রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা Class 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12
হ্যালো বন্ধুরা রচনা স্বদেশপ্রেম বা দেশপ্রেম রচনা নিয়ে হাজির হয়েছি। যারা নিজ দেশকে ভালো বাসে তারা এই রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা টি খুব সহজে লিখতে পারবে। তোমরা যারা আজো জানো না রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা কি তারা নিচে থেকে রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা টি পড়ে নাও। একবার যদি ভালো করে পড় তাহলে আমার মনে হয় আর কখনো এই রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা টি তোমাদের পড়তে হবেনা।
রচনা স্বদেশপ্রেম দেশপ্রেম রচনা Class 6, 7, 8, 9 |
রচনা স্বদেশপ্রেম/দেশপ্রেম রচনা
সুচনা: মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তার জন্মস্থানকে ভালোবাসে। জন্মস্থানের আলাে-জল-হাওয়া, পশু-পাখি সবুজ প্রক্রতির এর সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখানের প্রতিটি ধূলিকণা তার কাছে মনে হয় সােনার চেয়েও দামি। সে উপলদ্ধি করে
মিছা মণি মুক্ত-হেম --- স্বদেশের প্রিয় প্রেম
তার চেয়ে কিছু নাই আর।
মানুষের এই উপলবিই হচ্ছে স্বদেশপ্রেম।
স্বদেশপ্রেমের সংজ্ঞার্থ: স্বদেশপ্রেম অর্থ হচ্ছে নিজের দেশের প্রতি জাতির প্রতি, ভাষান্তর প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুতন করা। দেশের প্রতি প্রবল অনুরাগ, নিবিড় ভালােবাসা এবং যথার্থ আনুগত্যকে দেশপ্রেম বলে। অনভূমির স্বার্থে সর্বষ ত্যাগের সাধনাই স্বদেশপ্রেম।
স্বদেশপ্রেমের স্বরূপ: স্বদেশ অর্থ নিজের দেশ। নিজের দেশকে সবাই ভালােবাসে। মাকে যেমন সবাই। নিঃস্বার্থভাবে ভালােবাসে, তেমনি স্বদেশের প্রতিও সবার ভালােবাসা সকল স্বার্থের উর্বে। প্রত্যেক মানুষেরই কথায় , চিন্তায় ও কাজে প্রকাশ পায় স্বদেশের প্রতি নিবিড় মমত্ববােধ। এই বােধ বা চেতনা হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত। তাই এডউইন আর্নল্ড বলেছিলেন, “জীবনকে ভালােবাসি সত্যি, কিন্তু দেশের চেয়ে বেশি নয়।' সংস্কৃত শ্লোকে আছে : “জননী জন্মভূমিশ্চ স্বাদপি গরীয়সী।” অর্থাৎ জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
স্বদেশপ্রেমের অনুভূতি: দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ থেকে জন্ম হয় স্বদেশপ্রেমের। পৃথিবীর সব জায়গার আকাশ, চাঁদ, সূর্য এক হলেও স্বদেশপ্রেমের চেতনা থেকে মানুষ নিজের দেশের চাঁদ-সূর্যআকাশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে ভালােবাসে। স্বদেশপ্রেমের অনুভূতি সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয় দেশের। স্বাধীনতা বিপন্ন হলে। তখন স্বদেশপ্রেমের প্রবল আবেগে মানুষ নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করে না। কেননা। সে জানে, দেশের জন্য “নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
ছাত্রজীবনে স্বদেশপ্রেম : ছাত্ররাই দেশের ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। দেশের উন্নতি ও জাতির আশা পূরণের আশয়থল। তাই দেশ ও জাতির প্রাত গতার মমত্ববােধ ছাত্রজীবনেই জাগিয়ে তুলতে হবে। দেশকে। ভালােবাসার উজ্জীবন মন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে। ছাত্রদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই দেশের স্বার্থে প্রয়ােজনে জীবন উৎসর্গ করার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হবে বিদ্রোহী কবি কাজী ।
আমরা রচি ভালােবাসার আশার ভবিষ্যৎ,
মোদের স্বর্গ-পথের আভাস দেখায় আকাশ-ছায়াপথ।
মােদের চোখে বিশ্ববাসীর স্বপ্ন দেখা হােক সফল।
