আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা আমাদের আজকের ব্লগ পোস্টের বিষয় হলো ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম বা ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম ও ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত বা ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত সম্পর্কে।
|
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত |
যদিও আমরা ঈদের নামাজ ছাড়া অন্যান ফরজ সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি। এসব নামাজের নিয়ম আর ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা।
ঈদ আসলেই আমরা জানতে চাই ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম বা ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম। তো বন্ধুরা দেরি না করে আমরা সোজাসুজি ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম জেনে নেই।
আর হ্যা আপনারা আজকের পোস্ট থেকে বছরের দুটা ঈদ অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই পোস্ট মনোযোগ সহ কারে পড়ুন এতে আপনারই লাভ।
সুচিপত্রঃ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম | ঈদুল আজহার সুন্নত সমূহ
- ঈদুল ফিতর কি
- ঈদুল আজহার নামায কি
- ঈদের নামাযের ওয়াক্ত
- ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত
- ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত
- তাকবীরে তাশরিক
- ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
- ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম
- ঈদের নামায শুরু হয়ে গেলে করণীয়
- ঈদের জামাআতে তাকবীর ছুটে গেলে করণীয়
- ঈদের জামাআতে এক রাকাআত ছুটে গেলে করণীয়
- ঈদের দিনের সুন্নাত ও মুস্তাহাবসমূহ
- ঈদের দিন ও ঈদের রাত্রির ফজিলত
ঈদুল ফিতর কি
রমজান মাসের রােজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে মুসলিম জাহানে যে আনন্দোৎসব উদযাপিত হইয়া থাকে, উহা ‘ঈদুল ফিতর' নামে। অভিহিত। ঈদুল ফিতর আরবী ভাষায় দুইটি শব্দ।
'ঈদ' অর্থ খুশী, আনন্দ ; আর । “ফিতর শব্দের অর্থ প্রকৃতি স্বভাব, উপবাস ভঙ্গকরণ। দীর্ঘ একমাস উপবাস ও সংযম-সাধনার পর দুনিয়ার মুসলমানরা এই দিনে উপবাস ব্রত হইতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়া আসে এবং এই উপলক্ষে আনন্দোৎসব করিয়া থাকে ; এইজন্যই এই উৎসবের নামকরণ হইয়াছে ; ঈদুল ফিতর' বা স্বাভাবিকতায় প্রত্যাবর্তন বা উপবাসব্রত ভঙ্গের উৎসব।
মদীনায় পারসীকদের প্রভাবে শরতের পুর্ণিমায় নওরােজ উৎসব' এবং বসন্তের পুর্ণিমায় “মিহিরজান উৎসব' উদযাপিত হইয়া থাকে। এই দুইটি বিজাতীয় উৎসবের রীতিনীতি ইসলামী রীতিনীতির পরিপন্থী ছিল বলিয়া হুযূর (সঃ) মুসলমানদিগকে ।
উহাতে যােগদান হইতে বিরত থাকার নির্দেশ দেন এবং তদস্থলে ঈদুল ফিতর ও । ঈদুল আহা!এই দুইটি উৎসব পালনের রীতি প্রবর্তন করেন।
ইসলামের কোনই কাজা তাৎপর্যহীন ও ছাওয়াব শূন্য নয়। এই জন্যই । মুসলমানরা আনন্দোৎসব পালনের সাথে সাথে নানা রকম ইবাদতের মাধ্যমে অশেষ পূণ্যও হাছিল করিয়া থাকে। আল্লাহ তায়ালার মহান দরবারে সম্পূর্ণ। আত্মসমর্পণ করার নামই ইসলাম, আর তাহার 'তওহীদ' বা একত্বের স্বীকৃতিই ।
ইসলাম ধর্মের মূলকথা। মু'মিন ব্যক্তির আকীদায় আল্লাহ তায়ালা সর্বশক্তিমান ও সদা বিরাজমান। এই বিষয়ের আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি এবং কার্যতঃ ইহার অনুষ্ঠান এই তিনটি উপাদানের সমাবেশে ঈমান পরিপূর্ণতা লাভ করে।
