রেডিও ওয়েভ কি | মাইক্রোওয়েভ কি | ইনফ্রারেড কি
আপনি কি জানতে চান ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কি, রেডিও ওয়েভ কি বা ইনফ্রারেড কি এবং মাইক্রোওয়েভ কি? তাহলে আপনাকে আমাদের এই লেখাটি পুরোটা পড়তে হবে। পাশাপাশি আপনি আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন যেমন রেডিও ওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি কত, মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত মিটার এবং ইনফ্রারেড সেন্সর কি।
রেডিও ওয়েভ কি মাইক্রোওয়েভ কি ইনফ্রারেড কি |
আসসালামু আলাইকুম আমি আর কে রায়হান। আমি আজকে আপনাদের জানাবো ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম কি? বা রেডিও ওয়েভ কি, রেডিও ওয়েভ কাকে বলে, রেডিও ওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি কত, মাইক্রোওয়েভ কি | মাইক্রোওয়েভ কাকে বলে | মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত মিটার, ইনফ্রারেড কি, ইনফ্রারেড কাকে বলে (Infrared), ইনফ্রারেড সেন্সর কি?
অনেকে আছে যারা গুগলে এসে এসব প্রশ্ন করে থাকে কিন্তু ভালো কোন ওয়েবসাইটে এসব তথ্য পাওয়া যায়না তাই আপনদের কথা বিবেচনা করে আমি রেডিও ওয়েভ কি, মাইক্রোওয়েভ কি বা ইনফ্রারেড কি বিস্তারিত জানবো। সাথে আমরা এর ব্যবহার সুবিধা অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানবো।
তো বন্ধুরা মুল টপিকে যাওয়ার আগে আমরা আমাদের আজকের এই রেডিও ওয়েভ কি, মাইক্রোওয়েভ কি, ইনফ্রারেড কি বা ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কি পোস্টের সুচিপত্র টি একনজরে দেখে নিবো। কি কি থাকবে আমাদের আজকের আর্টিকেলে।
সুচিপত্রঃ রেডিও ওয়েভ কি, মাইক্রোওয়েভ কি, ইনফ্রারেড কি বা ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কি
- ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কি
- ওয়্যারলেস অ্যান্টেনা যেভাবে কাজ করে
- রেডিও ওয়েভ কি
- রেডিও ওয়েভ ব্যবহারের সুবিধা
- রেডিও ওয়েভ ব্যবহারের অসুবিধা
- মাইক্রোওয়েভ কি
- মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের আবিষ্কারক
- টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোয়েভ
- স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ কাকে বলে
- স্যাটেলাইটের ব্যবহার
- স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের সুবিধা
- স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অসুবিধা
- স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ এর সাথে টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভের পার্থক্য
- ডেটা পাঠাতে অপটিক্যাল ফাইবারই দ্রুততর
- ইনফ্রারেড কি | ইনফ্রারেড কাকে বলে
- ইফ্রারেড এর ব্যবহার
- ইনফ্রারেড এর বৈশিষ্ট্য
- ইনফ্রারেড এর সুবিধা
- ইনফ্রারেড এর অসুবিধা
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কি | ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম (Wireless Communication:Medium)
বর্তমান সময়ে ওয়্যারলেস হলাে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম। যে মাধ্যম দ্বারা কোনাে প্রকার তার বা কন্ডাক্টরের বাহ্যিক সংযােগ ছাড়াই তড়িৎ চৌম্বকীয় সংকেত (Electromagnatic Signal) ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা যায় তাকে ওয়্যারলেস বা তারবিহীন কমিউনিকেশন মিডিয়া বলে। এক্ষেত্রে বায়ুতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণের মাধ্যমে এই যােগাযােগ সংঘটিত হয় যার ফ্রিকোয়েন্সি সীমা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম দ্বারা নির্ধারিত থাকে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম হলাে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের রেঞ্জ বা ব্যাপ্তি যেটি জুড়ে শূন্য বা বায়ু মাধ্যমে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা তরঙ্গ শক্তিটি অবস্থান করে। তারবিহীন মাধ্যমে ডেটা তারযুক্ত মাধ্যমের মতাে কোনাে একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত না হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এজন্য ওয়্যারলেস মাধ্যমকে আনগাইডেড মিডিয়া (Unguided Media) নামেও অভিহিত করা হয়। তারবিহীন বা ওয়্যারলেস মিডিয়াতে ডেটা আদান প্রদানে অ্যান্টেনা (Antenna) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টেনা হলাে বিদ্যুৎ পরিবাহী এমন একটি যন্ত্র যা বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গে রূপান্তরের পর বাতাস বা তারবিহীন মাধ্যমে তা বিকিরণ করে থাকে। যেকোনাে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে দুই ধরনের অ্যান্টেনা দেখতে পাওয়া যায়, এক ধরনের অ্যান্টেনা সিগন্যাল সেন্ড করে তাই একে ট্রান্সমিটার (Transmiter) এবং আরেক টাইপ। অ্যান্টেনা সিগন্যাল রিসিভ করে তাই একে রিসিভার (Reciever) অ্যান্টেনা বলা হয়ে থাকে। আবার অনেক টাইপ অ্যান্টেনা রয়েছে যারা একসাথে সিগন্যাল রিসিভ এবং ট্রান্সমিট উভয়ই করতে পারে। এদেরকে ট্রান্সিভার বলা হয়। ডেটা আদান-প্রদানের জন্য অ্যান্টেনা থেকে বিকিরণের দিকের উপর ভিত্তি করে অ্যান্টেনাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।। যথা:
ক. দিকযুক্ত অ্যান্টেনা (Directional Antenna) : একটি নির্দিষ্ট দিকে মুখ করে থাকা এই ধরনের অ্যান্টেনা একটি নির্দিষ্ট দিকেই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন তৈরি করে। এক্ষেত্রে ডেটা আদান প্রদানের জন্য ট্রান্সমিটার ও রিসিভারকে মুখােমুখি একই সরলরেখায় (Line of Sight) অবস্থান করতে হয়।
খ. সর্বদিকযুক্ত অ্যান্টেনা (Omnidirectional Antenna) : এই ধরনের অ্যান্টেনা সর্বদিকে তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ
করতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ডেটা আদান প্রদানে ট্রান্সমিটার ও রিসিভারকে মুখােমুখি একই সরলরেখায় অবস্থানের প্রয়ােজন নেই। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের ফ্রিকোয়েন্সির উপর ভিত্তি করে ওয়ারলেস ট্রান্সমিশন মিডিয়া তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা
- রেডিও ওয়েভ (Radio wave)
- মাইক্রোওয়েভ (Microwave)
- ইনফ্রারেড (Infrared)
ওয়্যারলেস অ্যান্টেনা যেভাবে কাজ করে
বেজ স্টেশনে প্রথমে সাউন্ড, পিকচার বা যে কোনাে ডেটাকে ক্যাপচার করে। ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জিতে পরিণত করা হয়। এবার এই ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জিকে একটি বিশাল আকারের অ্যান্টেনাতে পাঠানাে হয়, অ্যান্টেনাতে এই এনার্জি এসে রেডিও তরঙ্গে একটি অদৃশ্য ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের সৃষ্টি করে। এখন এই রেডিও তরঙ্গ আলাের গতিতে ছুটে এসে তােমার ঘরে লাগানাে রিসিভার এন্টেনায় এসে পৌছায়, রিসিভার অ্যান্টেনাটি ঠিক উল্টা কাজ করে তথা এটি তরঙ্গ থেকে ইলেকট্রিক সিগন্যাল তৈরি করে আর নির্দিষ্ট ডিভাইসের (রেডিও, টিভি,স্মার্টফোন, কম্পিউটার) কাছে পাঠিয়ে দেয়। এই সিগন্যালকে আবার উক্ত ডিভাইস প্রয়ােজনীয় ডেটা, শব্দ বা ছবিতে পরিণত করে। ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার এন্টেনা ডিজাইনের দিক থেকে অনেকটা একই রকম। কিন্তু দুইটি দেখতে বা আকারে আলাদা হতে পারে, যেমন বাড়িতে লাগানাে থাকা এন্টেনাটি থালার মতাে আকৃতির হয়ে থাকে, যেটাকে ডিশ অ্যান্টেনাও বলা হয়। আর ট্রান্সমিটার রেডিও, টিভি সেন্টারে থাকা একটি বিশাল আকারের ধাতব এন্টেনা হয়, যেটা প্রচণ্ড শক্তিশালী সিগন্যাল তৈরি করে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে পাঠিয়ে দেয়। অনেক সময়। ট্রান্সমিটার সিগন্যাল তৈরি করে স্যাটেলাইটে পাঠিয়ে দেয় স্যাটেলাইট সেই সিগন্যালকে বুস্ট করে আবার পৃথিবীতে থাকা রিসিভার অ্যান্টেনাতে
এক্ষেত্রে স্যাটেলাইট সিগন্যাল প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে।
রেডিও ওয়েভ কি | রেডিও ওয়েভ কাকে বলে | রেডিও ওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি কত (Radio wave)
৩ কিলােহার্জ (KHz) থেকে ৩০০ গিগাহার্জের (GHz) মধ্যে সীমিত তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ (ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম) - কে বলা হয় রেডিও ওয়েভ। যদিও কার্যত রেডিও ওয়েভের ব্যবহার ১০ কিলােহার্জ থেকে ১ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা ১ মিমি থেকে ১০০ কি.মি পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। রেডিও ওয়েভ হলাে এক ধরনের ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশন মিডিয়া, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) সিগন্যালের মাধ্যমে
ডেটা ট্রান্সমিট করে থাকে। অন্যান্য সব তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণের মত বেতার তরঙ্গও আলাের গতিতে ভ্রমণ করে। | প্রাকৃতিক উপায়ে বেতার তরঙ্গ সৃষ্টি হয় সাধারণত বজ্রপাত বা মহাজাগতি
সাধারণত বজ্রপাত বা মহাজাগতিক বস্তু থেকে। কৃত্রিমভাবে তৈরিকত বেতার তরঙ্গ মােবাইল টেলিযােগাযােগ, বেতার যােগাযােগ, সম্প্রচার, রাডার ও অন্যান্য দিকনির্দেশনা (navigation) ব্যবস্থা, কৃত্রিম উপগ্রহের সাথে যােগাযােগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্কসহ অসংখ্য কাজে ব্যবহৃত হয়। রেডিও ওয়েভ কমিউনিকেশনকে ওয়াইড রেঞ্জ কমিউনিকেশনও বলা হয়। রেডিও ওয়েভ সিগন্যাল অনেক দূরের বা কাছের রেঞ্জে হতে পারে এবং পাহাড় বা বিল্ডিংকে ভেদ করতে পারে। এর ব্যান্ডউইথ ৬৪ kbps, এটি ICT-এর একটি শক্তিশালী | মাধ্যম। রেডিও ওয়েভের জন্য ট্রান্সমিটার, রিসিভার, এন্টেনা এবং উপযুক্ত টার্মিনাল যন্ত্রপাতি থাকতে হয়। রেডিও ওয়েভ যেভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে (ট্রান্সমিটার থেকে রিসিভার পর্যন্ত) শূন্যস্থানের মধ্যে পরিভ্রমণ করে এবং যেভাবে তার পরিবাহক মাধ্যমের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে থাকে তাকে রেডিও ওয়েভ প্রােপাগেশন (Propagation) বলে। এটি বাস্তব রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম ডিজাইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিভিন্ন পরিবেশে রেডিও ওয়েভ বিকিরিত হবার সময় প্রতিফলন, প্রতিসরণ, পােলারাইজেশন, ডিফ্র্যাকশন ইত্যাদি অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রভাবিত হয়। ভিন্ন কম্পাঙ্কের (Frequency) বেতার তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন রকম হয় এবং এর উপর ভিত্তি করে এএম, এফএম প্রভৃতি বিভিন্ন রেডিও ব্যান্ড সম্প্রচারিত হয়।
রেডিও ওয়েভ ব্যবহারের সুবিধা
- রেডিও তরঙ্গ বিল্ডিং, পাহাড়-পর্বত, যানবাহনসহ যে কোনাে বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম তাই এক্ষেত্রে লাইন অব সাইট কোনাে সমস্যা হয়ে দাড়ায় না।।
