শিষ্টাচার রচনা hsc | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য জেনে নিবো। তোমরা যদি শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য টি।
শিষ্টাচার রচনা শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য |
আর হ্যা আমরা তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা খুব সহজ ভাবে আজকের এই শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য টি তুলে ধরেছি।
শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা
ভূমিকা: মানুষ দেনন্দিন জীবনে কথা-বার্তা, চাল-চলন, আহার-বিহার ও সার্বিক আচরণে যে শালীনতা প্রকাশ করে তা-ই শিষ্টাচার । মানুষ সমাজ ভাবনে বাহরের সৌজন্যবােধকে প্রকাশ করে নিজেকে মার্জিত ও বিনয়ী স্বভাবের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে যারা কেবল কৃত্রিমভাবে নিজকে উপস্থাপন করতে চায় তারা কপটচারী, পক্ষান্তরে ভেতরে বাইরে যে সমান মাজিতি ও বিনয়ী তার মধ্যে প্রকাশ ঘটে শিষ্টাচারের। বলা যায়, মানবের ভেতর সত্তার মার্জিত আচরণের বহিঃপ্রকাশ শিষ্টাচার । শিষ্টাচার মানুষের অন্যতম প্রধান ]।
শিষ্টাচারের স্বরুপ: শিষ্টাচারকে একক একটি গুণ না বলে একগুচ্ছ ভালাে গুণের সম্মিলন বলা যায়। একজন ব্যক্তি কেমন তার সবকিছুরই প্রকাশ। ঘটে ব্যক্তির আচরণে। মানব আচরণের মধ্য দিয়ে তার যথার্থ ব্যক্তিত্বকে নিরুপণ করা যায় । তাই ব্যক্তির আচরণের মধ্যেই শিষ্টাচারের স্বরূপ। বিদ্যমান। মাথার চুল কাটা থেকে পায়ের নখ কাটা পর্যন্ত কাজেও শিষ্টতাকে চিনে নেওয়া যায় । সুরুচি, সকথা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নম্র স্বরে কথা বলা ইত্যাদির মধ্যেও শিষ্টাচারের প্রকাশ ঘটে। মােটকথা ব্যক্তির সর্বোত্তম আচরণই শিষ্টাচার । শিষ্টাচার সকলের মধ্যে বর্তমান থাকা বাঞ্ছনীয়।
শিষ্টাচার শিক্ষা: শিষ্টাচার শিক্ষার জন্যে পরিবারই প্রথম এবং প্রধান শিক্ষালয়। পরিবারের বড়দের মধ্যে শিষ্টাচারের অভাব হলে নতুন শিশুর পক্ষে শিষ্টাচার শেখা সম্ভব নয়। শিশুরা স্বাভাবিকভাবে অনুকরণ প্রিয়। তাই তাদের চোখের সামনে যত শিষ্ট আচরণ করা যায় ততই তাদের আচরণে শুদ্ধতা আসে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া হয়। গুরুজনের সাথে ছাত্রের আচার-ব্যবহার, সমাজের অন্যান্য ব্যক্তির সাথে তার আদবকায়দা কেমন হবে তা বিদ্যালয়েও শিক্ষা দেওয়া হয়। শিষ্টাচার শুধু শিক্ষা দেওয়ার বিষয় নয় একে নিজ গুণে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়, তবেই। নন্দিত ব্যক্তিত্বের উত্তোরণ ঘটে জীবনে।
শিষ্টাচারের গুরুত্ব: মানবজীবনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। শিষ্টাচার আছে এমন মানুষ সহজেই অন্যের মন জয় করতে পারে, ফলে সমাজে তার তগেতাে বন্ধি পায়। শিষ্টাচারপ্রবণ মানুষ বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে সকলের মাঝে । সকলে তাকে সমাজের নেতৃত্বে দেখতে চায় ফলে ব্যক্তির পক্ষে মহৎ নাজ করাও সম্ভবপর হয়ে ওঠে। শিষ্টাচারী ব্যক্তি সাধারণ মানুষের জন্যে মডেল বা অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। সমাজের মানুষ তাকে উ। অবস্থানে স্থান দেন। মানুষ প্রকৃতিগতভাবে অন্যের কাছ থেকে সদাচারণ, স্নিগ্ধ ব্যবহার ও সামান্য প্রশংসা প্রত্যাশা করে। তাই ব্যক্তির সাথে বাকির শিষ্টাচার সমাজে বয়ে আনে সাম্য, শান্তি। তাই সামাজিক জীবনে শিষ্টাচারের প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব অত্যধিক।
