ই-মেইল কি | ই-মেইল এর জনক কে ও সুবিধা গুলো কি কি
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা আজকে দেখবো ই মেইল কি | ই-মেইলের সুবিধা গুলো কি কি। তোমরা যদি এই ই মেইলের জনক কে টি post পড়তে এসছো এখানে। যাইহোক চল দেখে নেই ই মেইলের জনক কে।
ই মেইল কি ই-মেইলের সুবিধা গুলো কি কি |
ই-মেইল (E-mail) | ই মেইল কি
ই-মেইলের পূর্ণ অর্থ হলাে ইলেকট্রনিক মেইল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস (কমপিউটার, মােবাইল প্রভৃতি) এর মধ্যে ডিজিটাল তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থাকে ই-মেইল বলে। ই-মেইল তথ্য আদান-প্রদানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রােটোকল ব্যবহার করে। থাকে এবং এতে টেক্সট বার্তার সাথে অ্যাটাচমেন্ট আকারে নানা ফাইলও (ডকুমেন্ট, ছবি, অডিও, ভিডিও সহ যে কোনাে ডিজিটাল ফাইল) পাঠানাে যায়। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় সারা বিশ্বের যেকোনাে স্থানে ই-মেইল পাঠানাে যায়। এটিকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতির পত্র আদান-প্রদান ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। পত্র যােগাযােগের জন্য যেমন একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রয়ােজন তেমনি ই-মেইলের জন্যও ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহৃত হয়, যা প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য ইউনিক হয়ে থাকে। নিরাপত্তার জন্য গােপন পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত রাখা হয় প্রত্যেকের ই-মেইল অ্যাকাউন্টকে। একটি ই-মেইল অ্যাড্রেসের দুটি অংশ থাকে; যার প্রথম অংশটি ব্যবহারকারীর পরিচিত এবং শেষাংশটি ডােমেইন নেম হিসেবে পরিচিত। যেমন : mrahmansys@gmail.com একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস; যার mrahman-sys অংশটি ব্যবহারকারীর পরিচিতি এবং gmail.com অংশটি ডােমেইন নেম হিসেবে চিহ্নিত হবে ই-মেইল অ্যাড্রেসের এ দুই অংশকে @ চিহ্ন দ্বারা পৃথক করা হয়ে থাকে। নিচের চিত্রে ই-মেইল কীভাবে কাজ করে তা প্রদর্শিত হলাে।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে গঠিত ই-মেইলের ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থা বর্তমানে সনাতন ডাক ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করেছে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাটি আক্ষরিক অর্থেই বিদ্যুৎ গতিতে যে কোনাে তথ্য নির্ভুলভাবে প্রাপক ও প্রেরকের মধ্যে বিনিময় করতে। সক্ষম। ই-মেইল অর্থ ও সময় যেমন সাশ্রয় করে তেমনি বর্তমানে এই যােগাযােগ মাধ্যমে মানুষ এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে, ডাক বিভাগটি প্রায় ইতিহাসের বিষয়ে পরিণত হতে চলেছে।
একটি ই-মেইল বার্তা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। বার্তার খাম বা মােড়ক, বার্তার হেডার বা মূল (যেটিতে বার্তা কোথায় এবং কার কাছ থেকে এসেছে সেই তথ্য থাকে) এবং মূল বার্তা। হেডার মেইল নিয়ন্ত্রণের তথ্য বহন করে, যেটিতে কমপক্ষে একটি প্রেরকের ই-মেইল ঠিকানা থাকতে হয়। তবে একাধিক প্রাপকের ঠিকানাও. একই সাথে লিখে তাদের কাছে। একই সময়ে ই-মেইল করা যায়। এখানে আরও বিস্তারিত তথ্যও থাকে যেমন হেডারে বিষয়বস্তুর জন্য একটি ফিল্ড এবং বার্তা প্রেরণের তথ্য, গ্রহণের তথ্য ইত্যাদি।
ই মেইলের জনক কে
ই-মেইলের জনক রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন আমেরিকান কমপিউটার প্রােগ্রামার Raymond Samuel Tomlinson এর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৩ এপ্রিল। তিনিই সর্বপ্রথম আরপানেটে ই-মেইল প্রােগ্রাম ব্যবহার করে এক হােস্ট কমপিউটার থেকে অপর হােস্ট কমপিউটারে ইমেইল প্রেরণ করেন। তার সূচিত এই ই
মেইল ব্যবস্থা পরবর্তীতে সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদানে এক ব্যাপক বিপ্লব সাধন করে। ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় পদ্ধতি উদ্ভাবন ও তার দ্বারা প্রথম সফল ই-মেইল বিনিময়ের কৃতিত্বের কারণে তাকে ই-মেইলের জনক বলা হয়।
ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য যা প্রয়ােজন
পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্তে ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য যে রিসাের্সগুলাে প্রয়ােজন তা হলাে
১. একটি কমপিউটার বা স্মার্টফোন
২. ইন্টারনেট সংযােগ।
৩. ই মেইল বার্তা তৈরি এডিট গ্রহণ ও প্রেরণসহ ই-মেইল ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়ােজনীয় সফটওয়্যার। বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত এমন দুটি।
৯৮ নেদ ই মেইল সফটওয়্যার প্ল্যাটফরম হলাে জিমেইল (Gmail-www.gmail.com) এবং ইয়াহু মেইল mail.yahoo.com)।
৪. প্রেরক ও প্রাপকের ই-মেইল অ্যাড্রেস।
ই-মেইলের সুবিধা (Advantages of E-mail)
১. ব্যবহার করা সহজ। সহজে পাঠানাে যায় ও গ্রহণ করা যায় এবং কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
২. সবচেয়ে দ্রুত। মুহূর্তেই পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্তে পাঠানাে যায়।
৩. ই-মেইলের ভাষা সহজ।
৪. কোনাে গ্রুপ লােকজনের সাথে দ্রুত যােগাযােগ করা যায়।
৫. ই-মেইলের সাথে এটাচ করে অন্য প্রােগ্রাম বা ফাইল (লেখা, অডিও, ভিডিও) পাঠানাে যায়।
৬. একই মেইল সিসি করে অনেকের কাছে পাঠানাে যায়।
৭. কাগজের ব্যবহার হয় না বিধায় পরিবেশের জন্য সহায়ক।
৮, ই-মেইলের মাধ্যমে সহজেই খুব কম খরচে কোন প্রােডাক্ট মার্কেটিং করা যায়।
৯, সাধারণ প্রাপ্ত মেইলের বিপরীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনাে উত্তর পাঠানাের ব্যবস্থা করা যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ই মেইল কি | ই-মেইলের সুবিধা গুলো কি কি
এতক্ষন জানলাম ই মেইল কি | ই-মেইলের সুবিধা গুলো কি কি টি। তোমাদের যদি এই ই মেইল কি | ই-মেইলের সুবিধা গুলো কি কি টি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ ই মেইল কি | ই-মেইলের সুবিধা গুলো কি কি পড়ার জন্য।