে নেমে পরা একদমই উচিত নয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে, ব্লগে প্রকাশিত আর্টিকেলের গুণগত মানই হচ্ছে আপনার ব্লগের পরিচয়। আর ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়ার জন্য এই দিকে ভালাে ভাবে লক্ষ্য দেয়াটা প্রথম থেকেই অনেক জরুরি একটি বিষয়।
আপনি যখন একটি ভালাে ও সমৃদ্ধ আর্টিকেল লিখবেন, আপনাকে অবশ্যই অনেক তথ্য রিচার্স (research) করে লিখতে হবে। একটি আর্টিকেল লিখতে আরাে ১০ টি ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হবে। স্বভাবতই এ জন্য আপনার যথেষ্ট পরিমাণে সময় ব্যয় করতে হবে।
কিন্তু যারা অল্প সময়েই অধিক সফলতা চায়, তারা আর্টিকেল লেখার পেছনে সময় দিতে চায় না। ফলে বিভিন্ন ব্লগ থেকে কপি-পেস্ট করে নিজের ব্লগে পাবলিশ করে দেয়। এ ধরনের নিম্নমানের আর্টিকেলগুলাে সার্চ রেজাল্টে আসে না। ফলে সার্চ ইঞ্জিন (search engine) থেকে ট্রাফিক পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়।
এছাড়াও আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম মানতে হবে। একটি আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ অবধি অনেকগুলাে অংশ থাকে। এই অংশগুলাে কিভাবে সাজাবেন তা জানতে হবে।
তাই ব্লগে লেখার আগে সাধারণ নিয়মগুলাে মেনে আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেলের মান অনেক উন্নত হবে। এতে করে ভিজিটরদের কাছে আপনার লেখা আর্টিকেলের মূল্যায়ন বাড়বে। ফলে গুগলে আপনার আর্টিকেল সহজেই র্যাঙ্ক (rank) দখল করে নেবে।
৫. কীওয়ার্ড রিসার্চ না করা: Keyword Research
আপনি যদি নির্দিষ্টি একটি বিষয় আর্টিকেল লিখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার ওই বিষয়টি সম্পর্কে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। অনেক ব্লগাররাই এই বিষয়টি এড়িয়ে যান। কীওয়ার্ড রিসার্চ (keyword research) এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোন আর্টিকেল লেখার আগেই করতে হয়। আপনি যখন একটি আর্টিকেল লেখার প্রস্তুতি নেবেন, তখন আপনাল বিষয়বস্তুর সাথে সম্পকূক্ত এমন কিছু শব্দ বা বাক্যাংশই হচ্ছে কীওয়ার্ড। এই কীওয়ার্ড সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনকে (search engine) টার্গেট করে তৈরি করা হয়।
মনে করুন, একটি কীওয়ার্ড যেমন: “কিভাবে ব্লগ তৈরি করবাে” এর ওপরে আর্টিকেল লিখার কথা ভাবছেন। তাহলে কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করে এই কীওয়ার্ড, মাসে কতবার গুগল সার্চ হচ্ছে, অথবা এই কীওয়ার্ডের প্রতিযােগিতা (competition) বেশি না কম তার সবটাই জেনে নিতে পারবেন।
কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করা লাভজনক এবং কোন কীওয়ার্ড টার্গেট (keyword targeted) করলে লাভ হবে না সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব।
তাই, পারফেক্ট কীওয়ার্ড রিসার্চ (keyword research) করে আপনি অনেক সহজে লাভজনক কীওয়ার্ডগুলাে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখতে পারেন। এর ফলে গুগল সার্চ থেকে অধিক পরিমাণে ট্রাফিক ও ভিজিটর পেতে সক্ষম হবেন। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি গুগলের Google Keyword Planner ব্যবহার করতে পারেন। এটি ফ্রি, ব্যবহার করা সহজ এবং অনেক কার্যকরী।
৬. কীওয়ার্ড অপটিমাইজ না করা: keyword optimize
আপনার ব্লগের আর্টিকেলের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চই শেষ কথা নয়। কীওয়ার্ড রিসার্চের পরে আসে রিসার্চ করা কীওয়ার্ডটি আর্টিকেলের কোথায় কোথায় বসাবেন, সেই বিষয়টি। আপনার রিসার্চ করা কীওয়ার্ডটি আর্টিকেল লেখার সময় বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করতে হবে। এটাই মূলত কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন। ভালােভাবে কীওয়ার্ড অপটিমাইজ (keyword optimize) না করার ফলে ভালাে এবং মানসম্মত আর্টিকেল লেখা সত্ত্বেও আপনার আর্টিকেলগুলাে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সেরা ১০ রেজাল্টে র্যাঙ্ক করবে না।
