বাংলাদেশের কৃষক রচনা Class 6, 7, 8, 9
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কৃষক রচনা | রচনা বাংলাদেশের কৃষক
বাংলাদেশের কৃষক রচনা - প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা তোমাদের জন্য আমরা বাংলাদেশের কৃষক রচনা নিয়ে আসছি। তোমরা যাতে খুব সহজে এখান থেকে পড়তে পারো বাংলাদেশের কৃষক রচনা। এখন প্রায় সব পরিক্ষায় বাংলাদেশের কৃষক রচনা আসে।
তোমাদের যদি কারো জানা না থাকে তাহলে নিচের বাংলাদেশের কৃষক রচনা পয়েন্ট পড়লেই তোমরা ভালো ভাবে জেনে যাবে। ক্লাস ৬ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত সবাই এই বাংলাদেশের কৃষক রচনা পড়তে পারবে। কোনো রকম সমস্যা হবে না বাংলাদেশের কৃষক রচনা টি পড়তে ও লিখতে। তোমরা যেকোন পরিক্ষায় এই বাংলাদেশের কৃষক রচনা টি লিখতে পারবে। রচনাটি পড়ার আগে জেনে নাও প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম। বাংলাদেশের কৃষক রচনা টি দেখে নেই।
বাংলাদেশের কৃষক রচনা Class 6, 7, 8, 9 |
বাংলাদেশের কৃষক রচনা
সূচনা: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ লােক কৃষক। কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ দেশ ভরে ওঠে ফসলের সমারােহে। আমরা পাই ক্ষুধার আহার। কৃষকের উৎপাদিত ফসল বিদেশে রফতানি করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। বলতে গেলে, কৃষকই আমাদের জাতীয় উন্নয়নের চাবিকাঠি, আমাদের জাতির প্রাণ। কবির ভাষায়:
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।
কৃষকের অতীত ইতিহাস: প্রাচীনকালে এ দেশে জনসংখ্যা ছিল কম, জমি ছিল বেশি। উর্বরা জমিতে প্রচুর ফসল হতাে। তখন শতকরা ৮৫ জনই ছিল কৃষক। তাদের গােলা ভরা ধান, এ থাকত মাছে। তাদের জীবন ছিল সুখী ও সমৃদ্ধ। তারপর এলাে বর্গীর অত্যাচার, ফিরিঙ্কিা-পর্তুগিজ জলদস্যুদের নির্যাতন, ইংরেজদের খাজনা আদায়ের সূর্যাস্ত আইন, শােষণ ও নিপীড়ন। এলো। বাংলা উজাড় হলাে। কৃষক নিঃস্ব হয়ে গেল। সম্পদশালী কৃষক পরিণত হলাে সম্পদশালী কৃষক পরিণত হলাে ভূমিহীন চাষিতে। দারিদ্র্য তাকে কোণঠাসা করল। কৃষকের জীবন হয়ে উঠল বেদনাদায়ক। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়
স্কন্ধে যত তার চাপে ভার
বহি চলে মন্দগতি যতক্ষণ থাকে প্রাণ তার
তারপর সন্তানেরে দিয়ে যায় বংশ বংশ ধরি •••
শুধু দুটি অন্ন খুঁটি কোন মতে কষ্ট-ক্লিষ্টপ্রাণ
রেখে দেয় বাঁচাইয়া।
এভাবেই এককালের সুখী ও সমৃদ্ধ কৃষকের গৌরবময় জীবন-ইতিহাস অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
বর্তমান অবস্থা: বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। কিন্তু বাঙালি কৃষকের উদ্বাস্তু, অসহায় ও বিষন্ন জীবনের কোনাে রূপান্তর ঘটে নি। বাংলার কৃষক আজো। শিক্ষাহীন, বস্ত্রহীন, চিকিৎসাহীন জীবন-যাপন করছে। দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে, কমেছে কৃষি জমির পরিমাণ। জমির উর্বরতাও গেছে কমে। ফলে বাড়তি মানুষের খাদ্য যােগাননার শক্তি হারিয়েছে এ দেশের কৃষক। পৃথিবী জুড়ে চাষাবাদ পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটেছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত দেশ কৃষকের শক্তি বৃদ্ধি করছে। কিন্তু এ দেশে এখনাে মান্ধাতার আমলের চাষাবাদ ব্যবস্থা বহাল আছে। বাংলার কৃষকও ভোতা লাঙল আর কঙ্কালসার দুটো বলদের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ - কোনাে কিছুই মােকাবেলা করার কৌশল ও সামর্থ্য কৃষকের নেই। তবে ধীরে ধীরে এই। অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত পদ্ধতি প্রয়ােগের গুরুত্ব বাড়ছে। সম্প্রতি ব্যাংক, সমবায় সমিতি বা মহাজনের ঋণের টাকায় আর উচ্চ ফলনশীল বীজের সাহায্যে কষিতে ফলন বেডেক ক্ষেতের ফসল কৃষকের ঘরে ওঠার আগেই ব্যাংক, সমবায় প্রতিষ্ঠান কিংবা মহাজনের ঋণ , হয়। তাই কৃষকের সুখ-স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অবলম্বন হলেও কষকের শশাচনীয় অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এখনাে তারা নানা রােগ-শােক, অশিক্ষা-কশিক্ষা দাবিদা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে
কৃষকের উন্নয়ন: বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। দেশীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদানও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কৃষকের উন্নয়ন সাধন করা দরকার। বাংলার কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আজ সবচেয়ে বেশি দরকার চাষাবাদে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রবর্তন। নিজের জমিতে কৃষক যেন স্বল্পমূল্যে উন্নত বীজ, রাসায়নিক স্যার কীটনাশক পায় তার ব্যবস্থা করা। প্রয়ােজনে কৃষককে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করতে হব। আবার কৃষক যেন ফসলের ন্যায্য দাম পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক অশিক্ষিত। তাদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আধুনিক কৃষি-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য তাদের প্রশিক্ষন দিতে হবে। সারা বছর কৃষকের কাজ থাকে না। তাই তার অবসর সময়টুকু অর্থপূর্ণ করার জন্য কুটির শিল্পকে কে তাকে আগ্রহী করে তলতে হবে।
উপসংহার: বাংলার কৃষকরাই বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি তারা। তবুও কৃষকরা এই ফল বয়ে অবহেলিত। বিশেষ করে তাদের সামাজিক মর্যাদা এখনাে নিম্নমানের। এ বিষয়ে আমাদের সকলের সচেতন দৃষ্টি দেওয়া প্রয়ােজন। কৃষক ও কবিকে গুরুত্ব দিলেই আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। দেশের পরিদ্র্য দূর হবে। বাংলার ঘরে ঘরে ফুটে উঠবে স্বাচ্ছন্দ্যের ছবি। বলা যায় , কৃষকের আত্মার। ৩তরই লুকিয়ে আছে আমাদের সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের বীজ।
বাংলাদেশের কৃষক রচনা
ভূমিকা: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা এ বাংলাদেশের খেতে-খামারে যে কৃষিদ্রব্য উৎপন্ন হয়, তার সঙ্গে সমগ্র দেশবাসীর ভাগ্য জড়িত। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন লোক কোনো না কোনোভাবে কৃষিকাজের সাথে জড়িত। এ দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সম্পূর্ণ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষককে বলা হয় এ দেশের মেরুদণ্ড।
বাংলাদেশের কৃষক: কৃষক বলতে বাংলাদেশে এমন এক শ্রমজীবী সম্প্রদায়কে বোঝায়, যারা মূর্খ, রোগক্লিষ্ট, পুরুষানুক্রমে ঋণভারে প্রপীড়িত, আত্মোন্নতি সাধনের উপায় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ, পরিধেয় তাদের ছিন্ন বসন, পানীয় তাদের পঙ্কিল দূষিত জল এবং বাসগৃহ তাদের ভগ্নকুটির । এই হলো বাংলাদেশের কৃষকের চিরন্তন বেদনা-বিধুর চিত্র। অথচ তারা জীবনযাপনে অত্যন্ত সহজসরল। তাদের জীবনের একমাত্র সম্বল হালের গরু ও পুরাতন ভোঁতা কৃষি যন্ত্রপাতি। তারা রোদ- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সারাদিন কাজ করে। মাঠ ভরা সোনার ফসল দেখলে তারা সমস্ত কষ্ট ভুলে যায়। বেগম রোকেয়া তাঁর 'চাষার দুক্ষু' প্রবন্ধে বাংলার কৃষকদের সীমাহীন দুর্ভোগ-দুর্দশা, আজম্ম দারিদ্র্য তুলে ধরেছেন একটি চমৎকার পংক্তির মাধ্যমে—
“এ কঠোর মহীতে
চাষা এসেছে শুধু সহিতে;
আর মরমের ব্যথা লুকায়ে মরমে জঠর-অনলে দহিতে।”
এ দেশের কৃষকের অতীত অবস্থা: বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতার বিবরণ থেকে আমরা জানতে পারি সে যুগে বাংলায় কৃষকদের অবস্থা যথেষ্ট সচ্ছল ছিল। তাদের গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, পুকুরভরা মাছ ছিল। তারা তখন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করত। সেদিন তারা অন্তরে ও বাইরে ছিল সুখী। তাদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক ছিল। চমৎকার। স্থিতিশীল জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে তারা জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী পেশা হিসেবে বংশপরম্পরায় কৃষিকাজই ছিল তাদের ধ্যানজ্ঞান।
এ দেশের কৃষকের বর্তমান অবস্থা: সাম্প্রতিক কালে উচ্চফলনশীল -ত বীজের সাহায্যে, ব্যাংক ও সমবায়ের ঋণ বিতরণের ফলে এবং ল মহাজনের ঋণের টাকায় কৃষির ফলন বৃদ্ধি ঘটেছে। তার ওপর - কৃষিপণ্যের মূল্যানুকূল্যের ফলে কৃষিকর্মের প্রসার ঘটেছে। কিন্তু খেতের র ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মহাজনদের দেনার দায়ে সে ফসল বিক্রি 9 করতে হয় নামমাত্র মূল্যে। ফলে সুখ-স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। ত কৃষি বাংলাদেশের প্রধান অবলম্বন হলেও এখানকার কৃষকের অবস্থা ন শোচনীয়। তারা নানা রোগ-শোকে জর্জরিত; দুঃখে, কষ্টে ও পরিশ্রমে একেকজন কৃষক কঙ্কালসার হয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় দিনযাপন করছে। = মৃত্যুকালে এরা উত্তরাধিকারীদের জন্য কিছু রেখে যেতে পারে না; রেখে যায় শুধু দারিদ্র্যের অভিশাপ।
দুরবস্থার কারণ: বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষিকার্য পদ্ধতির দ্রুত পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। কৃষিকার্যের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে উন্নত দেশগুলোতে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন কোনো উন্নতি করা আজও সম্ভবপর হয়নি। আমাদের দেশে লোকসংখ্যার = তুলনায় জমির পরিমাণ খুবই কম। তদুপরি কৃষকরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাই আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বন্ধে তারা বেশিরভাগই অজ্ঞ । বাংলাদেশের জমিতে পানিসেচের উন্নত ও পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই । এখনো অনাবৃষ্টির সময় আকাশের দিকে চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে থাকতে হয়। ক্রমাগত একই চাষের ফলে জমির উর্বরতা কমে যায়। দারিদ্র্যের অভিশাপে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ওষুধ কিংবা উন্নতমানের সার ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বছরের বন্যা কৃষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলেছে। এসব কারণে আমাদের কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। অশিক্ষার কারণে তাদের মাঝে এখনো অনেক সংস্কার বিরাজ করছে। জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধি তাদের পরিবারকে যেমন আয়তনে বড় করছে, তেমনি চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চরম দারিদ্র্য মোকাবিলা করতে গিয়ে তাদের প্রায়ই নিজেদের জমি অন্যের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি অথবা বন্ধক দিতে হচ্ছে। যে কারণে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে কৃষক সম্প্রদায়।
দুর্দশা দূরীকরণের উপায়: কৃষির উন্নতির জন্য অবিলম্বে যথার্থ ভূমি সংস্কারের মাধ্যমে কৃষকদের হাতে জমি তুলে দিয়ে উন্নত কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা উচিত। কৃষকদের দুরবস্থা লাঘব করতে হলে সর্বাগ্রে কৃষিব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ব্যাপক ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে। তাই কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কৃষি কর্মকর্তাদের সক্রিয় সহযোগিতায় কৃষক সম্প্রদায়কে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। কৃষকের উন্নতির জন্য সুষ্ঠু সরকারি নীতিমালা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বন্যার পানি যেন ফসলের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ এবং নদী খননের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান সরকার বুঝতে পেরেছেন, গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ছাড়া দেশের উন্নতি অসম্ভব। তাই পরিকল্পনার পর পরিকল্পনা চলছে। সরকার নতুনভাবে ভূমি সংস্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। চাষিদের হাতে জমির মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে চাষের জমিতে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চলছে। চলছে বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষের উপকারিতা কৃষকদের সামনে তুলে ধরার কাজ। সরকারি উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় সার, কীটনাশক ঔষধ, যন্ত্রপাতি ইত্যাদির সরবরাহ কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। উত্তম সেচব্যবস্থা ও বন্যা-নিরোধ প্রকল্পের কর্মসূচি গ্রহণ কৃষকদের জীবনকে করেছে নতুন প্রত্যয়ে আশাবাদী ।
উপসংহার: কৃষকরাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির মেরুদণ্ড, বাংলাদেশের প্রাণস্বরূপ। সেই প্রাণ ছিল এতকাল অনাদৃত, ছিল উপেক্ষিত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এদের ওপর চলেছে নির্বিচারে অত্যাচার । মনুষ্যত্ব হয়েছে নিত্য নিগৃহীত। সেই লাঞ্ছনার দিনের অবসান ঘটাতে হবে। এখন শুরু হয়েছে সে আয়োজন । ওই শোনা যায়, নব প্রভাতের মঙ্গল-শঙ্খ ধ্বনি দিকে দিকে শুরু হয়েছে জাগরণের জোয়ার এ মুহূর্তে মনে পড়ে বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় বাণী— ‘দেশের মঙ্গল, কাহার মঙ্গল? তোমার আমার মঙ্গল দেখিতেছি, কিন্তু তুমি আমি কি দেশ? তুমি আমি দেশের কয় জন? আর এই কৃষিজীবী কয় জন? তাহাদের ত্যাগ করিলে দেশে কয় জন থাকে? হিসাব করিলে তাহারাই দেশ— দেশের অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী।' এ কৃষিজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে এবং কৃষির বৈপ্লবিক রূপান্তরের জন্য আজ সমগ্র জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের কৃষক রচনা | রচনা বাংলাদেশের কৃষক
শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম রচনা বাংলাদেশের কৃষক। যদি আজকের এই রচনা বাংলাদেশের কৃষক টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।