- রেডিও তরঙ্গ বায়ুমণ্ডলের আয়ােনােস্ফিয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে বিধায় এর দ্বারা পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্তের সাথে যােগাযােগ স্থাপন করা যায়।
- রেডিও তরঙ্গ সহজেই বায়ুমণ্ডল দ্বারা শােষিত হয় না বিধায় এই মাধ্যমে ইন্টারফিয়ারেন্স তুলনামূলকভাবে কম হয়।
রেডিও ওয়েভ ব্যবহারের অসুবিধা
- রেডিও তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি কম হওয়ায় এটি একসাথে বেশি ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
- রেডিও তরঙ্গের অতিমাত্রায় বিকিরন মানুষের শরীর ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।
মাইক্রোওয়েভ কি | মাইক্রোওয়েভ কাকে বলে | মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত মিটার | মাইক্রোওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ কত (Microwave)
মাইক্রোওয়েভ হলাে হাই-ফ্রিকুয়েন্সি রেডিও ওয়েভ। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের ৩০০ মেগাহার্জ (MHz) থেকে। ৩০০ গিগাহার্জ (GHz) পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডকে মাইক্রোওয়েভ বলে। তবে কার্যত 1 GHz বা তার চেয়ে বেশি ফ্রিকুয়েন্সিতে পাঠানাে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গকে বলা হয় মাইক্রোওয়েভ। দূরপাল্লায় ডেটা ট্রান্সমিশন-এ মাইক্রোওয়েভ অত্যন্ত জনপ্রিয়। পদ্ধতি। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দু'টো ট্রান্সসিভার (Transceiver) নিয়ে গঠিত। এর
একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট (Transmit) এবং অন্যটি | রিসিভ (Receive) করে। দুটি ট্রান্সসিভার-এর মাঝে মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা (Antenna) থাকে, যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে এবং পথিমধ্যে কোনাে বস্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। মাইক্রোওয়েভ বকাপথে চলাচল করতে পারে না এবং প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে। । কোনাে বাধা থাকলে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হয় না। মাইক্রোওয়েভ যােগাযােগ দু'ধরনের হতে পারে।
ক. টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ
খ. স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ।
মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের আবিষ্কারক
তােমরা কি জানাে পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের আবিষ্কারক আসলে একজন প্রতিভাবান বাঙালি বৈজ্ঞানিক যার বাড়ি আমাদেরই এই বাংলাদেশে। তিনি হলেন আচার্য জগদীশ | চন্দ্র বসু যিনি আসলে আমাদের কাছে পরিচিত গাছের প্রাণ আছে।
এ তত্ত্বের আবিষ্কারক হিসেবে। কিন্তু আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর প্রথম গবেষণার বিষয় ছিল অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ নিয়ে। ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞানী হেরৎস্ বৈদ্যুতিক তরঙ্গের অস্তিত্ব আবিষ্কারের পর তিনি একে কাজে লাগানাের জন্য আরও গবেষণায় লিপ্ত হলেও জীবদ্দশায় তার কাজ শেষ করতে। পারেননি। জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে গিয়েই ১৮৯৪ সালে সর্বপ্রথম ৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এক অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ তৈরি এবং সেটি ব্যবহার করে বিনা তারে তথ্য আদান প্রদানের কাজে সফলতা লাভ করেন। এই অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গই হলাে আজকের মাইক্রোওয়েভ যা টেলিভিশন, রাডার, মহাকাশ প্রভৃতি যন্ত্র ও গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোয়েভ