একটি আর্টিকেলের বিভিন্ন অংশ রয়েছে। যেমন: টাইটেল, সাব-টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন, URL Address, Image At Tag ইত্যাদি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে রিসার্চ করা কীওয়ার্ডটি আর্টিকেলের এই সকল জায়গায় সফলভাবে ব্যবহার করলে ওই আর্টিকেলটি খুব দ্রুত র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এছাড়া আর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফ (paragraph) এবং আর্টিকেলের আরাে কিছু অংশে বেছে নেয়া টপিকের কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হয়। এতে, সার্চ ইঞ্জিন অনেক সহজে বুঝতে পারে যে আপনার আর্টিকেল সেই টার্গেট করা কীওয়ার্ড সাথে জড়িত। ফলে, টার্গেট করা কীওয়ার্ড (keyword) এর মাধ্যমে নিজের ব্লগের আর্টিকেলে অধিক পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়ার সুযােগ তৈরি হয়।
এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস (wordpress) ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করে থাকেন, তাহলে Yoast SEO প্লাগিনটি বিনামূল্যে ব্যবহার করে অনেক সহজে নিজের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড অপটিমাইজ করতে পারবেন। পাশপাশি এর পেইড ভার্সনটি ক্রয় করে আরাে বেশ কিছু প্রিমিয়াম সার্ভিস পাবেন।
৭. Interlinking ব্যবহার না করা: Internal linking
একটি ওয়েবসাইটের এসইও প্রক্রিয়া প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে। একটি অন পেজ এবং আরেকটি অফ পেজ। Interlink অন পেজ এসইওর অন্তর্ভুক্ত। অন পেজ এসইওর ক্ষেত্রে Interlinking খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এই পদ্ধতিতে আপনার ওয়েবসাইটেরই একটি আর্টিকেলের সাথে অন্য একটি আর্টিকেলের লিংকিং করতে হবে। যখন আপনি কোন একটি বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন, তখন আপনার উচিত হবে আপনার ওয়েবসাইটে আগে থাকা অন্য কোন আর্টিকেলের লিংক ওই নতুন পেজে উল্লেখ করা। এর ফলে কোন পাঠক একটি আর্টিকেল পড়া শেষ হতে না হতেই আরেকটি আর্টিকেল চোখের সামনেই পেয়ে যাবে। ফলে ওই পাঠক আপনার দেয়া আরেকটি আর্টিকেলের লিংকে ক্লিক করবে। এতে করে আপনার ভিজিটর (article) বৃদ্ধি পাবে।
আপনার মনে রাখতে হবে, অন পেজ এসইও - তে Interlinking একটি সেরা মাধ্যম যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে ভালাে ফলাফল এনে দেয়। তাই আপনি যদি এখনাে আপনার ওয়েবসাইটে Interlinking প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেন তাহলে এটা আপনার জন্য মারাত্মক একটি ভুল। আপনার কনটেন্টের ভালাে র্যাঙ্ক পেতে হলে এর Interlinking প্রক্রিয়া অনিবার্য।
৮. সােশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করা: Social media share
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগারদের শুধুমাত্র ফেসবুক কেন্দ্রিক পাবলিসিটি করতে দেখা যায়। আর্টিকেল পাবলিশ করে শুধুমাত্র ফেসবুকে শেয়ার করাটাকেই অনেকে যথেষ্ট বলে মনে করে। কিন্তু এটা ভুল একটি কাজ। ফেসবুক থেকে আপনার অনেক বড় ধরনের একটি ভিজিটর আসবে এটা সত্য। কিন্তু তার পাশাপাশি অন্যান্য সােশ্যাল মিডিয়ায়ও আপনার ব্লগের অস্তিত্ব টিকিয়া রাখতে হবে।
আপনার ব্লগের জন্য বিভিন্ন সােশ্যাল মিডিয়ায় প্রােফাইল তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরবর্তীতে সেখানে আপনার লেখা পােস্টগুলােকে শেয়ার করতে হবে। শেয়ার করার জন্য আপনি পিন্টারেস্ট, লিংকডইন (linkedin) কিংবা টুইটারের (twitter) মত প্লাটফরমগুলােকে বেছে নিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এসব সােশ্যাল মিডিয়া (social media) থেকে আপনি খুব বেশি ট্রাফিক পাবেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার শেয়ার করা সেই পােস্টগুলাে সার্চ ইঞ্জিনে (search engine) আসতে থাকবে। যেখান থেকে পরবর্তীতে আপনি অনেক ট্রাফিক পেতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও একটি ওয়েবসাইটের সকল সােশ্যাল মিডিয়ায় প্রােফাইল তৈরি থাকলে ভিজিটরদের ওই ওয়েবসাইটের প্রতি আস্থা বাড়ে। যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুবই ভালাে এবং ইতিবাচক দিক। তাই শুধু ফেসবুকই না, অন্যান্য সােশ্যাল মিডিয়ায়ও আপনার ওয়েবসাইটের নামে প্রােফাইল তৈরি করুন। সেগুলাের লিংক আপনার ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করুন এবং নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট (Content) সেখানে শেয়ার করতে থাকুন।
৯. গেস্ট ব্লগিং না করা: Guest Posting
আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করার জন্য আপনাকে ব্যাকলিংক (backlink) তৈরি করতে হবে। আর বেশি বেশি ব্যাকলিংকের জন্য আপনাকে গেস্ট ব্লগিং করতে হবে। ওয়েবসাইট র্যাঙ্কের জন্য ব্যাকলিংক বিল্ড করা একটি কার্যকরী সমাধান।
গেস্ট ব্লগিং (guest blogging) হচ্ছে নিজের ব্লগের বাইরেও পরিচিত অন্যের ব্লগে লেখালেখি করা। আপনি যদি পরিচিত অন্য কারাে ব্লগে লেখালেখি করেন, তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সেখানে শেয়ার করার সুযােগ। পাবেন। যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক ভালাে একটা দিক।
কিন্তু বেশিরভাগ ব্লগ লেখকরাই এটা নিয়ে খুব একটা ভাবে না। বা অন্য ব্লগে লেখার সুযােগ তৈরি করতে পারে না। কিন্তু আপনাকে বেশি বেশি গেস্ট ব্লগিং করতে হবে এবং সেখানে নিজের ব্লগের লিংক শেয়ার করতে হবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক বাড়বে। আর গুগল ওই সকল ওয়েবসাইটকেই র্যাঙ্ক করে দেয়, যাদের ভালাে ব্যাকলিংক (backlink) রয়েছে।
নতুন বা প্রফেশনাল ব্লগারদের জন্য গেস্ট ব্লগিং (guest blogging) করার ক্ষেত্র আরকে রায়হান একটি উন্মুক্ত ক্ষেত্র। আপনি ইচ্ছে করলে আরকে রায়হান সাইটে গেস্ট ব্লগার হিসেবে লিখতে পারেন এবং আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন। আরকে রায়হান সাইটে লেখা পাঠান contact.rkraihan.com@gmail.com এই ঠিকানায়।
১০. নিয়মানুবর্তিতার অভাব: Lack of discipline
নতুন ব্লগাররা খুব অল্প সময়েই বেশি সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করে। যেটা আসলে কখনােই সম্ভব না। ব্লগিং এ সাফল্য পেতে হলে আপনাকে যথেষ্ট সময় ও শ্রম দিতে হবে এবং নিজের ব্যতিক্রমধর্মী মেধা প্রয়ােগ করতে হবে। অনেককেই দেখা যায়, যারা নিজের ব্লগে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করেন না। মাসে দুই একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলে ব্লগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না। আপনার ব্লগ (blog) নিয়মিত আপডেট না রাখলে সার্চ ইঞ্জিনে তার র্যাঙ্ক হারাবে।
তাই দেরীতে এবং অনিয়মিত ব্লগ আপডেট করাটা একটি সাংঘাতিক ভুল। যদি আপনি ব্লগিং এ সফল হতে চান এবং গুগল সার্চে অধিক Traffic পেতে চান, তাহলে আপনার নিজের ব্লগে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ব্লগে নিয়মানুবর্তি না হন তাহলে সফলতা পেতে অনেক কষ্ট হতে পারে। তাই, নিজের ব্লগ নিয়মিত আপডেট রাখুন এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইটি Articale পাবলিশ করুন।
সবশেষে Blogging হচ্ছে একজন ব্লগারের মেধা প্রকাশের জায়গা। এটা হেলাফেলা করার মতাে কোন কাজ না। আপনি যেহেতু এই পেশায় চলেই এসেছেন, তার মানে ধরে নিতে হবে আপনি অনেক কিছুই জানেন। তাই ব্লগের কার্যকারিতা আরাে বৃদ্ধি করতে ওপরে উল্লেখিত ভুলগুলাে সংশােধনের চেষ্টা করুন। ভালাে কনটেন্ট লেখার পরেও যদি আশানুরূপ Visitor না আসে, তবে আপনি কি কি ভুল করছেন, তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। এস ই ও কি (seo in bangla) এবং এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন।
SEO কেন করবাে? | এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ
প্রথমেই উল্লেখ করেছিলাম, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং তাতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলােড করাই শেষ কথা না। তৈরি করা কনটেন্টগুলাে ভিজিটরদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত করাও অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলাে যেন গুগলে সার্চ করে সবার আগে ভিজিটরের কাছে পৌছায়, তার জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করা অপরিহার্য।
