শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আজকের ব্লগ পোস্টের বিষয় হলো শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা ছাড়াও আমরা ই - লার্নিং , ই - বুক ও ই বুকের জনক কে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চলে।
শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা |
আজকের এই চমৎকার টপিক টি জানতে চাইলে প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের পুরো পোস্ট টি জানতে হবে। তো শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা জানার আগে আমরা সুচিপত্র টি এক নজরে দেখে নেই।
সুচিপত্রঃ শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা
শিক্ষা (Education) | শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায়
শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির অনেক অবদান। প্রথাগত শিক্ষা উপকরণ বইয়ের অতিরিক্ত হিসেবে ইন্টারনেট এখন শিক্ষা ও জ্ঞানের আধার। অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশােনা, পরীক্ষা দেয়া কিংবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা লাভ করা যায় । কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযােগ সুবিধা থাকলে। বিশ্বের যেকোনাে প্রান্তের শিক্ষার্থী তার শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এ ধরনের জনপ্রিয় একটি শিক্ষামূলক সাইট হলাে www.khanacademy.org। বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত আমেরিকা প্রবাসী সালমান খানের অনলাইনভিত্তিক এ । একাডেমির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। আমাদের দেশের একটি আইসিটি শিক্ষামূলক সাইট হলাে www.ictshikkha.org। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবার প্রয়ােজন পড়ে।
এভাবে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সাথে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তােলে যা গ্লোবাল ভিলেজ বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ইন্টারনেট এখন প্রায় উন্মুক্ত | বিশ্বকোষ। সাহিত্য, বিজ্ঞান ও গবেষণার যে কোনাে তথ্য সহজে এবং প্রায় বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশের কিছু তরুণ যুবক নিজস্ব প্রচেষ্টায় তৈরি করেছে সাইটটি। এ । সাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে আজকাল হয়ে উঠেছে আরও আধুনিক। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের সুবিধা যুক্ত হওয়ায় এক্ষেত্রে এসেছে। বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ইন্টারনেট সুবিধা যুক্ত হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ যােগাড় করে তা শিক্ষার্থীদের শেখানাের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষকদের লেকচারগুলাে ওয়েবসাইটে আপলােড করে সরবরাহ করা। হচ্ছে। পাঠ্যবইগুলাে অনলাইনেই পাওয়া যাচ্ছে। আজকাল অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে ট্যাব, ল্যাপটপ প্রদান করা হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ের বিষয়গুলাে এসব ট্যাব ও ল্যাপটপে দিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থায় এগুলাে দারুণ প্রভাব ফেলছে।
ই লার্নিং বলতে কি বুঝায় | ই-লার্নিং সার্ভিস | ই লার্নিং এর পূর্ণরূপ কি | ই লার্নিং এর পূর্ণরূপ কি
ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাই হচ্ছে ই-লার্নিং। ই-লার্নিং পদ্ধতিতে যে কোনাে সময় যে কোনাে স্থানে জানা বা শিক্ষা উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে। বর্তমানে পড়ালেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-লার্নিং পাের্টাল চালু হয়েছে। এগুলাের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পছন্দের বিষয়টি নিয়ে পড়াশােনা করতে পারে। এদের কিছু সার্ভিস বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। যেমন- বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জনপ্রিয় সাইট রাফ খাতা (www.rafkhata.com) এবং আইসিটি শিক্ষার জনপ্রিয় সাইট www.ictshikkha.org। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের কোর্সসমূহ নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে অনলাইনে করার সুযােগ দেয়। ফলে ঘরে বসেই বিদেশের ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
এম লার্নিং:
এম লার্নিং (মােবাইল লার্নিং) হলাে ই-লার্নিং এর একটি পদ্ধতি। এতে যে কোনাে স্থানে বসে যেমন গাড়িতে বা ঘরের বাইরে বসে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্ট ফোন, নােটবুক, ই-বুক রিডার ইত্যাদি প্রযুক্তি ডিভাইস ব্যবহার করে এম-লার্নিং করতে পারে।
ডিজিটাল হােয়াইট বোর্ডঃ এটি ই-লার্নিং এর ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর একটি হােয়াইট বাের্ড। এখানে লিখিত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
ই-বুকঃ | ই বুক কি
ই-বুক হলাে প্রিন্টকৃত বইয়ের ইলেকট্রনিক বা ডিজটাল ভার্সন যেটি কমপিউটার বা বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত কোনাে বহনযােগ্য ডিভাইসে পাঠ করা যায়।
ই-বুকের জনকঃ ই বুকের জনক কে
মাইকেল এস হার্ট (Michael S Hart) মাইকেল এস হার্ট হলেন একজন আমেরিকান লেখক। তিনি ১৯৪৭ সালের ৮ মার্চ ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে ই-বুকের আবিষ্কারক বা জনক বলা হয়, কেননা তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে ই-বুক বিতরণের প্রথম প্রজেক্ট গুটেনবার্গ- এর উদ্যোক্তা ছিলেন। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দূরশিক্ষণ (Distance Learning): দূরশিক্ষণ কি | দূরশিক্ষণে তথ্য প্রযুক্তির অবদান