কেবলমাত্র বিশ্বাস অথবা শুধু মাত্র মৌখিক স্বীকৃতির ফলে কেহ খাটি মু'মিন বা । সত্যিকার মুসলমান হইতে পারে না। উক্ত উপদানত্রয়ের একত্র সমাবেশের। মাধ্যমেই কামেল মু'মিন হওয়া যায়। দীর্ঘ এক মাস কাল রােজা পালনের মাধ্যমে। মুসলমান বিশ্বাসের স্বীকৃতি ও কার্যতঃ প্রমাণ দিয়া থাকে ।
তৎসঙ্গে খােদা-প্রীতি। ধর্মনিষ্ঠা, সংযম ও সাধনার পরিচয়ও দিয়া থাকে। এইভাবে ঈদের দিনে মুসলিম-জীবনের বিশ্বাস ও সাধনার বিজয় ঘােষিত হইয়া থাকে ।
ঈদুল আজহার নামায কি
যিলহজ্জ চাঁদের ১০ তারিখে বিশ্ব মুসলিমদের জন্য আরেকটি খুশীর দিন উপস্থিত হয়। তাহা ঈদুল আজহা নামে অভিহিত। আজহা' শব্দের অর্থ কুরবানী।
সারা জাহানের ধনী মুসলমানেরা এই দিনে উট-গরু, ভেড়া-বী -দুম্বা ইত্যাদি পশু আল্লাহর নামে কুরবানী এবং এই উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন করিয়া থাকে। তাই ইহার নাম ঈদুল আজহা বা কুরবানীর উৎসব। আল্লাহ্র রাস্তায় পশু কুরবানীর তাৎপর্য ও ফজিলত অপরিসীম। তাই এই দিনের ফজিলতও অপরিসীম।
ঈদের নামাযের ওয়াক্ত
সূর্য উদিত হওয়ার পর যখন এর প্রখরতা বৃদ্ধি পেয়ে চোখ ঝলসাতে শুরু করবে, সে সময় হতে আরম্ভ করে দুপুর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাযের ওয়াক্ত।
ঈদুল ফিতর নামাযের নিয়ত | ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিইয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই ছালাতি ঈদিল ফিতরি। মাআ সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইদাইতু বিহাযাল ইমামি। মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ “আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত ওয়াজিব নামায ছয় । তাকবীরের সাথে কিবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে আদায় করছি আল্লাহ। আকবার।”
ঈদুল আযহা নামাযের নিয়ত | ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিইয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই ছালাতি ঈদিল আযহা। মায়ী সিত্তাতি- তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম। মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ “আমি ঈদুল আযহার দুই রাকআত ওয়াজিব নামায ছয় তাকবীরের সাথে কিবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে আদায় করছি আল্লাহু আকবার।”
তাকবীরে তাশরিক
৯ই যিল্ হজ্জের ফজর হইতে ১৩ই যিলহজ্জের আছর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের জামায়াতের পর জোরে জোরে তাকবীরে-তাশরীক পড়া ওয়াজিব। একাকীর জন্য মুস্তাহাব। তাবীর এই।
الله اكبر الله أكبر لا إله الا الله والله اكبر الله أكبر ولله
الحمد.
উচ্চারণ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াল্লাহু আবার আল্লাহু আব্বার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম
আমরা সবাই জানি বছরের দুই ঈদের নামাজ একই নিয়মে পড়তে হয় তাই আমরা এখানে দুই ঈদের নামাজ এক সাথে তুলে ধরলাম।
তাকবিরে-তাহরীমা অর্থাৎ নামায আরম্ভকালীন প্রথম তাকবীরের পর ইমাম-মুক্তাদী সকলে 'সানা' অর্থাৎ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা পড়িয়া তাহারপর ইমাম উচ্চৈস্বরে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার' বলিবেন।
একবার তাকবীর দেওয়ার পর তিনবার 'সুবহানাল্লাহ্' পড়ার সময় পরিমাণ অপেক্ষা করতঃ আবার তার দিবেন। মুক্তাদীগণ ইমামের অনুসরণ করিবে, কিন্তু নীরবে তাকবীর বলিবে ।
তাকবীর বলার সময়ে ইমাম-মুতাদী সকলেই আপন আপন হস্তদ্বয় কানের লতি পর্যন্ত উঠাইবে। এই তকবীর গুলির প্রথম দুই তাকবীরের সময় কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠাইয়া তারপর হাত নামাইয়া নাভীর নীচে না বাধিয়া শরীরের দুই পার্শ্বে।