এটা মনে রাখতে হবে যে, আপনি যদি ওয়েবসাইটকে SEO না করেন, তাহলে আপনার কনটেন্টগুলাে সার্চ ইঞ্জিনে তৃতীয় অথবা চতুর্থ পেজে দেখাবে। হয়তাে দেখাবেই না। আর খুব সংখ্যক মানুষই আছেন, যারা গুগলে কোন তথ্য সার্চ করে দ্বিতীয় পেজে যান। অর্থাৎ, বেশিরভাগ ভিজিটরই ওই ওয়েবসাইটগুলােতে প্রবেশ করবে, যেগুলাে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে প্রদর্শিত হয়েছে। আর যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে প্রদর্শিত হচ্ছে না, ফলে আপনি সম্ভাব্য প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর হারাবেন।
সুতরাং বর্তমান প্রতিযােগিতার বিশ্বে SEO ছাড়া সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সাধারণত SEO ছাড়া কোনাে ওয়েবসাইটকেই সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কই করে না।
এস ই ও শিখতে কত দিন লাগে
এস ই ও শিখতে কত দিন লাগে এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া খুব মুশকিল। কারন এস ই ও শিখতে কত দিন লাগে এটা পুরোটা Depend করে যে শিখবে তার উপর। যদি এস ই ও শেখার জন্য ৩ মাস প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় ব্যয় করা হয় তাহলে মোটামুটি আপনি এসইও সম্পর্কে হাল্কা কিছু জেনে যাবেন। এখন পর্যন্ত কেউ নেই যে এসইও সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানে। এই কথাটি বলার কারন হলো - আপনি একদিকে এসইও শিখতেছেন আর একদিকে এসইও নতুন ভাবে তেরি হচ্ছে।
লোকাল এসইও কি
আমরা যখন google.com লিখে সার্চ বারে সার্চ করি তাহলে অবশ্যই দেখতে পাবেন আমাদের গুগল BD তে নিয়ে যাবে। কখনো কি ভাবছেন এটা কিভাবে হয়? এটা আসলে লোকাল এসইও এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। যখনআপনি কোন কিছু কিনতে বা ধরুন কোন Electronics পণ্য কিনতে Google সার্চ দিবেন তাহলে কিন্তু আপনি অবশ্যই দেখতে পাবেন আপনি যে এরিয়াতে আছেন বা আপনি যে বিভাগে আছেন সেই বিভাগের রেজাল্ট গুলোই আপনার Search ইঞ্জিনে আগে দেখাবে। অবশ্যই বাইরে থেকে দেখাবে না যদি না আপনি নির্দিষ্ট এলাকার নাম লিখে Search করেন। আপনি যখন Local ভাবেই কোন কিছুর জন্য Search করে থাকবেন তখন আপনি আপনার আশেপাশের Result গুলো পেয়ে থাকবেন। আর লোকাল এসইও বিষয়টা Google খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখে আর এই কারনেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের (search engine) মাধ্যমে আপনার সবচেয়ে উপযোগী তথ্যটাই সব সময় দেখানোর চেষ্টা করে থাকে।
ব্লগস্পট এসইও
ব্লগস্পট এসইও সম্পর্কে আলাদা ভাবে জানার দরকার নাই । আমাদের এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল পোষ্টে আমরা যেসব কিছু দেখিয়েছি সেসব যদি আপনারা ফলো করে তাহলে ব্লগস্পট এসইও সম্পর্কে সব কিছু জেনে যাবেন।
এসইও কিভাবে করতে হয়
এসইও কিভাবে করতে হয় সেটা জানার জন্য আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে হবে। আমরা উপরে এসইও কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে। আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেল টি পুরোটা ফলো করলে এসইও কিভাবে করতে হয় তা জেনে যাবেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ এস ই ও কি (What is seo in bangla) | এস ই ও বাংলা টিউটোরিয়াল শিখুন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম seo মানে কি, seo এর পূর্ণরূপ কি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি, seo এর কাজ কি এবং seo এর কাজ শেখার উপায়। আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনদের ভালো লেগেছে।
আমি যতদুর পেরেছি আপনাদের বোঝানোর জন্য আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় প্রথম বার পড়ে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আমার অনুরোধ আর একবার পড়ে নিবেন তাহলে আপনার মনের মধ্যে সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারবেন ।
যদি আমাদের আজকের এই এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন, এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লিখার নিয়ম, এসইও কিভাবে শিখবো, এসইও কী এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল টি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। আর এই রকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের আরকে রায়হান.কম এর সাথেই থাকবেন।