পৃথিবীর শেষ প্রান্তের বাস্তবিকতা ! ও পৃথিবীর শেষ প্রান্তের ছবি

 সুন্দর এই পৃথিবীকে নিয়ে আমাদের সবার মনেই বিভিন্ন সময়ে নানানরকম প্রশ্ন জাগে। ঠিক তেমনই এক বহুপ্রচলিত প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়? যুগে যেগে এই প্রশ্ন মানুষের মনে শুধু রহস্যেরই জন্ম দিয়ে গেছে। তবে অধিকাংশ ভ্রমণ পিপাসুদের মতে পালপিট রক"ই হচ্ছে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত! যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে এক কথায় বলতে  গেলে পৃথিবীর কোন শেষ প্রান্ত নেই। রহস্যে ঘেরা এ জগতের বৈচিত্রতার কারণে বেশিরভাগ সময়েই এমন সব জটিল প্রশ্নের সমাধান খুজতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন-ভিন্ন মতবাদ ও ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। 


কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে পূর্বের ভুল ধারণা গুলো থেকে ধীরে ধীরে আমরা বেড়িয়ে আসছি। আধুনিক বিজ্ঞানের প্রমাণ অনুযায়ী পৃথিবী হচ্ছে বর্তুলাকার। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি বিন্দুকে কেদ্র করে একটি সরলরেখা বরাবর হাটা শুরু করেন তাহলে একপর্যায়ে আবার সেই বিন্দুর কাছে এসে উপস্থিত হবেন। অর্থাৎ যেখান থেকে হাটা শুরু করেছিলেন হাটতে হাটতে আবারও ঠিক সেই একই জায়গায় এসে পৌঁছবেন! পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হিসেবে  পালপিট রক"কে না মানতে পারলেও এর সৌন্দর্যকে স্বিকৃতি দেয় না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তাই আজকে আমরা তথাকথিত "পৃথিবীর শেষ প্রান্ত" সম্পর্কে বিস্তারিত জানব!


পশ্চিম নরওয়েতে অবস্থিত রোগাল্যান্ডের, রাইফিলকে জেলায় প্রাইকেস্টোলেন পাহাড় অবস্থিত। ইংরেজিতে পাহাড়টিকে 'পালপিট রক' বলা হয়। প্রাচীন কালে স্থানীয়দের কাছে জায়গাটির নাম ছিলো হাইভ্যালাটন। ১৯০০ সালের দিকে জায়গাটির নাম পরিবর্তন করে প্রাইকেস্টোলেন রাখা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে এই জায়গাটি এখন থেকে প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে বরফযুগের কালে তৈরি হয়েছিলো। পাহাড়টির উচ্চতা ৬০৪ মিটার অর্থাৎ প্রায় ১, ৯৮২ ফুট এবং এর পৃষ্ঠে ২৫×২৫ মিটার বা ৮২×৮২ বর্গফুট।


পৃথিবীর শেষ প্রান্তের বাস্তবিকতা ! ও পৃথিবীর শেষ প্রান্তের ছবি

পালপিট রকে পৌছানোর জন্য দর্শনার্থীদের প্রায় 4 কিলোমিটার  দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। পৃথিবীর সবথেকে বিশুদ্ধতম বাতাস প্রবাহিত হওয়া স্থানগুলোর একটি এই পাহাড়ের চূড়া। এমনকি সেখানকার বাতাস বোতলজাত করে বিক্রিও করা হয়। সেখানকার প্রতি ১০ লিটার বাতাস বাংলাদেশি টাকার হিসেবে প্রায় ২০০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। ১৯০০ সালে স্থানীয় পর্যটন সংস্থা স্টাভ্যাঞ্জার প্রথম জায়গাটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উন্মুক্ত করেন। ২১ শতকের প্রথম দিক দিয়ে জায়গাটিতে পর্যটনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুধুমাত্র ২০১২ সালেই ১৫০, ০০০ থেকে ২০০, ০০০ দর্শনার্থী জায়গাটি ভ্রমণ করেন। বর্তমানে প্রতিবছর গড়ে ৩ লাখের-ও  অধিক পর্যটক পাহাড়টি ভ্রমণ করেন। রোমাঞ্চ প্রিয় পর্যটকরা প্রায়ই পাহাড়ের চূড়ায় বিভিন্ন ঝুঁকি-পূর্ণ খেলা দেখিয়ে থাকেন তবে বেস-জাম্পিং;রোপ-ওয়াকিং এবং ফ্রি হ্যাংজ্ঞিং এর বেশ কদর রয়েছে।

পৃথিবীর শেষ প্রান্তের বাস্তবিকতা ! ও পৃথিবীর শেষ প্রান্তের ছবি
সৌন্দর্য বহূগুনে বেরে যায়। বিখ্যাত ট্রাভেল গাইড প্রতিষ্ঠান লোনলি প্ল্যানেটে বলেছেন প্রাইকেস্টোলেন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ও শ্বাসরুদ্ধকর স্থান।


পৃথিবীর শেষ প্রান্তের বাস্তবিকতা ! ও পৃথিবীর শেষ প্রান্তের ছবি


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