ঝুলাইয়া রাখিবে এবং তৃতীয় তীর বলিবার জন্য কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠাইয়া তাকবীর বলা শেষ হইলে প্রথম দুইবারের মত হাত পার্শ্বে না ঝুলাইয়া নাভীর নীচে বাঁধিয়া ফেলিবে। প্রথম রাকয়াতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর আদায়ের ইহা মছন্ন-তরিকা ।
তারপর ইমাম আউজুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, সূরা ফাতেহা ও কোরআন শরীফের কিছু আয়াত পড়িবেন এবং মুক্তাদীগণ চুপ হইয়া সূরা-কেরাত শুনিবে। সূরা-কেরাতের পর যথারীতি রুকু-সেজদা করতঃ সেজদা হইতে সােজাসুজি দাঁড়াইয়া ইমাম দ্বিতীয় রাকয়াতের সূরা-কেরাত পড়িবেন ; তাহারপর তখনই রুকুতে না যাইয়া অতিরিক্ত তিনি তাকবীর আদায় করিবেন। মুকতাদীরা ইমামের অনুসরণ করিবে।
এই তিন তাকবীর বলার সময় প্রত্যেক বার কানের | লতি পর্যন্ত হাত উঠাইয়া তাবীর বলার পর দুই হাত দুই পাশে ঝুলাইয়া রাখিবে এবং হাত ঝুলন্ত থাকা অবস্থায়ই তকবীর বলিয়া রুকুতে যাইবে। (আলমগিরী)
ঈদের নামায শুরু হয়ে গেলে করণীয়
প্রথম রাকয়াতের অতিরিক্ত তাবীর আদায় করা আরম্ভ হইয়া গিয়াছে, এমতাবস্থায় কেহ ঈদের জামায়াতে শরীক হইলে, ইমামের সঙ্গে যে-কয়েকটি তাকবীর পাওয়া যায় তাহা আদায় করিয়া তাহারপর যে-কয়েকটি বাদ পড়িয়াছে, তাহা নিজেই একাকী আদায় করিবে।
যদি প্রথম রাকয়াতের অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলা শেষ হওয়ার পর জামায়াতে শরীক হয়, তবে নিজে নিয়ত বাঁধার পরক্ষণেই একাকী অতিরিক্ত তিন তাবীর বলিয়া তাহারপর চুপ হইয়া কেরাত শুনিবে। (দোঃ মােখতার)
ঈদের জামাআতে তাকবীর ছুটে গেলে করণীয়
কোন ব্যক্তি ঈদের নামাযে এমন সময়ে শামিল হইল যখন ইমাম প্রথম রাকয়াতের রুকুতে চলিয়া গিয়াছে, এই অবস্থায় সে ভাবিয়া দেখিবে যে, নিজে প্রথমে তিন তকবীর শেষ করিয়া ইমামকে রুকুতে ধরিতে পারিবে কি না?
যদি রুকুতে ইমামের সঙ্গে শামিল হইতে পারিবে বলিয়া দৃঢ় ধারণা হয়, তবে নিজে দাড়ান থাকিয়া তিন তাকবীর বলিয়া তাহারপর “আল্লাহু আকবার' বলিয়া রুকুতে শামিল হইবে। আর যদি ধারণা হয় যে, অতিরিক্ত তিন তাবীর বলিতে গেলে ইমাম রুকু হইতে দাঁড়াইয়া যাইবেন, তাহা হইলে সে-ও তাড়াতাড়ি রুকুতে শামিল হইবে এবং রুকুর হালতে থাকিয়া “সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম” পড়ার পরিবর্তে তিনবার আল্লাহু আকবার বলিবে।
তখন হাত হাঁটুতেই থাকিবে, উপরে উঠাইতে হইবে না। যদি সে রুকুতে যাইয়া দুই-একটি তার বলিতে বলিতে ইমাম রুকু হইতে উঠিয়া পড়েন, তবে সেও ইমামের অনুসরণ করিবে। এই ক্ষেত্রে তাহার ছুট যাওয়া তাকবীর মাফ হইয়া যাইবে । (আলমগিরী)
ঈদের জামাআতে এক রাকাআত ছুটে গেলে করণীয়
কোন ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে ইমামকে দ্বিতীয় রাকয়াতের রুকুতে পাইল । এই অবস্থায় সে উপরােক্ত মাসয়ালা অনুযায়ী তার বলিবে এবং ইমামের সাথে রুকু-সেজদা ও বৈঠক করিবে । ইমাম সালাম ফিরাইবার পর সে দাড়াইয়া নিজেই। ছট যাওয়া প্রথম রাকয়াত পড়িবে। সেই রাকয়াতে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়িবে, তাহারপর অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলিয়া রুকুতে যাইবে।
যদি কোন ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে ইমামের দ্বিতীয় রাকয়াতের রুকু শেষ । হইয়া যাওয়ার পর শামিল হয়, তাহা হইলে ইমামের সালাম ফিরানাের পর সে। দাঁড়াইয়া স্বাভাবিক নিয়মে অর্থাৎ প্রথম রাকয়াতে সূরা-কেরাতের পর্বে তিন। তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকয়াতে সূরা- কেরাতের পর তিন তাকবীর বলিবে।। যথারীতি নামায শেষ করিবে।
ঈদের দিনের সুন্নাত ও মুস্তাহাবসমূহ
১। অতি প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ করা।
