বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা টি।।
বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা |
বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের মধ্য দিয়ে জালের মতাে ছােট-বড় অসংখ্য নদ-নদী বয়ে গেছে। এত বেশি নদ-নদী পৃথিবীর আর কোনাে দেশে নেই। নদীগুলাে আমাদের দেশের মাটিকে যেমন উর্বর করেছে তেমনি সাধারণ মানুষের জীবিকা ও যােগাযােগের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখে চলছে। নদীই আমাদের দেশের প্রাণ। এদেশের অর্থনীতি নদীগুলাের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদনদীগুলাে হলাে- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র। এছাড়া রয়েছে ছােট বড় বহু শাখা নদী। যেমন- ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, আত্রাই, গড়াই, তিস্তা, কুশিয়ারা কর্ণফুলি ও মধুমতিসহ আরাে অনেক নদী । একেক নদী একেক রূপ ধারণ করে। বর্ষায় আবার আরেক রূপ। মনে হয়। যেন কোনাে চিত্রশিল্পী রং তুলি দিয়ে এঁকে রেখেছে। নদীর শােভা সত্যিই মনােরম। নদীর দুধারের কাশবন ও গাছপালা দেখতে অপরূপ লাগে। নদীর বুকে পালতােলা নৌকা সকলকে মুগ্ধ করে। বলা যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নদী ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে। নদী আমাদের অনেক উপকার করে। আমরা নদীতে কাপড় ধৌত ও গােসল করি । যাতায়াত ও মালপত্র আনা নেওয়ার জন্য নদীপথই সেরা। জেলেরা নদীতে মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। খরা মৌসুমে নদী থেকে জল সেচের মাধ্যমে শস্য উৎপাদন করা হয়। সব মিলে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ও জাতীয় অর্থনীতিতে নদ-নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। নদ-নদীর কারণেই আমাদের এ বাংলাদেশ সুজলা-সুফলা ও শস্য-শ্যামলা। এদেশের মাটি, মানুষ ও | অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সঙ্গে নদ-নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা টি। যদি তোমাদের আজকের এই বাংলাদেশের নদী অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।