এ প্রযুক্তিতে ভূ-পৃষ্ঠেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানাে হয়। এতে মেগাহার্জ সীমার নিচের দিকে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার মুখােমুখি (LOS- Line Of Sight) যােগাযােগ করে থাকে এবং সিগন্যাল বাধা অতিক্রম করতে পারে না এবং বক্রপথে যেতে পারে না। তরঙ্গের সিগন্যাল ঠিক রাখার জন্য ১০ কি.মি থেকে ১০০ কি.মি দূরত্বের মধ্যে রিপিটার স্থাপন করতে হয়। স্বল্প দূরত্বের মধ্যে অধিক ফ্রিকোয়েন্সিতে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয়।
দীর্ঘ দূরত্বে একটানা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের জন্য টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য মােবাইল ফোনের 2G বা 3G বা 4G নামের যে ডেটা সার্ভিসগুলাে পাওয়া যায় সেগুলােই হলাে টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভের অন্যতম একটি প্রায়ােগিক উদাহরণ। টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ স্থানীয় টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং-এর ক্ষেত্রেও সহায়তা করে থাকে। যেহেতু টেরিস্টোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ খুব বেশি দূরত্বে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না সুতরাং এই টেলিকমিউনিকেশন ডেটা বা ব্রডকাস্টিং সার্ভিসকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নির্দিষ্ট দুরতে যে বিশেষ রিপিটার স্থাপন করা হয় সেটিকে nc বলে। সাধারণভাবে এসব হপগুলাে একটি টাওয়ার এবং এক বা একাধিক প্যারাবলিক। অ্যান্টেনার সমন্বয়ে স্থাপিত হয়। যেহেতু মাইক্রোওয়েভের চলাচলের জন্য মুখােমুখি সংযােগ বা লাইন অব সাইট প্রয়ােজন এবং এদের মাঝখানে কোনাে বাধা থাকলে সেটি মাইক্রোওয়েভ যােগাযােগকে ব্যাহত করে। এ সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতেই হপগুলাে সাধারণত অনেক উঁচ বা লম্বা হয়ে থাকে। টেরিস্টোরিয়াল মাইক্রোওয়েবের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রতিবন্ধকতাগুলাে হলাে উচু দালান, গাছ বা বিভিন্ন স্থাপনাসমূহ যেগুলাে মাইক্রোওয়েভের। চলাচলের পথে পড়লে তা সিগন্যাল ট্রান্সমিশনকে ব্যাহত করে।
স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ কাকে বলে | স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ কি
এ প্রযুক্তিতে যােগাযােগে স্যাটেলাইটের (উপগ্রহের) সহায়তা নিতে হয়। রকেটের মাধ্যমে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্যাটেলাইটকে পৃথিবী থেকে (৩৬০০০ কি.মি.) ২২,২৩০ মাইল উপরে জিওসিনক্রোনাস অরবিটে স্থাপন করা হয়। যেখানে ক্যাবলের মাধ্যমে যােগাযােগ স্থাপন করা সম্ভব নয় সেখানে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়। স্যাটেলাইটে ট্রান্সমিটার, রিসিভার, শক্তিশালী রিসিভার ট্রান্সমিটার অ্যান্টেনা VSAT (Very Small Aperture Terminal), সােলার পাওয়ার থাকতে হয়। পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্তে খুব তাড়াতাড়ি কম খরচে যােগাযােগ করা যায়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলাের বিশ্বময় সরাসরি সম্প্রচার, আন্তঃমহাদেশীয় দূরবর্তী টেলিফোন কল করা এবং ইন্টারনেটে সিগন্যাল পাঠানাের জন্য স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