বাঙালির স্বদেশপ্রেম: পৃথিবীতে যুগে যুগে অসংখ্য দেশপ্রেমিক জন্মেছেন। তারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে অমর হয়ে আছেন। বাংলাদেশেও তার অজস্র দান্ত রয়েছ। প্রাচীনকাল থেকে এ দেশে বিদেশি শক্তি প্রভুত্ব বিস্তারের চেষ্টা করেছে, আর স্বদেশপ্রেমিক বাঙালি দেশের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষার্থে অকাতরে প্রাণ। বিসর্জন দিয়েছে। ১৯৫২ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের হাতে বালা-ভাষার জন্য রফিক, শফিক, সালাম, জবার, বরকতের আত্মদান দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা সংযােজন করেছে। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের। বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার সগ্রামে আত্মদান করেছে অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, সাংবাদিকবুদ্ধিজীবী, মা-বােনসহ সাধারণ মানুষ। অকুতােভয় শত-সহস্র এ সৈনিকের দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এখনাে এদেশের লক্ষকোটি জনতা দেশের সামান্য ক্ষতির আশঙ্কায় বস্ত্রকণ্ঠে গর্জে ওঠে।
স্বদেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেম: স্বদেশপ্রেম মূলত বিশ্বপ্রেমেরই একটি অংশ। কেননা বিশ্বের সব মানুষই পৃথিবী নামক এই ভূখণ্ডের অধিবাসী। তাই স্বদেশপ্রেমের মাধ্যমে সকলেরই বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মৈত্রী ও বিশ্ব-মানবতাকে উচ্চকিত করে তুলতে হবে। কারণ বিশ্বজননীর আঁচল-ছায়ায় দেশ জননীর ঠাই। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেজন্যই গেয়েছেন
ও আমার দেশের মাটি, তােমার 'পরে ঠেকাই মাথা,
তােমাতে বিশ্বময়ীর - তােমাতে বিশ্ব মায়ের আঁচল পাতা
উপসংহার: দেশপ্রেম একটি নিঃস্বার্থ ও নির্লোভ আত্ন-অনুভূতি। কোনাে প্রকার লােভ বা লােভের বশবর্তী হয়ে দেশকে ভালােবাসা যায় না। প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কাছে দেশের মঙ্গলই একমাত্র কাম্য। দেশের জন্য তারা। সক দান করতে পারেন। তালের শৌর্য-বীর্য ও চারিত্রিক দৃঢ়তা আবহমানকাল ধরে জাতিকে প্রেরনা যোগায়। কাজেই ব্যক্তিস্বার্থ নয়, দেশ ও জাতির স্বার্থকে সবার ওপরে স্থান দিতে হবে। দেশ গড়ার কাজে দেশে মঙ্গলজনক কাজে আমাদের সকলকে নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে। সবােপার দেশকে ভালােবাসার মধ্য দিয়ে বিশ্বকে ভালােবাসতে শিখতে হবে। তবেই অর্জিত হবে স্বদেশপ্রেমের চূড়ান্ত সার্থকতা।
দেশপ্রেম রচনা
ভূমিকা: স্বদেশের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভাবাবেগের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ আমাদের দেশাত্মবোধ যা আমাদের অস্তিত্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচায়ক। স্বদেশপ্রেম মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রতিটি মানুষের জন্মলগ্ন থেকেই জন্মভূমির সাথে গড়ে ওঠে নাড়ির সম্পর্ক। স্বদেশের প্রতি জন্ম নেয় অকৃত্রিম মমত্ববোধ। দেশমাতৃকার বিশাল ও বিস্তৃত আঙিনা প্রত্যেক মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। স্বদেশপ্রেমের মাধ্যমেই মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ঘটে ।
স্বদেশপ্রেমের স্বরূপ/স্বদেশপ্রেম কী: প্রত্যেক মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে তাকে তার জন্মভূমি বা স্বদেশ বলা হয়। জন্মভূমির মাটি, আলো- বাতাস, অন্ন-জলের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ অপরিসীম। জন্মভূমির ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে গড়ে ওঠে মানুষের শেকড়ের বন্ধন। স্বদেশের প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি এই অনুরাগ ও বন্ধনের নামই স্বদেশপ্রেম। মা, মাতৃভূমি আর মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে স্বদেশপ্রেমের মাধ্যমে। স্বদেশপ্রেম হচ্ছে নিজের দেশের প্রতি, জাতির প্রতি, ভাষার প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করা। দেশের প্রতি প্রবল অনুরাগ, নিবিড় ভালোবাসা এবং যথার্থ আনুগত্যকে দেশপ্রেম বা স্বদেশপ্রেম বলে ।
স্বদেশপ্রেমের উৎস: প্রত্যেক মানুষ নিজেকে ভালোবাসে আর নিজের প্রতি ভালোবাসা থেকে জন্ম নেয় স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা। প্রতিটি জীবের ভেতরেই এই গুণ বিদ্যমান। পশু যেমন বনভূমি ছেড়ে লোকালয়ে ছটফট করে আবার পাখিকে নীড়চ্যুত করলে তার মর্মভেদী আর্তনাদ বাতাস ভারি করে তোলে। এটি হয় নিজ আবাসের প্রতি ভালোবাসা থেকে। আর নিজ আবাসের প্রতি ভালোবাসা থেকেই জন্ম নেয় স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা ।
স্বদেশপ্রেমের বৈশিষ্ট্য: জন্মলগ্ন থেকেই মানুষ স্বদেশের আলো-বাতাস, মাটি, পানি, বায়ু দ্বারা পুষ্ট হয়ে থাকে। দেশের প্রতি আনুগত্য, নিয়ম- শৃঙ্খলা মেনে চলা, আত্মত্যাগ, বীরত্বগাথা, কৃতজ্ঞতা, সততা, সরলতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমেই ফুটে ওঠে সত্যিকারের দেশপ্রেম ।
স্বদেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ: স্বদেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ পায় স্বদেশের বিপর্যয়ের মুহূর্তে। দেশের দুর্দিনে দেশপ্রেমের পূর্ণ বিকাশ ঘটে। স্বদেশের পরাধীনতায়, স্বদেশের প্রতি হামলায়, স্বদেশের মুখে কলঙ্ক লেপনের সময় মানুষের ভেতরে স্বদেশপ্রীতি মূর্ত হয়ে ওঠে। তখন জন্মভূমি জননীন মতো সন্তানের দিকে কাতর নয়নে তাকায় আর জননীর বেদনায় সন্তানের হৃদয় হয় বিদীর্ণ। স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় তখন জীবন দিতেও সে কুণ্ঠাবোধ করে না। জলের মাছকে ডাঙায় তুললে যেমন মাছ জলের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে তেমনি প্রবাস জীবনেও মানুষের ভেতর স্বদেশপ্রেম মূর্ত হয়ে ওঠে।
ছাত্রজীবনে স্বদেশপ্রেমের শিক্ষা: ছাত্ররাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। দেশের উন্নতি ও জাতির আশা পূরণের আশ্রয়স্থল। তাই দেশ ও জাতির প্রতি গভীর মমত্ববোধ ছাত্রজীবনেই জাগিয়ে তুলতে হবে। দেশকে ভালোবাসার জীবনমন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে। ছাত্রদের দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত করতে পারলেই দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ: স্বদেশপ্রেম সৃষ্টিকর্তার প্রেমেরই নামান্তর। হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেন, “স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।” যে ব্যক্তি দেশকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে না, দেশের গৌরবে গৌরবান্বিত হয় না, দেশবাসীর দুঃখ অনুভব করে না, সে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে পারে না। পৃথিবীর সকল ধর্মেই স্বদেশপ্রেমকে উৎসাহিত করা হয়েছে । মহামানবদের স্বদেশ প্রেম: পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত মহামানবের জন্ম হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ছিলেন স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি নিবেদিত প্রাণ ৷ ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তাঁর জন্মস্থান মক্কাকে অসম্ভব ভালবাসতেন। হিজরতের সময় তিনি বারবার মক্কার দিকে পেছন ফিরে তাকিয়েছেন এবং বলেছেন, “প্রিয় মক্কা! আমি তোমাকে ছেড়ে যেতাম না— যদি তারা আমাকে বাধ্য না করতো।”