২। মেসওয়াক করা এবং গােসল করা।
৩। নিজের সাধ্য অনুযায়ী উৎকৃষ্ট পােষাক পরিধান করা।
৪। আতর ইত্যাদি কোন খােশবু ব্যবহার করা।
৫। সাধ্য পরিমাণ খাওয়া-দাওয়ায় ধুমধাম করা।
৬। ঈদের নামাযে যাইতে অযথা বিলম্ব না করা।
৭। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কিছু মিষ্টান্ন খাওয়া, আর ঈদুল। আহার নামাযের পূর্বে কিছু না খাইয়া নামাযের পর যথাশীঘ্র সম্ভব পশু কুরবানী করতঃ কুরবানীর গােশত দ্বারা আহার করী।
৮। ঈদগাহে গমণের পূর্বেই ছদকায়ে-ফিতুর' আদায় করা।
৯। ঈদ্গাহে এক পথে যাওয়া আর ফিরিবার সময় অন্য পথে আসা।
১০। অসুবিধা না থাকিলে পায়ে হাটিয়া ঈদগাহে যাওয়া।
১১। ঈদের নামায কোনও ময়দানে পড়া।।
১২। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পথে নীরবে তাবীর বলা আর ঈদুল আজহার দিন উচ্চৈস্বরে তাীর বলা। (দোঃ মােঃ ; বারায়েক)
ঈদের দিন ও ঈদের রাত্রির ফযীলত
ঈদের দিন ও ঈদের রাত্রির ফজিলত অসীম। হযরত নবী-করীম (দঃ) যে চটি রাত্রিতে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলিয়াছেন, ঈদুল ফিতরের রাত্রিটি উহাদের অন্যতম।
হযরত নবী-করীম (দঃ) যে পাঁচটি রাত্রিতে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলিয়াছেন, ঈদুল ফিতরের রাত্রিটি উহাদের অন্যতম।
হযরত নবী-করীম (দঃ) বলেন, “প্রত্যেক জাতিরই খুশীর দিন থাকে, আর আমাদের খুশীর দিন হইতেছে।ঈদুল ফিতরের দিন।”(বােখারী ও মুছলিম) | অপর এক হাদীসে আছে, “যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাত দুইটিতে আল্লাহর সন্তোষ লাভ ও নেকী অর্জনের নিয়তে ইবাদতে জাগিয়া কাটাইবে, সেইদিন তাহার অন্তর। মরিবেনা।
যেইদিন সমস্ত অন্তর মরিয়া থাকিবে (অর্থাৎ কিয়ামতের দিনের বিভীষিকা। দেখিয়া যখন সকলে ভীত-সন্ত্রস্ত ও আকুল-ব্যাকুল হইয়া পড়িবে, তখন ঐ ব্যক্তি সম্পূর্ণ নির্ভয়ে পরমানন্দের মধ্যে সময় অতিবাহিত করিবে)। (ইবনে মাজা : তারগীব)
হযরত রাসূলেপাক (দঃ) আরও বলেন, “ঈদুল ফিতরের দিন উপস্থিত হইলে, আল্লাহ তায়ালা মুসলমান রােজাদারদের বিষয়ে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব করিয়া! থাকেন। তিনি ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন ৷হে ফেরেশতারা কাহারও উপর কোন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হইলে সে যদি পুরাপুরিভাবে উহা পালন করে, তবে তাহাকে কিরূপ প্রতিদান দেওয়া উচিত ?
ফেরেশতারা বলেন৷ তাহাকে উহার পুরাপুরি পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত।' তখন আল্লাহ্ তায়ালা বলেন। “আমি আমার বান্দা ও বান্দীগণের উপর যে কাজের দায়িত্ব ন্যস্ত করিয়াছিলাম, তাহারা যথার্থরূপে তাহা পালন করিয়াছেন।” অতঃপর মুসলমানরা যখন দলে দলে দোয়া করিতে করিতে ঈদগাহের দিকে রওয়ানা হয়, তখন আল্লাহ্ তায়ালা বলেন আমার ইজ্জতের কছম।
আমার শান-শওকত ও প্রতাপ-প্রতিপত্তির কছম! আমি অবশ্যই তাহাদের দোয়া কবুল করিব।' তাহারপর তিনি বান্দা-বান্দিগণের উদ্দেশ্যে ডাকিয়া ডাকিয়া বলেন ॥‘ওহে আমার বান্দা-বান্দিগণ! আমি তােমাদিগকে মাফ করিয়া দিয়াছি, তােমাদের পাপসমূহকে নেকীতে পরিণত করিয়া দিয়াছি ; এবার তােমরা নিজ নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন কর।' তখন তাহারা নিস্পাপ অবস্থায় এবং বিপুল পুণ্যের অধিকারী হইয়া স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাবর্তন করে।” (বায়হাকী)
আর্টিকেলের শেষকথাঃ
বন্ধুরা আজকে জানলাম ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত। যদি তোমাদের আজকের পোস্ট ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হ ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।