ই কমার্স বলতে কি বুঝায় | ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
হ্যালো শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা? আজকে আমরা জানবো ই কমার্স বলতে কি বুঝায় | ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা। তোমরা যারা জানো না ই-কমার্স কি তারা আজকে খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবে । তো চল বন্ধুরা জেনে নেই ই কমার্স বলতে কি বুঝায় | ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা।
ই কমার্স বলতে কি বুঝায় ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা |
ই কমার্স বলতে কি বুঝায় (E-Commerce) | ই-কমার্স কি | ই-কমার্স কী | e commerce in bangladesh
ইলেকনিক কমার্সকে সাধারণ অর্থে ই-কমার্স (e-commerce or eCommerce) বলা হয়। ইন্টারনেট বা অন্য কোনো Computer নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকনিক পদ্ধতিতে কোনাে পণ্য বা সেবা নয়-বিক্রয়ের কাজটিকেই ই-কমার্স বলে। পণ্য বা সেবার উপাদান, মার্কেটিং, ডেলিভারি, সার্ভিসিং, মূল্য পরিশােধের অনলাইন প্রক্রিয়াসমূহ সামগ্রিকভাবে। ইলেকট্রনিক কমার্সের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৬০ সালে ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (EDI) এর মাধ্যমে ই-কমার্সের যাত্রা শুরু হয়। ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে দ্রুত ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। বিশেষ করে ১৯৯৫ সালে amazon.com ও e-bay.com ই-কমার্স ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু মাধ্যমে ই-কমার্সের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ২০১০ সালের পরবর্তীতে মােবাইলের ব্যাপক প্রসারের সাথে সাথে ইকমার্সের পালে নতুন করে হাওয়া লাগে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমগুলাে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে। ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালে ১.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাবেচা হয়, যার ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মােবাইলের মাধ্যমে আমেরিকার বাজারে কেনা-বেচা হয়ে থাকে। এছাড়াও। অনলাইন ট্রানজেকশন প্রসেসিং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার চালুর ফলে অর্থ লেনদেনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ই-কমার্সের ওপর। লােকজন অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনাে পণ্য বা সেবা ক্রয় করা হলে তাকে অনলাইন শপিং-ও বলা হয়ে থাকে। ইংল্যান্ডের সাসেক্সে। মাইকেল অল্ডরিচ (Michael Aldrich) ১৯৭৯ সালে অনলাইন শপিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে ক্রেতা ঘরে। বসেই যে কোনাে পণ্য পছন্দ ও ক্রয় করতে পারে এবং একই সাথে ঘরে বসেই ঐ ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশােধ করতে পারে। ফলে ক্রেতাকে শারীরিকভাবে কোথাও যাওয়ার পরিশ্রম করতে হয় না এবং অর্থ পরিবহনে অনিরাপদ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় না। ঘরে বসেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, নিরাপদে তার মূল্য পরিশােধ করার সুবিধা এবং পণ্য বিপণন ও ক্রয়বিক্রয়ের কাজটি সহজ হবার কারণে আজকাল ঘরে বসে ই-কমার্স বা অনলাইন শপিং মাধ্যমে কেনাকাটা অধিকতর সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালিত হবার কারণে ই-কমার্সকে ব্যবসায় বাণিজ্যের আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফলে সহজেই এক দেশের মানুষ অন্য দেশের পণ্যের প্রতি আগ্রহী। হচ্ছে এবং ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের সুফল নিয়ে ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোনাে স্থান থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় । করতে পারছে। এজন্যই ই-কমার্সকে বিশ্বগ্রামের অন্যতম সুফল হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
মােবাইল ই কমার্স: e commerce in bangladesh | e commerce websites