অধিক দূরত্বে অনেক বেশি পরিমাণ ডেটাকে পরিবহণের জন্য স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ অপরিহার্য। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনের জন্য ভমিতে আকাশমুখী করে ডিশ অ্যান্টেনার মতাে একটি অ্যান্টেনা স্থাপন করা হয়। এটিকে ভিস্যাট বলা হয়। মাটিতে স্থাপিত বেজ স্টেশন বা ভি-স্যাটগুলােকে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বলা হয়। ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র হতে ভিস্যাটগুলাে মাইক্রোওয়েভ ক্যারিয়ার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে সরাসরি স্যাটেলাইটে তথ্য পাঠায়। এই ফ্রিকোয়েন্সির পরিমাণ হলাে 6 Ghz। এরপর স্যাটেলাইট। (কৃত্রিম উপগ্রহ) এ থাকা ট্রান্সপন্ডেন্ট দ্বারা ঐ মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল আরও বেশি বিবর্ধিত বা অ্যামপ্লিফাই করে সেটিকে রিলে করা হয়। এর ফ্রিকোয়েন্সি হয় 4Ghz। টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভে রিপিটার যে ভূমিকা পালন করে স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভের ক্ষেত্রে ট্রান্সপন্ডেন্ট সেই ভূমিকা পালন করে। পুনরায় ভূমিতে থাকা বিভিন্ন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রগুলাে ঐ বিবর্ধিত সিগন্যালগুলােকে গ্রহণ করে যথাস্থানে প্রেরণ করে। যেহেতু মাইক্রোওয়েভ মুখােমখি সংযােগ বা লাইন অব সাইট মেইনটেইন করে এজন্য ভূমিতে স্থাপিত ভিস্যাটকে আকাশমুখী করে স্থাপন করা হয়। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভের সিগন্যাল ট্রান্সমিশনের প্রতিবন্ধকতাগুলাে হলাে বাতাসে থাকা বিভিন্ন গ্যাস, জলীয় বাষ্প, আয়নােস্ফিয়ার প্রভৃতি। এগুলাে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যালকে শােষণ করে।
স্যাটেলাইটের ব্যবহার (Using of Satellite) | বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি
- পৃথিবীর জলবায়ু এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করার কাজে।
- টেলিভিশন সম্প্রচার কাজে।
- অপেশাদার রেডিও যােগাযােগের ক্ষেত্রে।
- প্রতিরক্ষা কাজে।
- ইন্টারনেট যােগাযােগের ক্ষেত্রে।
- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ যােগাযােগের ক্ষেত্রে।
- দূরের গ্রহ, গ্যালাক্সি এবং মহাশূন্যের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ কাজে।
- গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (Global Positioning System-GPS) এর মতাে বিভিন্ন অবস্থান নির্ণয় কাজে।
স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের সুবিধা
- বিপুল পরিমাণ ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব।
- পৃথিবীর একপ্রান্তে বসবাসকারী লােকজন অন্যপ্রান্তে বসবাসকারী লােকজনের কাছাকাছি থাকতে পারে।
- প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- প্রাকৃতিক বিপর্যয়কালীন সময় যখন সব ধরনের যােগাযােগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে তখন স্যাটেলাইট যােগাযােগ ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
- আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব।
- ভয়েস কলিং, ভিডিও কলিং, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট, ফ্যাক্স ইত্যাদি সেবা পাওয়া যায়।
- একটি মূল্য সাশ্রয়ী ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লং ডিসটেন্স কল করা যায়।
স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অসুবিধা
- স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে অনেক উঁচুতে হওয়ায় সেখানে সিগন্যাল পাঠাতে অনেক বড় এন্টেনার প্রয়ােজন হয়।
- স্যাটেলাইট প্রযুক্তিটির বাস্তবায়ন ও তদারকির বিষয়টি ব্যয়বহুল।