দূরশিক্ষণ শিক্ষা প্রদানের এমন একটি প্রথা যেখানে একজন শিক্ষার্থী প্রচলিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না হয়েও ঘরে। বসে ইন্টারনেট, ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্সিং, চ্যাট, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্রভৃতি কম্পিউটারভিত্তিক যােগাযােগ মাধ্যম ব্যবহার ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং প্রয়ােজনীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জনে সক্ষম হয়। ১৮৪০ সালে Sir Issac Pitman দূরশিক্ষণের ধারণা প্রবর্তন করেন। এর ফলে সরাসরি কোনাে বিশ্ববিদ্যালয়ে (যাদের এ সুযােগ রয়েছে) না যেয়েও নিজ অবস্থানে থেকে সাশ্রয়ে পছন্দ অনুযায়ী বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। সুতরাং এক কথায় দূরশিক্ষণে তথ্য প্রযুক্তির অবদান হলাে- ঘরে বসে অনলাইনে পৃথিবীর যে কোনাে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস, পরীক্ষা দেওয়া এবং উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি অর্জন করা।
শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়ােগ/সুফলসমূহ | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক সুফল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। যেমন—
আধুনিক ও যুগােপযােগী পাঠ্যক্রম/পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও উন্নততর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন:
তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ব্যাপক উব ফলে সহজেই উন্নত বিশ্বের শিক্ষায় ব্যবহৃত পাঠ্যক্রম ও বিষয়বস্তুকে বিচার বিশ্লেষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এর সাথে বাংলা সামাজিক প্রেক্ষাপট, সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলনামূলক পর্যলােচনা করে সহজেই আধুনিক যুগােপযােগী ও বােম্বক প্রেক্ষাপটে সাথে সামঞ্জস্যমূলক পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নত পাঠদান প্রক্রিয়া পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন, দেশে বর্তমানে আধকাংশ পাঠ্যক্রমে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার, ই-বুক, বিভিন্ন ভিজুয়াল কন্টেন্টসমৃদ্ধ ওয়েব নিভর। শিক্ষা সাইট নির্মাণ ও ব্যবহার এ ধরনের আধুনিক শিক্ষাক্রমের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
মেধার মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশে তথ্য প্রযুক্তি
বাংলাদেশে বর্তমানে সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল কম্পিউটারে সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা হয়ে থাকে বিধায় মেধার মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি অনেক বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব এবং হয়রানিমুক্ত হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে কম্পিউটারের ব্যবহারের ফলে মেধার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মােচিত হয়েছে। অপটিক্যাল মার্ক রিডার ব্যবহারের ফলে উত্তরপত্র মূল্যায়নের বিষয়টি হয়েছে দ্রুতগতিসম্পন্ন ও নির্ভুল।
পেশাদার দক্ষ শিক্ষক তৈরি:
তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বর্তমানে প্রশিক্ষিত পেশাদার শিক্ষক তৈরি ও মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। এসব শিক্ষকরা এখন পাঠ্যক্রম তৈরি, পাঠমূল্যায়ন ও ফলাফল প্রদান, শিক্ষাদানের পদ্ধতি, পাঠ্যপুস্তক রচনা সকল ক্ষেত্রেই অত্যন্ত পেশাদারি উপায়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম হচ্ছেন। এর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার গুণগত ও প্রায়ােগিক মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন শিক্ষকরা এখন নিজেরাই ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ও উন্নয়ন করার মাধ্যমে তাদের পাঠদান প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন।
শিক্ষা ব্যবস্থাপনা
বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীরা সহজেই মেধা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিতে পারছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সকল পর্যায়ে ব্যাপকভাবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অনেক অব্যবস্থাপনা ও সীমাবদ্ধতা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলােকে মুক্ত করেছে। যেমন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলােতে এখন ভাজীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এসএমএস প্রেরণ, ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদান প্রভৃতির কারণে। অভিভাবকরাও সহজে শিক্ষার্থীর অগ্রগতি ও দুর্বলতাগুলাে জানতে সক্ষম হচ্ছেন।
ই-লার্নিংঃ ই লার্নিং ও বাংলাদেশ | ই লার্নিং এর ধারনা | ই লার্নিং এর ভূমিকা
প্রেক্ষিত বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতাে বাংলাদেশেও এখন ই-লার্নিং এর ব্যাপক প্রসার লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে ব্যাপক সরকারি প্রণােদনাও প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় ই-লার্নিং সিস্টেম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে যে কোনাে শ্রেণির বাের্ড বইগুলাের ই-বুক তৈরি, ই-স্কুল প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। www.ebook.gov.bd হলাে সরকারি একটি ই-বুক ওয়েবসাইট, যেখান থেকে সকল পাঠ্যবই ও বাের্ড বইয়ের ই-বুক ভার্সন বিনামূল্যে ডাউনলােড করা যায়। যে কোনাে পাঠ্যক্রমের জন্য বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট বিনামূল্যে পাবার অপর একটি ই-লার্নিং সাইট হলাে www.teachers.gov.bd। এখান থেকে বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট বিনামূল্যে ডাউনলােড করা যাবে। সরকারিভাবে এ সাইটটি শিক্ষক বাতায়ন নামে পরিচিত। এছাড়াও | বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত বেশ কিছু ই-লার্নিং ওয়েবসাইট যেমন shikkhok.com, ictshikkha.org, 10minuteschool.com প্রভৃতিও বাংলা ই-লার্নিং ওয়েবসাইট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার | শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা। যদি তোমাদের আজকের পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যা বন্ধুদের শেয়ার করে দিবেন। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।