যে কোনাে স্থান থেকে তারবিহীন সুবিধার মাধ্যমে অর্থাৎ মােবাইলের মাধ্যমে গ্রাহকের হাতে ই-কমার্সের সুবিধা পৌছানাের ধারণাটি মােবাইল কমার্স নামে পরিচিত। মােবাইল কমার্স কর্তৃক প্রদত্ত পণ্য ও সেবার মধ্যে রয়েছে মােবাইলের মাধ্যমে। টাকা স্থানান্তর বা মােবাইল মানি ট্রান্সফার, মােবাইল দ্বারা এটিএম এর মাধ্যমে টাকা উঠানাে বা মােবাইল এটিএম, মােবাইল এর মাধ্যমে টিকিট কাটা বা মােবাইল টিকেটিং, মােবাইল এর মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম বা মােবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি।
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT): e commerce websites
ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার হলাে কম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেমের মাধ্যমে এক বা একাধিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক একাউন্ট এর মধ্যে অর্থ স্থানান্তর বা বিনিময় প্রক্রিয়া। মূলত ই-কমার্সের ভিত্তিই হলাে এই ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে মূল্য পরিশােধ বা অর্থ স্থানান্তর, ইলেক্ট্রনিক চেক এর মাধ্যমে অর্থ উঠানাে, ওয়েবসাইট বা ইস্ট্রেনিক ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর বা বিনিময় ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার এর অন্তর্ভুক্ত।
বারকোড (Barcode): বারকোভ হলাে মেশিনে তৈরি এক প্রকারের সাংকেতিক কোড়। বারকোভকে সাের্স কোতও বলা হয়। বভিন্ন পণ্যের গায়ে কালাে কালাে কিছু দাগ দেওয়া থাকে। এটাই হলাে বারকোড। একটি ছােট্ট যন্ত্র কউিটারের সাথে । কানেক্ট করা থাকে যার মধ্য থেকে লাল আলাে বের হয়; সেই আলােকে কালাে কালাে দাগগুলাের উপরে ধরলেই কদিউটারে [জিনিসটির নাম এবং মূল্য চলে আসে। মূলত যাতে বড় কোনাে হিসাব করতে ভুল না হয় সেজন্য বারকোড ব্যবহার করা হয়। এটি যন্ত্র ছাড়া পড়া প্রায় অসম্ভব। যন্ত্র দিয়ে পড়লেই সুন্দরভাবে বলে দেয়া যায় বারকোডের মধ্যে কি কথা লুকানাে আছে। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যাদের মাধ্যমে বারকোড তৈরি করা যায় এবং রিড করা যায়।।
কউআর কোড QR Code) : QR code বা কুইক রেসপন্স কোড এক ধরনের ম্যাট্রিক্স/2d বারকোড। Oছ কোডে মেসেজ। নম্বর বা অক্ষর দিয়ে তৈরি ডেটা, সাইটের ইউআরএল (URL), ফোন নম্বর ইত্যাদি ছবির আকারে এনকোড করে রাখা হয়। কুইক রেসপন্স কোড গঠিত হয় সাদা পটভূমিতে বর্গাকৃতির গ্রিড এ সুবিন্যস্ত কালাে উপাদান (বর্গাকৃতির বিন্দু দিয়ে যা পড়া যায় যেকোনো ক্যামেরা দিয়ে।
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা | ই-কমার্সের সুবিধা গুলো কি কি
ই-কমার্সের সুবিধা | ই-কমার্সের অসুবিধাসমূহ |
---|---|
১. দ্রুত ক্রয়/বিক্রয় পদ্ধতি, সহজে পণ্য খুঁজে পাওয়া যায়। | ১. দক্ষ লােকবলের অভাব। |
২. ব্যবসায় পরিচালনায় খরচ কমায়। | ২. উন্নত প্রযুক্তি প্রয়ােগ ব্যয়বহুল। |
৩. ভৌগােলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সহজেই ক্রেতার কাছে পৌছা যায়। | ৩. মাত্রাতিরিক্ত অর্ডার সরবরাহের সমস্যা। |
৪. পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন করে। | ৪. দূরবর্তী স্থানের অর্ডার ক্ষেত্রবিশেষে ব্যয়বহুল। |
৫. কম খরচে উন্নত সেবা প্রদান করে। | ৫. আইন প্রণয়ন ও প্রয়ােগ সমস্যা। |
৬. বাহ্যিক সেটআপ ছাড়াই ব্যবসা করা যায়। | ৬. লেনদেনের নিরাপত্তা সমস্যা। |
৭. সহজেই ব্যবসা শুরু এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়। | |
৮. ক্রেতা দৈহিকভাবে না গিয়ে প্রােডাক্ট নির্বাচন করতে পারে। |
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ই কমার্স বলতে কি বুঝায় | ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
আমরা এতক্ষন জানলাম ই কমার্স বলতে কি বুঝায়, ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা। যদি তোমাদের আজকের পোস্ট ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার ও কমেন্ট করতে ভুবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন নিয়মিত।