- স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সিগন্যাল ডিলে একটি অসুবিধা হিসেবে আবির্ভূত হয়।
- ভ্রমণরত অবস্থায়, খারাপ আবহাওয়ায় কিংবা সানস্পট-এর কারণে বিভিন্ন সেবা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
- ডেটার অনাকাক্ষিত হস্তক্ষেপ প্রতিরােধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ এর সাথে টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভের পার্থক্য
স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ পদ্ধতি | টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ পদ্ধতি |
---|---|
১. স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ পদ্ধতিতে উপগ্রহের সাহায্যে পৃথিবী থেকে প্রায় ২২,২৩০ মাইল উপরে জিওসিনক্রোনাস অরবিটে ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার বসানাে বা স্থাপন করা হয়। | ১. টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ পদ্ধতিতে ভূ-পৃষ্ঠেই ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার বসানাে বা স্থাপন করা হয়। |
২. একসঙ্গে একাধিক দেশে কভারেজ প্রদান করা যায়। | ২. এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র একটি দেশেই কভারেজ প্রদান করা সম্ভব। |
৩. এই পদ্ধতিতে ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার-এর মধ্যে বাধা তৈরি হওয়া সম্ভব নয় বলে সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয় না। | ৩. এই ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার-এর মধ্যে কোনাে বাধা তৈরি হলে সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয়। |
স্যাটেলাইটের চেয়ে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে আলাের গতি কম হলেও ডেটা পাঠাতে অপটিক্যাল ফাইবারই দ্রুততর
পৃথিবী থেকে ভিস্যাটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটে সিগন্যাল পাঠানাে হয়। স্যাটেলাইট সিগন্যালটি রিসিভ করে সেটিকে নতুন করে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইট আবার স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবী এভাবে সিগনাল ট্রান্সমিট হয়। কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে পাঠালে প্রথমে বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে আলােক সিগন্যালে পরিণত করে আলাের গতিতে ফাইবারের মাধ্যমে ট্রান্সমিট হয় এবং অপরপ্রান্তে আলােক সিগনালকে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে পরিণত করা হয়। এভাবে প্রেরক থেকে সরাসরি গ্রাহকের নিকট সিগন্যাল পরিবাহিত হয়। স্যাটেলাইট দিয়েও সিগন্যাল আলাের বেগে যেতে পারে, কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবার কাচের ভেতর দিয়ে যেতে হয় বলে সেখানে আলাের । বেগ এক-তৃতীয়াংশ কম। তারপরেও পৃথিবীর একপৃষ্ঠ থেকে অন্যপৃষ্ঠে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সিগন্যালকে তাড়াতাড়ি পাঠানাে যায়। কারণ তখন প্রায় ৩৬ হাজার কিলােমিটার দূরের স্যাটেলাইটে সিগন্যালটি গিয়ে আবার ফিরে আসতে হয় না। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে মাত্র। আঠারাে থেকে বিশ হাজার কিলােমিটারেই চলে যেতে পারে।
ইনফ্রারেড কি | ইনফ্রারেড কাকে বলে (Infrared) | ইনফ্রারেড সেন্সর কি
বাসা-বাড়ীতে টেলিভিশন, ভিসিডি প্লেয়ার, খেলনা গাড়ী, এয়ারকন্ডিশন প্রভৃতি চালানাের জন্য রিমােট ব্যবহার করা হয়। রিমােট কন্ট্রোলের সাহায্যে মূল ডিভাইসকে এক্ষেত্রে কোন তারবিহীন মাধ্যম দ্বারা যােগাযােগ করা হয়। এটি হলাে ইনফ্রারেড নামের একধরনের তরঙ্গনির্ভর যােগাযােগ ব্যবস্থা। ইনফ্রারেড হলাে একধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ, যার ফ্রিকোয়েন্সি সীমা টেরাহার্জ (THz) হয়ে থাকে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামে ৩০০ গিগাহার্জ (GHz) হতে ৪৩০ টেরাহার্জ (THz) পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যান্ডকে ইনফ্রারেড নামে অভিহিত করা হয়। খুবই কাছাকাছি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা কমিউনিকেশনে ইনফ্রারেড ব্যবহার করা হয়। ১৮০০ শতাব্দিতে উইলিয়াম হার্শেল এ তরঙ্গ আবিষ্কার করেন, যার অবস্থান ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামে মাইক্রোওয়েভ এবং দৃশ্যমান আলাের মাঝামাঝি। এ প্রযুক্তিতে দু'প্রান্তে ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সমিট করার কাজটি LED (Light Emitting Diode) বা ILD (Interjection Laser Diode)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং ফটো ডায়ােড সিগন্যাল রিসিভ বা গ্রহণ করে। ইনফ্রারেড সিগন্যালের অসুবিধা হলাে এটি ঘরের দেয়াল বা শক্ত বস্তু ভেদ করে অপরপ্রান্তে যেতে পারে না।
ইফ্রারেড এর ব্যবহার | ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ব্যবহারের নিয়ম
- গৃহসামগ্রী পরিচালনা যেমন- ঘরের দরজা, জানালা, পর্দা, লাইট, ফ্যান, এসি প্রভৃতি রিমােট কন্ট্রোলের সাহায্যে চালু বা বন্ধ করতে।
- কার লকিং সিস্টেমে।
- বিভিন্ন রিমােট কন্ট্রোল নির্ভর খেলনা সামগ্রীতে।
ইনফ্রারেড এর বৈশিষ্ট্য
- দৃশ্যমান আলাের চেয়ে বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্য (700nm-Imm)
- ফ্রিকোয়েন্সি লেভেল 300GHz - 430THz
- ডেটা চলাচল গতি তার মাধ্যমের তুলনায় কম।
ইনফ্রারেড এর সুবিধা
- স্বল্প বিদ্যুতে ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব।
- উচ্চ নিরাপত্তায় ডেটা ট্রান্সমিশন।
- যে কোনাে ডিভাইস এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড অবস্থায় কাজ করতে ।
ইনফ্রারেড এর অসুবিধা
- অধিক দূরত্বে ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব নয়।
- দেয়াল বা শক্ত বস্তুকে ভেদ করে চলাচল করতে পারে না।
- সরাসরি সূর্যালােক, ধুলােবালি, কুয়াশা, বৃষ্টি প্রভৃতি ডেটা ট্রান্সমিশনে বিঘ্ন ঘটায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ রেডিও ওয়েভ কি | মাইক্রোওয়েভ কি | ইনফ্রারেড কি
বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কি, ওয়্যারলেস অ্যান্টেনা যেভাবে কাজ করে, রেডিও ওয়েভ কি, রেডিও ওয়েভ ব্যবহারের সুবিধা , রেডিও ওয়েভ ব্যবহারের অসুবিধা, মাইক্রোওয়েভ কি, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের আবিষ্কারক, টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোয়েভ, স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ কাকে বলে, স্যাটেলাইটের ব্যবহার, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের সুবিধা, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের অসুবিধা, স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ এর সাথে টেরিস্ট্রোরিয়াল মাইক্রোওয়েভের পার্থক্য, ডেটা পাঠাতে অপটিক্যাল ফাইবারই দ্রুততর, ইনফ্রারেড কি | ইনফ্রারেড কাকে বলে, ইফ্রারেড এর ব্যবহার, ইনফ্রারেড এর বৈশিষ্ট্য, ইনফ্রারেড এর সুবিধা, ইনফ্রারেড এর অসুবিধা।
যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর এই রকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট।
যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর এই রকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট।