নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম 2024
আপনি যদি নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানতে চান তাহলে পুরো পোস্ট টি পড়তে থাকুন। কারন আমরা আপনাকে দেখাবো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে খুব সহজ ভাবে তুলে ধরেছি।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম 2022 |
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে। নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানার আগে পোস্টে কি কি থাকতেছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে সুচিপত্রের মাধ্যমে জেনে নেই।
সুচিপত্রঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩ | আগের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানার আগে আমরা জানব জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে। জন্ম নিবন্ধন করা খুব সহজ যদি আপনি স্টেপ গুলো ভালো ভাবে ফলো করেন তাহলে সহজেই করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই।
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র - নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানতে চাইলে আমাদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো কিছু কাগজ পত্র। পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য নিচের কাগজ পত্র গুলো দরকার হবে।
৫ বছরের নিচে জন্ম নিবন্ধন করতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
- শিশু হাসপাতালে জন্ম হলে, সেই হাসপাতালের সার্টিফিকেট বা ছাড়পত্র লাগবে
- যদি হাসপাতালে না হয় তাহলে এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন পত্র লাগবে
- এটাও সম্ভব না হলে নিবন্ধকের সত্যায়িত কপি।
- পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে
শিশুর বয়স ৫ বছর বা এর বেশী হলেঃ
- বয়স প্রমানের জন্য এম্বিবিএস ডাক্তারের প্রত্যয়ন পত্র লাগবে
- জন্মস্থান বা স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান প্রমাণের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন পত্র লাগবে
- উপরের কাগজ পত্র পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন পত্র। তাও যদি না পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।
- পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে
বর্ততমান জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম দুই ভাবে করা যায়। আগে স্বশরীরে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন করা লাগতো।
বর্তমানে এখন নিজের হাতে থাকে স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে নিজে নিজেই নতুন বা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়।
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম দুটিঃ
- নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
- পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অফলাইনে করার নিয়ম
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম | নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন অবস্থা
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার কার্যক্রম চালু হয়েছে। যদিও বর্তমানে স্বশরীরে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার কার্যক্রম এখনও আছে।
তথ্য সংগ্রহ ও তথ্যের নির্ভুলতার জন্য কাজের সুবিধা ও দ্রুততা এর জন্য বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার আগ্রহ বেড়েই চলেছে।
তাছাড়াও এখন নিজে নিজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা যায় তাই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করলে আপনি নিজেই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানতে পারবেন।
স্টেপ-০১: নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য প্রথমে https://bdris.gov.bd/ এই লিঙ্কে যান।
স্টেপ-০২: জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান সেটি দিন। যদি আপনি জন্মস্থান থেকে নিতে চান তাহলে জন্মস্থান দিন, স্থায়ী ঠিকানা হলে স্থায়ী ঠিকানা দিবেন আর যদি বর্তমান ঠিকানা হয় তাহলে বর্তমান দিবেন।
স্টেপ-০৩: জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীকে একটা ফর্ম পুরন করতে হবে
- প্রথমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীর নাম ইংরেজি ও বাংলাতে লিখতে হবে। ইংরেজিতে লেখার জন্য বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করতে হবে।
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীর জন্ম তারিখ দিতে হবে।
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীর জন্ম তারিখের পর পিতা মাতার কততম সন্তান সেটি ও লিঙ্গ উল্লেখ করতে হবে
- আবেদন কারীর ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
- সব কিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
স্টেপ-০৪: তারপর আরেকটি ফর্ম দেখতে পাবেন সেটি পুরন করতে হবে। নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানতে স্টেপ গুলো ফলো।
- ফর্মের প্রথম ঘরে নিবন্ধনকারীর পিতার জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর লেখতে হবে। তার পরের ঘর দুটোতে নিবন্ধনকারীর পিতার নাম বাংলাতে ও ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে।
- তার পরের দুটি ঘরে যথাক্রমে নিবন্ধনকারীর পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জাতীয়তা উল্লেখ করতে হবে।
- এর পর একই ভাবে নিবন্ধনকারীর মাতার তথ্যও পূরণ করতে হবে।
- সব কিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
স্টেপ-০৫: তারপর আপনাকে আপনার ঠিকানা দিতে হবে।
- প্রথমেই আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান?