মহামানবদের স্বদেশ প্রেম: পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত মহামানবের জন্ম হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ছিলেন স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি নিবেদিত প্রাণ। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তাঁর জন্মস্থান মক্কাকে অসম্ভব ভালবাসতেন। হিজরতের সময় তিনি বারবার মক্কার দিকে পেছন ফিরে তাকিয়েছেন এবং বলেছেন, “প্রিয় মক্কা! আমি তোমাকে ছেড়ে যেতাম না— যদি তারা আমাকে বাধ্য না করতো।”
স্বদেশপ্রেমের উপায় : -
“স্বদেশের উপকারে নাই যার মান
কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন।” স্বীয় দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের মধ্যেই দেশপ্রেম নিহিত। জাতির জন্য, দেশের জন্য, প্রত্যেক মানুষের জন্য কিছু না কিছু করার আছে। কৃষক শস্য উৎপাদন বাড়িয়ে, সাহিত্যিক তাঁর সাহিত্য রচনার মাধ্যমেও দেশের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করতে পারেন। স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হবে। নিজের দৈন্যদশাকে তুচ্ছ করতে হবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে।
দেশপ্রেমের প্রায়োগিক ক্ষেত্রসমূহ: দেশপ্রেম কেবল একটা ধারণা নয়। এটি চিন্তাচেতনা, ধ্যান-ধারণা লালনের বিষয়। কাজে-কর্মে, আচার- আচরণে, চলনে-বলনে, পোশাক-পরিচ্ছদে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা যায়। সামাজিক আচার-আচরণে দেশজ সংস্কৃতির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বিশ্বায়নের স্রোতে তাল মেলানোর ঠুনকো অজুহাতে দেশজ সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরলে হবে না। সাংস্কৃতিক বলয়ে থেকে দেশপ্রেম প্রয়োগ করতে হবে।
দেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেম:
“স্বদেশপ্রেম থেকে বিশ্বপ্রেম, যে নিজের দেশকে ভালোবাসে,
সে বিশ্বপ্রেমিক মানবপ্রেমিক মানবতাবাদী”
স্বদেশপ্রেম বিশ্বপ্রেমেরই একটি অংশ। তাই প্রকৃত দেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেমের কোনো বিরোধ নেই । একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক কখনো অন্য দেশের অকল্যাণের কথা চিন্তা করতে পারেন না। দেশপ্রেমই তাঁকে অপর দেশকে ও জাতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শেখায় ।
বিশ্বে স্বদেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত: যুগে যুগে অসংখ্য মনীষী দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। উপমহাদেশের মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, রাশিয়ার লেনিন ও স্ট্যালিন, ইতালির গ্যারিবল্ডি, আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, ভিয়েতনামের হো-চি-মিন, চীনের মাও সে তুং প্রমূখ ব্যক্তিগণ সারাবিশ্বে স্বদেশপ্রেমের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।
উপসংহার: মাতৃভূমি জননীর সমতুল্য আর বৃহত্তর অর্থে মানুষ ধরিত্রীর সন্তান। আমাদের স্বদেশপ্রেমের নেপথ্যে রয়েছে লক্ষ-লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ, মা-বোনের সম্ভ্রম ও শত সহস্র রক্তের ঋণ যা আমাদের স্বদেশ ও স্বাধীনতা রক্ষার অনুপ্রেরণা ও দিশারী হয়ে কাজ করবে। স্বদেশপ্রেম আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করুক আর যুগে যুগে আমাদের প্রাণে অণুরিত হোক—
“ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকায় মাথা।”
আর্টিকেলের শেষকথাঃ রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা Class 6, 7, 8, 9
তোমাদের রচনা স্বদেশপ্রেম বা দেশপ্রেম রচনা Class 6, 7, 8, 9 ভালো লেগে থাকে তাহলে এই রচনা স্বদেশপ্রেম | দেশপ্রেম রচনা টি শেয়ার করে নিজের টাইম লাইনে রেখে দাও। দিনে একবার হলেও চোখে পড়বে। আর বন্ধুদের মাঝে এখনি শেয়ার করে জানিয়ে দাও। আমদের আর কে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন প্রতিদিন এই রকম নিত্য নতুন পড়াশোনা বিসয়ক পোস্ট পেতে।