পারিবারিক জীবনে শিষ্টাচার: পারিবারিক জীবনে শিষ্টাচারের ভূমিকা অপরিসীম। যে পরিবারে শিষ্টাচার আছে তারা শান্তিময় জীবনযাপন করে। পিরবারে শাচার আছে বলে তারা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফলে পরিবারে কোনাে অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হয় না। পক্ষান্তরে শিষ্টাচারশূন্য পারবার অশান্তির ঠিকানা। তারা শান্তিপ্রিয় জীবনে আগ্রহী হলেও শান্তি তাদের কাছে থেকে যায় অধরা। কেননা তাদের মধ্যে শিষ্টাচার নেই, ফলে। উদ্ধত আচরণ দিয়ে তারা একে অন্যের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়। পারিবারিক জীবনে যে পরিবার শিষ্টাচার চর্চা করে সমাজের অন্যান্য পরিবার। তাদেরকে ভালাে মানুষ হিসেবে গণ্য করে। তাই পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আমাদের হতে হবে শিষ্টাচারপ্রিয়।।
ছাত্রজীবনে শিষ্টাচার: ছাত্রজীবন মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় । ছাত্রজীবনে শিষ্টাচারের মতাে উত্তম আচরণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে পরিণত জীবনে এর প্রতিফলন ঘটে। ফলে বক্তিগত জীবন হয়ে ওঠে নান্দনিক। একজন শিষ্টাচারী ছাত্র সকল শিক্ষক এবং সহপাঠী দ্বারা সমাদৃত হয় এবং বিদ্যালয়ে হয়ে ওঠে প্রিয় পাত্র। অন্যদিকে অশিষ্টাচারী ছাত্র নিজে যেমন মন্দ অন্যের জন্যেও সে ক্ষতিকারক । সকলে তাকে অভিসম্পাত করে এবং তার জীবন হয় অর্থহীন।
শিষ্টাচারহীন জীবনের পরিণাম: শিষ্টাচারহীন জীবন মানে ঔদ্ধত্যপূর্ণ অহংকারী জীবন। এ জীবনে সভ্যতার কোনাে স্থান নেই। যার মধ্যে শিষ্টাচার নেই তার জীবনাচরণে মার্জিত কিছু আশা করা বৃথা । শিষ্টাচার বর্জিত জীবন সমাজ, রাষ্ট্র সকলের জন্যেই অকল্যাণকর । যে জীবনে শিষ্টাচারের অভাব রয়েছে তাকে সকলে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। সমাজে তার অবস্থান নিচে। অমার্জিত লােকের সাহচর্য কেউ কামনা পরিবারও তাকে এড়িয়ে চলে। যে জীবনের সাহচর্যকে কেউ গ্রহণ করে না তার মতাে দুর্ভাগা আর কে আছে?
উপসংহার: শিষ্টাচার অসংখ্য মানবিক গণের সমষ্টি। এ গুণকে জীবনে ধারণ করতে হবে। শিষ্টাচারপূর্ণ জীবন মানুষকে অনেক উর্ধ্বে উতি কৰে। উপসংহার: শিষ্টাচার অসংখ্য মানবিক গুণের সমষ্টি। এ গুণকে জীবনে ধারণ ।
নাম যদি এ গণের অধিকারী না হয় তা হলে সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যদা হ্রাস পায় । শিষ্টাচারী জীবনের সমাজের সর্বস্তরে মানুষ যদি এ গুণের অধিকারী না হয় তা হলে সভ্য সমাজে ধারণ করতে হলে তাই শিষ্টাচারই হওয়া উচিত দৈনন্দিন জীবনের আচরন।
শিষ্টাচার রচনা hsc
ভূমিকা: আচার-আচরণ ও ব্যবহারের বলেই মানুষ যেমন অন্যের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে ওঠে, আবার এ আচরণ বা ব্যবহারই তাকে অন্যের কাছে অশ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত করে। মার্জিত, রুচিশীল এবং বিনয়ী আচরণ। হলো শিষ্টাচার। শিষ্টাচারের মাধ্যমে সহজেই অন্যের মনে স্থান করে নেওয়া যায়। শিষ্টাচারের প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়া যায় পরিবার থেকে। একজনের বাহ্যিক আচরণ দেখলেই তার পরিবারের অন্য সদস্যদের আচরণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সমাজে সুন্দরভাবে বসবাসের প্রয়োজনে শিষ্টাচারের জন্ম। শিষ্টাচার বা সৌজন্যবোধ সমাজজীবনের বিকশিত শতদল। ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের জন্য চাই সুন্দর পরিবেশ ও জ্ঞানের আলো। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত নয়, এমন মানুষের নিকট থেকে কখনো ভদ্রতা আশা করা যায় না। কারণ অশিক্ষা থেকেই ঘটে অমার্জিত রুচির জন্ম । শিষ্টাচারী লোক সর্বত্রই মহীয়ান ।
শিষ্টাচারে স্বরূপ: আত্মীয়-অনাত্মীয়, পরিচিত-অপরিচিত সকলের সঙ্গে প্রীতিপূর্ণ, রুচিসম্মত ব্যবহারই শিষ্টাচার। শিষ্টাচারে সকলেই মুগ্ধ হয়। শিষ্টাচার বলতে বাইরের মার্জিত ব্যবহারই শুধু নয়, নয় ভদ্রতার সামাজিক রীতি অনুসরণ; এর সঙ্গে যুক্ত আছে সুজনের মহৎ হৃদয়ের গভীর উষ্ণ স্পর্শ। আছে অন্তর-সৌন্দর্যের বিকশিত মহিমা ।
শিষ্টাচারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা: সমাজজীবনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক । শেকসপিয়রের মতে— দরিদ্র অথচ সদাচারী এবং ভদ্রজনের কাছে দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুত্ব ও প্রীতির বাণী আসে। ‘An honest man is the noblest work of God.' – পোপের এ কথাটি এ ক্ষেত্রে স্মরণীয়। প্রকৃতপক্ষে জীবনের সবক্ষেত্রে শিষ্টাচারের প্রয়োজন । শুধু ব্যক্তিস্বার্থে নয়, জাতীয় স্বার্থেও এর ভূমিকা অনন্য। পৃথিবীর যেকোনো উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, তাদের সকল উন্নতির মূলে রয়েছে শিষ্টাচার। শিষ্টাচার দিয়ে মানুষ অতি সহজে মানুষের মন জয় করে যেকোনো কাজ উদ্ধার করতে পারে। শিষ্টাচার মানবসভ্যতার শ্রেষ্ঠ সম্পদের ক্রমপুঞ্জিত যোগফল, মানুষের অন্তর সমুদ্র মন্থনজাত দুর্লভ অমৃত ফল।
ছাত্রজীবনে শিষ্টাচারের স্থান: ছাত্রজীবন ভবিষ্যতের পল্লবিত সৌন্দর্যের অস্ফুট পটভূমি। এ সময়টি তার শিষ্টাচার ও সৌজন্য আহরণের যথার্থকাল। শিষ্টাচারের ছোঁয়াতেই ছাত্র হয় বিনীত ও ভদ্র। নতুন প্রাণসম্পদে হয় গৌরবান্বিত। ছাত্রজীবনে যে গুরুজনদের শ্রদ্ধা করতে শিখল না, যার উদ্ধত-অবিনীত ব্যবহারে শিক্ষক বিরক্ত, যার রূঢ় অমার্জিত আচরণে বন্ধুরা ক্ষুব্ধ-বেদনাহত, পরবর্তী জীবনেও তার একই আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটে। তখন সে হয় অশুভ-শক্তি, অকল্যাণের মূর্ত প্রতীক। সমাজের বুকে সে ছড়িয়ে দিয়ে যায় অমৃতের বদলে গরল । ছাত্রজীবনই মানুষের সুপ্ত সুকুমারবৃত্তি লালনের সময়। শিষ্টাচার তো তার মনুষ্যত্ব অর্জনেরই সোপান। এরই মধ্যে আছে নিজেকে সুন্দর ও সার্থকতায় পরিপূর্ণ করে তোলার মহাশক্তি। বিনয়ী, ভদ্র ছাত্র শুধু শিক্ষকের স্নেহই কেড়ে নেয় না, সে পায় শিক্ষকের আশীর্বাদ, পায় তাঁর সাহায্য। সৌজন্য ও শিষ্টাচারের অভাব ছাত্রকে অবিনীত, স্বার্থপর, নিষ্ঠুর করে তোলে ।
মানবজীবনে শিষ্টাচারের স্থান: জনৈক সাহিত্যিক বলেছেন যে, মানবজীবনের সবচেয়ে বড় গুণ শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, মানবজীবনের সার্বিক কল্যাণে শিষ্টাচারের স্থান অতি উচ্চে। পৃথিবীর যেকোনো মহামানবের সাফল্যের মূলে রয়েছে শিষ্টাচার । শিষ্টাচার মানুষকে সমাজের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করে। সামাজিক জীবনকে করে সর্বাত্মক সুন্দর। তাই আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে শিষ্টাচারী হতে হবে।
শিষ্টাচারহীনতার বর্তমান চিত্র: আজ সমাজের নানা ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিষ্টাচারহীনতা ও সৌজন্যহীনতার নিষ্ঠুর চিত্র। দিনদিনই মানুষের উচ্ছৃঙ্খলতা বাড়ছে। বাড়ছে তার সীমাহীন ঔদ্ধত্য। বাঙালির সামাজিক আচার-আচরণের যে শাশ্বত মূল্যবোধ, তা এখন বিদেশি বিজাতীয় ভাবধারায় পর্যুদস্ত। মানুষের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবোধ। সৃষ্টি হচ্ছে মানুষে মানুষে বিরোধ। বিত্তবানের নির্লজ্জ ঔদ্ধত্য, প্রবলের সীমাহীন অত্যাচারে আজ শিষ্টাচার ও সৌজন্য দুর্বলের ভীরুতাই অসহায় প্রকাশ মাত্র । মানুষকে অপমান করতে পারলেই বুঝি দুর্বিনীতের তৃপ্তি। অবিনয়ে আজ আর তার লজ্জা নয়। দুর্ব্যবহার, দুর্মুখতা আর অগৌরবের নয়। দুর্বাক্য এখন বচন-অলংকার। শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের সৌন্দর্য হারিয়ে মানুষ আজ নিঃস্ব, হৃদয়হীন। অন্তরের পুষ্পিত শতদল আজ ছিন্নভিন্ন। আজকের মানুষ হৃদয় ঐশ্বর্যের স্বর্গ থেকে নির্বাসিত। কিন্তু কেন তার জীবনে আজ এ নির্দয় অভিশাপ? কেন সে আজ এভাবে নিঃস্ব, দেউলে হয়ে গেল? মানুষ তা একদিন কঠিন তপস্যা আর দীর্ঘ অনুশীলনের ফলে অর্জন করেছিল শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ। একদিন তো সে উপলব্ধি করেছিল এই তার গৌরব- আভরণ। তবু কেন মানুষ আজ হৃদয়ের ঐশ্বর্যবঞ্চিত হয়ে এমন আত্মকেন্দ্রিক, এমন অন্তঃসারশূন্য? কেন মানুষ পুরোনো মূল্যবোধে বিশ্বাস হারাল, অথচ নতুন প্রত্যয়ের জন্ম হলো না। বস্তুত শিষ্টাচারহীনতা আজ জাতির জীবনে চরম সর্বনাশ ডেকে আনছে।
প্রতিকারের উপায়: আজ দিকে দিকে যখন সামাজিক অসাম্য, যখন ধনবানের উদ্ধত আচরণ, যখন বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে, যখন নির্লজ্জ অশালীন ব্যবহারে মানুষ কুণ্ঠিত নয়, তখন তা সমাজের এক অন্তঃসারশূন্যতারই করুণ চিত্র। আজ যদি জাতিকে নতুন প্রাণসম্পদে অনুপ্রাণিত করতে হয়, যদি জাতিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়, তবে নতুন করে প্রয়োজন সৌজন্য ও শিষ্টাচারের উদ্বোধন । গ্রহণ করতে হবে এ দুর্লভ চারিত্রিক ঐশ্বর্য আয়ত্তের শিক্ষাসূচি। গৃহ-পরিবেশ, স্কুল- কলেজ, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এগুলোই হলো তার যথার্থ ক্ষেত্র। এখান থেকেই মানুষ ভবিষ্যৎ জীবনের পাঠ নেবে। শিষ্টাচারের অনুশীলনই তাকে নম্র, সুন্দর করবে। সমাজ অমার্জিত ব্যবহার ও শিষ্টাচারহীনতার কলঙ্ক থেকে বাঁচবে ।
উপসংহার: শিষ্টাচারের ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এ ক্রান্তিলগ্নে শিষ্টাচার খুবই দরকার । মানুষের সবগুণের নির্যাস হলো শিষ্টাচার। তা কারো একার ব্যাপার নয়। সবারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর প্রযত্নে শিষ্টাচার সম্পর্কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধকে আজ আর উপহাস করলে চলবে না । শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সার্থক হোক মানবসভ্যতা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য টি। যদি তোমাদের আজকের এই শিষ্টাচার রচনা | শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রচনা | শিষ্টাচার সম্পর্কে ৫টি বাক্য টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।