- অপশন থেকে কোনটিই নয় বাছাই করলে ঠিকানা দেওয়ার জন্য একটি পৃষ্ঠা চলে আসবে আপনার সামনে।
- আপনার জন্ম স্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে - একই” অপশন টিতে ক্লিক করুন। যদি একই হয় তাহলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঠিকানার তথ্যগুলো চলে আসবে। না হলে ঠিকানা আলাদা করে লিখুন।
- সেম ভাবে বর্তমান ঠিকানার ঘর গুলোও পূরণ করতে হবে।
- ঠিকানা লেখার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ-০৬: তারপরের পৃষ্ঠায় আবেদনকারীর তথ্য দিতে হবে।
- এখানে আবেদনকারীর সাথে নিবন্ধনকারীর সম্পর্ক
- আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার, ইমেইল জমা দিতে হবে।
- নিবন্ধনকারী যদি ১৮ বছরের বেশী বয়সের হয়ে থাকেন তাহলে তিনি নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
স্টেপ-০৭: সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়া হলে কোথাও কোনা সমস্যা হবে না। সকল তথ্য জমা দেওয়ার পর আপনাকে আবার সকল তথ্য দেখানো হবে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৮: জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীর সকল তথ্য সাবমিট হয়ে গেলে আপনাকে একটা আবেদন নাম্বার দিবে।
এই নাম্বার দিয়ে আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করার জন্য আবেদন পত্র প্রিন্ট করুন বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।
স্টেপ-০৯: আবেদন করার ১৫ দিন পর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যেতে হবে। প্রিন্ট কপি ও অন্যান্য কাগজ পত্র জমা দিলে জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র টি পেয়ে যাবেন।
এই ছিল নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম। যদি আপনি ভালোভাবে স্টেপ গুলো ফলো করেন তাহলে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানতে পারবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম এত সোজা যা যে কেউ একবার উপরের স্টেপ গুলো করেন তাহলে নিজে নিজেই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম করতে পারবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন অফলাইনে করার নিয়ম
- পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অফলাইন করার জন্য উপরের সমস্ত কাগজ পত্রাদি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যেতে হবে।
- তারপর আপনার কগজ পত্র জমা দিলে আপনাকে একটা ফরম পুরন করতে হবে। আরো কিছু কাগজ পত্র লাগবে সে গুলো কমপ্লিট করলে আপনাকে একটা কুপন দেওয়া হবে।
- আপনাকে একটা তারিখ বলা হবে ঐ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে কুপন টি যত্নে রেখে দিতে হবে।
- তারপর ঐ তারিখে ঐ কুপন টি নিয়ে ঐ একই কার্যালয়ে যেতে হবে।
- কুপন টি জমা দিলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্রটি দিয়ে দিবে।
- তারপর আপনাকে স্বাক্ষর দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা | নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
বাংলাদেশে ২০০৬ সালে জন্ম ও মুত্যু নিবন্ধন আইন কার্যকর করা হয়। এই আইন অনুযায়ী সন্তান জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। জন্ম নিবন্ধন করতে ২ বছরের বেশি হয়ে গেলে পিতামাতাকে জরিমানা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধনকেই পরিচয় পত্র হিসবে ধরা হয়।
- জাতীয় পরিচয় পত্র না হয়ে থাকলে - পাসপোর্ট বানানোর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন লাগতে পারে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন লাগবে।
- বিয়ে করার সময় জন্ম নিবন্ধন লাগতে পারে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর জন্য জন্ম নিবন্ধন এর দরকার হতে পারে
- জাতীয় পরিচয় পত্র এর জন্য জন্ম নিবন্ধন দরকার হতে পারে।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
বন্ধুরা এতক্ষন আমরা জানলাম নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম । যদি আপানাদের আজকের এই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম টি বুঝতে কোথাও সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।'
আর যদি নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম এটি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাবেন। এতক্ষন নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন অবস্থা, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে